মরিচ পরিচিতি
মরিচ
মরিচ এক প্রকার ফল
যা মসলা হিসাবে ঝাল
স্বাদের জন্য ব্যবহার করা
হয়।মরিচের আদি
নিবাস আমেরিকা মহাদেশ।চিকিংসকদের
মতে অনেক অসুখের ওষুধ
হিসেবে কাঁচা মরিচের ব্যবহার
রয়েছে।কাঁচা মরিচে
রয়েছে বিটা ক্যা্রোটিন, আলফা
ক্যারোটিন, লুটেই্ন জিয়াক্সানথি্ন ইত্যাদি নানা উপাদান যা
মুখে লালা আনে।
এছাড়াও স্বাস্থের জন্য খুব্ উপকারি।প্রতি দিন
একটি করে কাঁচা মরিচ
খেলে রক্ত জমাট বাঁধা
সমস্যা থেকে দু্রে থাকা
যায়।কাঁচা মরিচ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বারিয়ে দেয়
অনেকটা।(capsaicin)নামক রাসায়নিক উপাদানের
জন্য মরিচ ঝাল হয়
ও ক্যাপসাথিন নামক একটি রঞ্জক
উপাদানের জন্য মরিচ উজ্জল
লাল হয়। মরিচে
ভিটামিন এ ও সি
থাকে।
বৈজ্ঞানিক নাম
Capsicum annum /C.frutescesns
মরিচের ইংরেজি নামঃ
Chilli or Red pepper
পরিবারঃ
Solanaceae.
মরিচের প্রকারভেদঃ
বাংলাদেশে যেসব মরিচ পাওয়া
যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য
হল,
১
বেলুন মরিচ, ২
ধানি মরিচ, ৩
কামরাঙ্গা মরিচ, ৪ লাল
মরিচ, ৫ শিমলা মরিচ, ৬ কুল
মরিচ ইত্যাদি।
পশ্চিমবঙ্গে প্রায় -৮৮ প্রকার
মরিচের কথা গবেষণায় পাওয়া
যায়।
১০০
গ্রাম কাঁচা মরিচে আছেঃ
উপাদান ও
পরিমাপ
ভিটামিন বি৬ -০.৫০৬
মিলিগ্রাম , প্রোটিন-১.৯ মিলিগ্রাম
, পটাসিয়াম - ৩২২
গ্রাম ,আয়রন- ১.২ মিলিগ্রাম
এছাড়াও রয়েছেঃ
ভিটামিন এ
ভিটামিন সি
ভিটামিন কে ইত্যাদি।
কাঁচা মরিচের ঔষুধের গুনাগুনঃ
১ কাঁচা মরিচ রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।জ্বর হাঁচি কাশি
ইত্যাদি থেকে বাচায়।
কারন এতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে।
২ কাঁচা মরিচের ভিটামিন
সি ত্বকের জন্য খুবই
উপকারি।
৩ কাঁচা মরিচে প্রচুর
পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে যা
হাঁড়, দাঁত, ও মিউকাস
মেম্ব্রেন কে ভাল রাখতে
সাহায্য করে।
৪ হজমের মহৌষধ হিসেবে
কাজ করে কাঁচা মরিচ।
৫ প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুকি কমায়।
৬ কাঁচা মরিচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
উপাদান বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে দূ্রে রাখে।
৭ কাঁচা মরিচে
রয়েছে বিটা ক্যারোটিন।যা cardiovascular সিস্টেমকে
একটিভ রাখে।
৮ কাঁচা মরিচ
খেলে শরিরের মেটাবলিসম বৃ্দ্ধি
পায়। আর ক্যালো্রি
পোড়াতেও সহায়তা করে।
৯
রক্তের কো্লেস্টে্রল কমায় কাঁচা মরিচ।
১০ নিয়মিত কাঁচা মরিচ
খেলে হৃদপিণ্ডের নান সমস্যা থেকে
দূ্রে থাকা
যায়। এটি রক্ত
চাপ নিয়ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
১১ গরমের সময় এটি
খাওয়ার ফলে ঘামের মাধ্যমে
শরির ঠান্ডা থাকে।প্রতিদিন একটি করে কাঁচা
মরিচ খেলে রক্ত জমাট
বাধা সমস্যা থেকে দূ্রে
থাকা যায়।
১২ এটি খাদ্যে থাকা
ফ্যাট কে ধ্বংস করে
দেয়।তাই ডায়েটে
কাঁচা মরিচ খুবই উপকারি।
১৩ এছাড়া নিয়মিত
কাঁচা মরিচ খেলে দাঁত,
চুল, হাড় সুরক্ষিত থাকে।
১৪ নিয়মিত কাঁচা মরিচ
খেলে মুখে ঘা হয়
না।
কাঁচা মরিচ চাষের সময়ঃ
বছের প্রায় সবসময় কাঁচা
মরিচ চাষ করা হয়ে
থাকে। তবে বাংলাদেশে
শী্ত ও বর্ষা ঋতুতে
কাঁচা মরিচের চাষ বেশি
করা হয়। শী্ত
কালের জন্য ভাদ্র আশ্বিণ
মাসে ও বর্ষা মৌসুমের
জন্য ফাল্গুন চৈত্র মাসে বী্জ
বপন করা হয়।চারা রোপনে সারি
থেকে সারির দূ্রত্ব ৬০-৭০ সে.মি
ও চারা থেকে চারার
দুরত্ব ৩০-৪০ সে.মি রাখা হয়।চারা বিকালে
রোপন করতে হয় এবং
২-৩ দিন সকাল
বিকাল পানি দিতে হয়।
ফসল সংগ্রহঃ
ফুল আসার পর ১৫-২০ দিনের মধ্যে
কাঁচা মরিচ তোলা হয়।প্রতি হেক্টরে
ফলন কাঁচা ১০-১১
টন এবং শুকনো ১.৫-২.০
টন।
info by Sadia Jahan