OUT SOURCING

ফুলকপি পরিচিত

ফুলকপি একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি। সবজি হিসেবে ফুল কপির জুড়ি নেই। সাধারণতঃ ফুলকপির ফুল অর্থাৎ সাদা অংশটুকুই খাওয়া হয় আর সাদা অংশের চারপাশে ঘিরে থাকা ডাঁট এবং পুরু, সবুজ পাতা দিয়ে স্যুপ রান্না করা হয় অথবা ফেলে দেওয়া হয়। ফুলকপি খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি; এটি রান্না বা কাঁচা যে কোন প্রকারে খাওয়া যায়, আবার এটি দিয়ে আচারও তৈরি করা যায়। পাতা দিয়ে ঘিরে থাকা সাদা অংশটুকু দেখতে ফুলের মতো বলেই ফুলকপির এমন নামকরণ। শীতকাল নানা প্রকার শাকসবজির ভরা মওসুম। এ সময় বাজারে টাটকা শাকসবজি প্রচুর পাওয়া যায় এবং দামেও সস্তা। শীতের সবজির মধ্যে ফুলকপি একটি জনপ্রিয় সবজি।

ফুল কপির বৈজ্ঞানিক নাম

Brassica oleracea

ফুল কপির ইংরেজি নাম

cauliflower

ফুল কপির জাত

ফুলকপি ব্রাসিকেসি পরিবারভুক্ত ব্রাসিকা অলেরাসিয়া (Brassica oleracea) প্রজাতির সবজিগুলোর একটি। এটি একটি বার্ষিক ফসল যা বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে। ১৫০ বছর পূর্বে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ফুলকপি কে ভারতবর্ষে আনে.
চারটি প্রধান ফুলকপির ফসলের নাম মেইন এন্ড আর্লি পাটনা এবং আর্লি এন্ড মেইন বেনারস। এ দেশে এখন ফুলকপির পঞ্চাশটিরও বেশি জাত পাওয়া যাচ্ছে।

ফুল কপির খাদ্য উপাদানঃ-

এই ফুলকপিতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, বি, সি, কে।

১০০ গ্রাম ফুল কপিতে আছে

প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপিতে শক্তি ৪১ কিলোক্যালরি, আমিষ ২.৬ গ্রাম, শর্করা ৭.৫০ গ্রাম, চর্বি ০.১০ গ্রাম, খনিজ লবণ ০.৮ গ্রাম, ফাইবার ২.০০ গ্রাম, ক্যালশিয়াম ৪১ মিঃগ্রাম, লৌহ ১.৫০ মিঃগ্রাম, ম্যাগনেশিাম ১৫ মিঃগ্রাম, সোডিয়াম ৫৩ মিঃগ্রাম, ফসফরাস ৫৭ মিঃগ্রাম, পটাশিয়াম ২৯৯ মিঃগ্রাম, নিকোটিন এ্যাসিড ১ মিঃগ্রাম, ভিটামিন বি ২০.০৩ মিঃগ্রাম, ভিটামিন সি ৯১ মিঃগ্রাম, ভিটামিন ই ০.০৮ মিঃগ্রাম, ভিটামিন কে ১৫.৫০ মাইক্রোগ্রাম, ফলেট ৫৭ মাইক্রোগ্রাম। ফুল কপির ডাটা ও কচি পাতায় প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়া

 ফুল কপির ঔষধি গুনাগুনঃ-

1-দাঁত, মাড়ি ও পেশি মজবুত করে।

2-সর্দি, কাশি ও ঠাণ্ডা লাগার হাত থেকে রক্ষা করে।

3- ফুলকপিতে ভিটামিন কে থাকে যা থ্রম্বোপ্লাস্টিন নামক এক পদার্থ তৈরি করে যা শরীর কেটে গেলে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

4-ফুলকপিতে ভিটামিন ই বা টোকোফেরল থাকে। যা বন্ধ্যত্ব বা যে মহিলাদের সন্তান হয় না তাদের জন্য ফুলকপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

5- স্তনের সুরক্ষায়: মহিলাদের স্তনের সাথে ফুল কপির পুরোপুরি সাদৃশ্য রয়েছে। ফুল কপিতে থাকা বিভিন্ন উপাদান মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস করে এবং স্তন টিউমার প্রতিরোধ করে। ফুলকপি দুগ্ধদানরত মহিলাদের স্তন শক্ত হয়ে যাওয়া বা দলা হয়ে যাওয়া ও স্তনের ব্যথা দূর করে।

6-ক্যান্সার প্রতিরোধ: ফুল কপিতে থাকা উপাদান সমূহ শরীরে ক্যান্সার কোষ সৃষ্টিতে বাধা দেয় । শরীর থেকে ক্যান্সার জীবানুকে বের করে দেয়। ফুলকপিতে থাকা সালফোরাফেন শরীরের ক্যান্সার সৃষ্টি কারী কোষ ধ্বংস করে দিতে পারে। স্তন ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার ও মূত্রথলির ক্যান্সারের জীবাণুকে ফুলকপি ধ¦ংস করে দেয়।

7- কিডনি সুস্থ সুন্দর রাখতে ফুলকপি বেশ উপকারী।

8- লিভার সুরক্ষা: ফুলকপিতে থাকা উপাদান লিভারের কোলেস্টেরল জমতে বাধা দেয় এমনকি লিভারকে বিষমুক্ত হতে সাহায্য করে।

ফুল কপি চাষের সময়

শীতকালেই আগাম (শ্রাবণ ও ভাদ্র), মধ্যম (ভাদ্র ও আশ্বিন) ও নাবী (আশ্বিন ও কার্তিক) মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ফুলকপি আবাদ করা যায়।

ফসল প্রাপ্তি সময়

তবে শীতের সবজি হলেও ফুলকপি এখন গ্রীষ্মকালেও পাওয়া যায়।

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.