OUT SOURCING

কচু পরিচিতি

কচু আমরা সবজি হিসেবে ব্যাবহার করে থাকি।কচুর প্রজাতিভেদে মুল শিকর বা লতি পাতা ও ডাটা সবই  মানুষের খাদ্য।এটি সবুজ জাতীয় সবজি।কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায় রাতকানা রোগ প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত উপকারী।

PICTURE:-RAYHAN

LOCATION:-DAMSHUR,VALUKA,MYMONSHINGH

কচুর উৎপত্তিঃ

কচুর উৎপত্তি ভারতিও দ্বীপপুঞ্জসহ দক্ষিন পুরব এশিয়ায়।স্থলভুমি জলভুমি উভয় স্থানে কচু জন্মাতে পারে।তবে স্থল্ভাগেই বেশি জন্মে থাকে।কচুর বহু ঔসুধি গুনাগুন আছে বলে ধারনা করা হয়।

কচুর বৈজ্ঞানিক নামঃ

Colocasia esculenta

কচুর ইংরেজি নামঃ

Colocasia

কচুর জাতঃ

colocasia গণ Araceae পরিবার এবং C. esculenta প্রজাতির সদস্য। কচুর প্রকারভেদঃ                                                           
১.মান কচু।
২.ওল কচু।
৩.শোলা কচু।
৪.মুখী কচু।
৫.কাঁটা কচু।
৬.বিষ কচু।
৭.বন কচু।
৮.ছাতি কচু।
৯.গাঢ় কচু।
১০.মৌলবী কচু।
১১.পঞ্চমুখী কচু।
১২.রক্ত কচু।
১৩.ঘেঁটু কচু।
১৪.দুধ কচু।
১৫.সাল কচু।
১৬.মোকাদ্দম কচু।
১৭.পানি কচু।

PICTURE:-RAYHAN

LOCATION:-VALUKA,MYMONSHINGH

বিভিন্ন রকম কচুঃ

বনে জঙ্গলে যেসব কচু জন্মে থাকে বুনো কচু বলে।এর সব গুলা মানুষের খাবার উপযোগী না।খাবার উপযোগী জাতগুলো হচ্ছে মুখী কচু,পানি কচু,ওল কচু,দুধ কচু,মান কচু,শো্লা কচু ইত্যাদি।
মুকি কচুঃ
বাংলাদেশে সব অঞ্চলেই এর চাষ হয়।মুকি কচুতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ এবং লৌহ থাকে।মুকি কচু বাংলাদেশে গুড়া কচু,কুড়ি কচু,ছড়া কচু,দুলি কচু,বিন্নি কচু এত্যাদি নামে পরিচিত।
ওল কচুঃ
বাংলাদেশে এটি গ্রীষ্ম মৌসুমে জন্মে।ওল কচুর রস উচ্চ রক্ত চাপের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যা্বহার করা হয়।চট্রগ্রাম ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে এর আবাদ হয়। এতে পুষ্টি ও ঔষধি গুণ বিদ্যমান।
মান কচুঃ
এ শাকে আঁশ থাকায় এটি দেহের হজমের কাজে সহায়তা করে।
পানি কচুঃ
পানিতে জন্মে বলে সম্ভবতই এ কচুর নাম পানি কচু।বিশেষ করে চট্রগ্রাম অঞ্চলের মানুসের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় খাবার।কারণ এর স্বাদ ও পুষ্টিমান  অত্যাধিক।
খাবার উপযোগী কচুর অংশঃ
প্রজাতিভেদে কচুর মুল, শিকর, বা লতি,পাতা ও ডাটা সবই মানুষের খাবার উপযোগী।

কচুর ভিটামিন উপাদান

       প্রোটিন             স্নেহ        ক্যালসিয়াম           লৌহ         থায়ামিন    রাইবোফেবিন  ভিটামিন সি   খাদ্যশক্তি 

১০০ গ্রাম কচুতে আছেঃ


উপাদান পরিমাণ
প্রোটিন ৩.৯ গ্রাম
স্নেহ ১.৫ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ২২৭ মিলিগ্রাম
লৌহ ১০  মিলিগ্রাম
থায়ামিন ০.২২ মিলিগ্রাম
রাইবোফেবিন ০.২৬ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি ১২ মিলিগ্রাম
খাদ্যশক্তি ৫৬ কিলো ক্যালোরি।

কচুর ঔষুধি গুণঃ


১.রাতকানা রোগ প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত উপকারি।
২.কচু আঁশ জাতীয় তাই কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর করে।
৩.কচুতে বিদ্যমান আয়রন ও ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করতে সহয়তা করে।
৪.গ্যাট্রক বা অ্যাসিডিটিতে কচুর ভুমিকা অপরিসীম।
৫.কোলন ও ব্রেষ্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৬.কচুর ডাঁটায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় তা শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করে।
৭.কচুতে বিদ্যমান আয়রন রক্ত শূন্যতা প্রতিরোধ করতে সহয়তা করে।
৮.চুলের ভঙ্গুরতা বন্ধতেও কচুর উপকারিতা অনেক।
৯.কচুতে উপস্থিত কোলেস্টরল উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রন করে।
                                    

কচুর চাষাবাদঃ


উপযুক্ত জমি ও মাটিঃ

পলি দোআঁশ ও এটেল মাটি কচু চাষের জন্য উপযুক্ত। চারা রোপণঃ

আগাম ফসলের জন্য মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য নভেম্বর।প্রতি শতকে প্রায় ১৫০টি লতা  রোপণের জন্য প্রয়োজন।লাইন থেকে লাইন ২ ফু ট এবং গাছ থেকে গাছ ১.৫ ফুট।
আপনার লেখ আ ঠিকা আছে কিন্তু ২৪৫ মাত্র



বিদেশের বাজারে বেশি কচুর চাহিদা;

বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে কচুর লতি।গত কয়েক বছর ধরে গ্রেট ব্রিটেন, আমেরিকা, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, ওমান, বাহরাই্ন, মালয়েশিয়া ইত্যাদি দেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে।
info by Sadia Jahan

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.