আদা পরিচিতি
আদা একটি উদ্ভিদ মূল যা মানুষের মসলা এবং ভেজষ ঔষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। মশলা জাতীয় ফসলের মধ্যে আদা অন্যতম। আদা খাদ্যশিল্পে, পানীয় তৈরীতে, আচার, ঔষধ ও সুগন্ধি তৈরীতে ব্যবহার করা হয়। আদা সেই প্রথম মশালাগুলির মধ্যে একটি যা এশিয়া থেকে ইউরোপে রপ্তানি করা হয়েছিল, যা মূলত মশালার বাণিজ্যের মাধ্যমে পৌঁছেছিল এবং প্রাচীন গ্রীস এবং রোমানরা এটি ব্যবহার করত।
PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.
আদার বৈজ্ঞানিক নাম
Zingiber Officinaleআদার ইংরেজি নাম
Gingerআদার জাত
আদা এরা Zingiberaceae পরিবারের সদস্য।আদার খাদ্য উপাদানঃ-
আদাতে রয়েছে আমিষ ,শ্বেতসার,পানি,খনিজ পদার্থ বিদ্যামান।১০০ গ্রাম আদাতে আছেঃ-
উপাদান পরিমাণক্যালোরি শক্তি ৮০
ফ্যাট ০.৭৫ গ্রাম
পটাশিয়াম ৪১৫ মিলিগ্রাম
ফসফরাস ৩৪ মিলিগ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ১৭ গ্নাম
আদার ঔষধি গুনাগুনঃ-
রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়ানোর উপকরণ হিসেবে আদার জুড়ি নেই। তবে আদার ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে প্রায় সকলেই বেশ ভালোভাবেই অবগত আছেন। শারীরিক নানা সমস্যায় আদা খাওয়ার বিষয়টি সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে বেশ দ্রুত। এমনকি নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস মুক্তি দিতে পারে মারাত্মক বেশ কিছু রোগ থেকে।নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস করেই দেখুন না, শারীরিক অনেক সমস্যার সমাধান পাবেন। আর এজন্যই আদার গুণাগুণ এবং শারীরিক সমস্যা নিরাময়ে আদার ব্যবহার সকলেরই জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী।
১. বমিভাব বা বমি হচ্ছে অনেক? আদা কুচি করে চিবিয়ে খান অথবা আদার রসের সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করুন। তাৎক্ষণিক সমাধান পেয়ে যাবেন।
২. উল্টাপাল্টা এবং বেশি ভাজাপোড়া খাবারের কারণে বুকজ্বলার সমস্যা হুট করেই শুরু হতে পারে। এক কাজ করুন, ২ কাপ পানিতে ২ ইঞ্চি আদা ছেঁচে জ্বাল দিয়ে চায়ের মতো তৈরি করে পান করুন। বুকজ্বলা কমে যাবে।
৩. আদার রস ব্যথানাশক ঔষধের মতো কাজ করে। সরাসরি আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন আদার রস অথবা পান করে নিতে পারেন, দুভাবেই ভালো উপকার পাবেন।
৪. নতুন আদার সাথে আধা সেদ্ধ ডিম খাওয়ার অভ্যাস পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায় এবং স্পার্ম কাউন্ট বৃদ্ধি করে।
৫. আদা হজমে সমস্যা সমাধান করে এবং পেটে ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে ১ কাপ আদা চা পান করলে পুরোদিন পেট ফাঁপা বা বদহজম থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
৬.জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা, ব্যথায় আদা হাল্কা গরম পানির সাথে খেলে উপকার হয়।
৭.অতিরিক্ত ওজন ঝরাতেও আদা সাহায্য করে।
৮.বসন্ত রোগের সময় আদার রস অনেক উপকার হয়।
৯.আদার রস শরীর শীতল করে।
১০হৃৎপিণ্ডের জন্য আদা অনেক উপকারে আসে।
১১.কাশি এবং হাঁপানির জন্য আদার রসের সাথে মধু মিশিয়ে সেবন করলে বেশ উপশম হয়।
আদা চাষের সময়
আদা বীজ রোপণের প্রায় ৭-৮ মাস পর ফসল পরিপক্ব হয়। আদা এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মে মাস পর্যন্ত রোপণ করা হয়। সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে আদা উত্তোলন করা হয়।আদা ফসল প্রাপ্তি সময়
ফাল্গুন থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত লাগানো যায়। সাধারণত ১২-১৫ গ্রাম ওজনের ১-২টি কুঁড়ি বিশিষ্ট কন্দ লাগানো হয়। ৪০-৪৫ সে.মি. দূরে দূরে সারি করে ২০ সে.মি. দূরে ৫ সে.মি. গভীরে আদা লাগানো হয়। কন্দ লাগানো পর ভেলী করে দিতে হয়। প্রতি হেক্টরে ১০০০ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়।
info by Akash