কাঠাল পরিচিতি
বাংলাদেশের জাতীয় ফল এটি ।যা প্রায় প্রতিটি মানুষের কাছে প্রিয় একটি ফল হিসেবে গন্য ।কাঠালের এমন কোনো অংশ নাই যা নষ্ট হয় । এর বিচি রান্না , বর্তা, পোড়া দিয়ে খাওয়া হয় যা অনেক সুস্বাদু । এর ছোলা বাকলা পর্যন্ত গরুর প্রিয় একটি খাবার । কাঠাল গ্রামের সকলের বাড়িতে কাঠালের গাছ অপরিকল্পিত ভাবে জন্ম নেয়। বেশি ভাগ গাছ । প্রতিটি কোয়ায় রসে ভরপুর যা মুখে অপুরন্ত স্বাধ বয়ে আনে
PICTURE:-RAYHAN
LOCATION:-DAMSHUR,VALUKA,MYMONSHINGH
কাঠাল এর বুইজ্ঞানিক নাম
Artocarpus heterophyllus
কাঠাল এর ইংরেজি নাম
jack fruits
কাঠালের অধিক পরিমানে শরিরের প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান। কাঠালে আছে প্রচুর ভিটামিন এ , ভিটামিন সি, ভিটামিন-এ, ক্যালসিয়াম ,সোডিয়াম,
কাঠাল এর জাত
কাঠালের কিছু জাত লক্ষ্য করা যায় । কাঠালের জাতের মধ্যে রয়েছে গলা, খাজা, উচ্চ ফলন শীল জাত যেমন বারি কাঠাল -১ এবং বারি কাঠাল-২ এগুলো অনেক উন্নত জাতের কাঠাল এর জাত যা চাষ করে মাত্র ৭- ৮ বছরের মধ্যে কাঠাল পাওয়া যায় যা ব্যবসায়ের অনেক লাভবান করতে সাহায্য করে ।কাঠাল এর খাদ্য উপাদানঃ-
কাঠাল এর ১০০ গ্রাম কাঠালে আছে
উপাদানের নাম
|
পরিমান
|
প্রোটিন
|
৩ গ্রাম
|
কার্বোহাইড
|
১৮ গ্রাম
|
ফ্যাট
|
৩ গ্রাম
|
মোট=
|
100 গ্রাম
|
কাঠালের ঔষধি গুনাগুনঃ-
১। কাঠাল নিয়মিত খাওয়ার পর ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে যা আমদের । ক্যান্সারের মত বড় রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।২। কাঠাল পুরুষের যৌন উত্তেজনা প্রচুর পরিমান বাড়ায় যা আমদের অনেক ভাবে ব্যক্তিগত গোপন সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পাড়ে।
৩। এটি এমন একটি ফল যা খাওয়ার সাথে সাথে রক্ত সারকুলেশন বাড়াতে সক্ষম যা আমাদের শরিরের প্রেসার ঠিক রাখতে গ্রুত্ব পুর্ন ভুমিকা রাখে।
কাঠালের চাষের সময়
কাঠাল চাষের জন্য কাঠালের ভালোজাতের কাঠালের কোয়া থেকে বিচি আলাদা করে তাতে ছাই মাখিয়ে ২ থেকে ৩ দিন পর মাটিতে পুতে রাখলে ২০-২৫ দিনের মধ্যে নতুন গাছ জন্মাবে যা পরে ৩ থেকে ৪ মাস পরে নির্ধারিত স্থানে রোপন করা যাবে । জায়গা পুর্বে ভালোভাবে তইরি করে নিতে হবে।
ফল প্রাপ্তি সময়
বাংলাদেশের ফলের মাস বৈশাক ও জোষ্ঠ্য মাস হলে ফলের মাস এ দু মাসে প্রায় সকল ফল পাওয়া যায় । কাঠাল প্রায় বছরের বার মাস পাওয়া যায় খুবই কম যার জন্য অনেক মুল্য দিয়ে কিনতে হয় ।
এ দু মাসে সকলের ঘরে চলে কাঠালের মেলা ।
এ দু মাসে সকলের ঘরে চলে কাঠালের মেলা ।
info by Humayon Kobir