OUT SOURCING

কলা পরিচিতি

কলা একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল।কলা আমাদের দেশে সারা বছর পাওয়া যায়। পাকা কলা খাওয়া যায়, ঠিক একইভাবে কাচা কলা  রান্না করে খাওয়া  যায়।কলা  দিয়ে দুধ ভাত অতুলনীয়।কলা এক প্রকারের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ফল। এর পুষ্টিগুণ অধিক। এতে রয়েছে দৃঢ় টিস্যু গঠনকারী উপদান যথা আমিষভিটামিন এবং খনিজ। কলা একদিকে যেমনবহু গুণে গুণান্বিত একটি আদর্শ ফলঅপরদিকে এটি একটি লাভজনক ও অর্থকরী ফসল। এর ফলনও অন্যান্য ফল ও ফসল অপেক্ষা অনেক বেশি। তাই কলার চাষ করে সহজেই আর্থিক দিক থেকে লাভবান হওয়া যায়। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বহু দেশে কলা অন্যতম প্রধান ফল। আর দামটাও অনেকটাই নাগালের মধ্যে।

কলার বুইজ্ঞানিক নাম

Carica papaya

কলার ইংরেজি নাম

Banana

কলার জাত

সবরি, অমৃতসাগর, অগ্নিশ্বর, দুধসর, দুধসাগর প্রভৃতি।

কলার ভিটামিন উপাদানঃ-

এতে রয়েছে ভিটামিন বি, সি ক্যালসিয়াম ও আয়রণ।


১০০ গ্রাম কলাতে আছেঃ-

পানি (জল) ------------------ ৭০.১%
আমিষ ---------------------- ১.২%
ফ্যাট (চর্বি) ------------------ ০.৩%
খনিজ লবণ ------------------- ০.৮%
আঁশ ------------------------- ০.৪%
শর্করা ------------------------ ৭.২%
মোট ----------------------- ১০০.০%।

কলার ঔষধি গুনাগুনঃ-

কাঁচাকলা

.ডায়রিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। এতে সামান্য আয়রন থাকে। কাঁচাকলার খোসায় বিটা ক্যারোটিন থাকে যা ভিটামিন এর কাজ করে বলে। এটি ভর্তা বা চপ বানিয়ে খাওয়া যায়। এছাড়াও কাঁচাকলা রোগীর পথ্য হিসেবে খাওয়া হয়। এতে রয়েছে পটাশিয়াম যা স্নায়ু ও পেশির কর্মক্ষমতা বাড়ায়। কাঁচাকলার ক্যালশিয়াম হাড় গঠন ও তা সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

পাকাকলা


.ক্যালরি বেশি পাওয়া যায় যা দ্রুত কর্মশক্তি যোগায়। কলা কার্বোহাইড্রেট ও আয়রনের ভালো উৎস। পাকাকলা পেটের নানাবিধ সমস্যা যেমন- পেটব্যথা, পেট গরম হওয়া, গ্যাস সৃষ্টি, পেট খারাপ হওয়া, হজমে সমস্যাসহ নানান রোগের প্রতিকারক ও প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও এটি পেটের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি প্রতিহত করে। ।
৩. পাকা কলা হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৪. নিয়মিত কলা খাওয়া হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
৫. কলাতে বি সিক্স থাকে যা মানসিক অবসাদ দূর করে ও মন প্রফুল্ল করে।
৬. এতে আছে প্রচুর আয়রন। যা রক্তের হিমোগ্লোবিন সৃষ্টি করে ও রক্ত শূণ্যতা দূর করে।
৭. পাকা কলার ভিটামিন বি সিক্স, বি টুয়েল্ভ এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরের নিকোটিনের প্রভাব কমায়।


কলা চাষের সময়:-

কলার চারা বছরে তিন মৌসুমে রোপণ করা যায়। প্রথম মৌসুম মধ্য জানুয়ারি থেকে মধ্য মার্চ। দ্বিতীয় মৌসুম মধ্য মার্চ থেকে মধ্য মে। তৃতীয় মৌসুম মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে মধ্য নভেম্বর।


ফসল প্রাপ্তি সময়-

বছরের সব সময় কলা পাওয়া যায়।
info by Humayon Kobir

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.