OUT SOURCING

বাঁধাকপি বা পাতা কপি পরিচিতি

বাঁধাকপি একটি পাতা জাতীয় সবজি।  দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই বাঁধাকপির চাষ হয়। বাঁধাকপি একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি। সবজি হিসেবে বাঁধাকপির জুড়ি নেই। পুষ্টিগুণে ভরপুর বাঁধাকপি, যা পাতাকপি নামে বাংলাদেশে বেশি প্রচলিত। বাঁধাকপি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে যেমন গাঢ় সবুজ, হালকা সবুজ, সাদা, লাল ও বেগুনী। বাঁধাকপি কাঁচা রান্না করে কিংবা মাংসের সাথে বিশেষ করে সালাদে কচি বাঁধাকপি মেশালে স্বাদ যেমন বাড়ে দেখতেও অত্যন্ত চমৎকার। 


বাঁধাকপি  বা পাতা কপি এর বৈজ্ঞানিক নাম

Brassica oleracea var. capitata

বাঁধাকপি  বা পাতা কপি এর  ইংরেজি নাম

Cabbage

বাঁধাকপি  বা পাতা কপি এর জাত

বাঁধাকপি যা ব্রাসিকেসি বা ক্রুসিফেরি গোত্রের ব্রাসিকা অলেরাসিয়া  ''Brassica oleracea'' প্রজাতির উদ্ভিদ । বাঁধাকপির আদি নিবাস ভূমধ্যসাগরীয় দক্ষিণ ইউরোপে। বাংলাদেশে ১৯৬০-এর দশকে এর চাষ শুরু হয়। এদেশে উৎপাদিত বাঁধাকপির প্রায় সব জাতই বিদেশী ও হাইব্রিড। সব জাতের বীজ এদেশে উৎপাদন করা যায়না। তবে এদেশে বীজ উৎপাদন করা যায় বারি উদ্ভাবিত এমন জাতও আছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট দুটি নতুন জাত অন্তরভুক্ত করেছে, যার স্থানীয় নাম ‘প্রভাতি’ ও ‘অগ্রদূত’।

বাঁধাকপি  বা পাতা কপি এর  খাদ্য উপাদানঃ-

বাঁধাকপির স্তরে স্তরে ভিটামিন A, B1, B2, B6, E, C, K এবং ক্যালশিয়াম, আয়রন, আয়োডিন, পটাসিয়াম, সালফার, ফসফরাস, ফলেট পরিপূর্ণ থাকে।

১০০ গ্রাম বাঁধাকপিতে আছে:-

পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম বাঁধাকপিতে রয়েছে ১.৩ গ্রাম প্রোটিন, ৪.৭ গ্রাম শর্করা, ০.৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ০.০৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি ও ৬০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। তা ছাড়া ক্যালসিয়াম ০.৮ মিলিগ্রাম, লৌহ ৬০০ মাইক্রোগ্রাম, ক্যারোটিন ও ২৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি।

বাঁধাকপি ঔষধি গুনাগুনঃ-

1-পুষ্টিগুণে ঠাসা এই সবজিটি খেলে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগও ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। রক্তে সুগারের মাত্রাকে বেঁধে রেখে ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থ থাকার পথকেও প্রশস্ত করে।
2-বাঁধাকপি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা নিয়মিত বাঁধাকপি খান তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। বাঁধাকপিতে উপস্থিত ভিটামিন-সি ও মিনারেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
3-আলসার নিরাময়
4-ওজন কমায়
5-মাথাব্যথা দূর করতে সহায়তা
6-হাড়ের ব্যথা দূর করতে সহায়তা
7-রক্তস্বল্পতা দূর করে
8-তারুণ্য ধরে রাখে
9-ত্বকের সুরক্ষায়

বাধাঁকপি চাষের সময়ঃ-

২৫-৩০ দিন বয়সী চারা আগাম জাতের জন্য শ্রাবণ-ভাদ্র থেকে ভাদ্র-আশ্বিন, মধ্যম আশ্বিন-কার্তিক কার্তিক-আগ্রহায়ণ এবং নাবি জাতের জন্য অগ্রহায়ণ-মধ্য পৌষ থেকে পৌষ-মধ্য মাঘ।

ফসল প্রাপ্তি সময়ঃ-

শীতকালিন শব্জি হলেও বছরের প্রায় বার মাসই বাঁধাকপি পাওয়া যায়।
info by Humayon kaibir

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.