ছোলা ভুট পরিচিতি
অত্যন্ত স্বাস্থকর ও মুকরোচক খাবার ছোলা।আমিষের অন্যতম উৎস ছোলা।বেশ কয়েক ধরনের ছোলা পাওয়া যায়, দেশি ছোলা আকারে ছোট হয়। এবং দেখতে কালছে ও হ্লুদ রং এর মত। আরও বিদেশি কিছু ছোলা ভুট পওয়া যায় যেমন কাবলি ছোলা ভুট। এগুলি দেখতে আকারে বড় হয়। এবং সাদা ও উজ্বল বর্ণের হয়।ছোলা পুষ্টিকর একটি ডাল।ছোলার ফুল্গুলি সাদা এবং কখনও কখনও লালছে নীল কালারের হয়ে থাকে।ছোলার গাছ ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।দেশি ছলাতে আশের পরিমাণ বেশি থাকে।
ছোলার বৈজ্ঞানিক নাম
Cicer arietinum.ছোলার ইংরেজি নামঃ
Chickpeaছোলার জাতঃ
ছোলা Magnoliopsida শ্রেণী এবং Fabaceae পরিবারের সদস্য।ছোলার প্রকারভেদঃ
ছোলা সাধারনত দুই প্রকার; ১। দেশি ছোলা ২। কাবুলি ছোলা।ছোলার ভিটামিন উপাদান
ছোলাতে আছে আমিষ , কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম , ভিটামিন এ , ভিটামিন বি-১ , ভিটামিন বি-২।১০০ গ্রাম ছোলাতে আছেঃ
আমিষ -১৮ গ্রাম , কার্বোহাইড্রেট - ৬৫ গ্রাম , ফ্যাট- ৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম - ২০০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ - ১৯২ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি-১ , ভিটামিন বি-২ছোলার ঔষুধি গুণঃ
১ ছোলার ফ্যাটে্র বেশির ভাগই পলি আনস্যাচুয়েটেডে এই ফ্যাট শরিরের জন্য ক্ষতিকর নয়। এটি শরিরের জন্য উপকারি, কারন ছোলা রক্তের চর্বি কমায়।
২ কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে খেলে শরিরে আমিষ ও অ্যান্টবায়োটিকের চাহিদা পূ্রণ করে। আমিষ মানুষকে সাস্থবান ও শক্তিশালী করে তোলে। এবং অ্যান্টবায়োটিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
৩ ছোলার আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূ্র করে।ছোলাতে ফলিক এসিড থাকায় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে।
৪ ছোলায় থাকা ক্যালরি দীর্ঘক্ষণ ধরে শরীরে শক্তির যোগান দেয়।
৫ ডায়াবেটিকস রোগী্র জন্য ছোলা খুবই উপকারি খাবার। কেননা ছোলার শর্করা গ্লূকোজ হয়ে দ্রত রক্তে যায় না।
৬ ছোলা খাদ্য নালীতে ক্ষতিকর জীবাণু দূ্র করে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কমায়।
৭ ছোলাতে উপস্থিত আঁশ হৃদরোগের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়।
৮ছোলাতে বিদ্যমান শর্করার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম থাকায় শরীরে প্রবেশ করার পর অস্থির ভাব দূ্র হয়।
৯. ছোলা বয়ঃসন্ধি পরবর্তীকালে মেয়েদের হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে।
১০ ছোলাতে অবস্থিত আইসোফ্লাভন ইস্কেমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের আর্টারির কার্যক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়
১১ ছোলাতে বিদ্যামান ফলিক এসিড রক্তের অ্যালার্জির পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
১২ ছোলা শরীরের অপ্রয়োজনীয় কো্লেস্টেরল কমিয়ে দেয়।
১৩ শ্বাসনালিতে জমে থাকা পু্রোনো কাশি বা কফ ভালো হওয়ার জন্য কাজ করে শুকনা ছোলা ভাজা।
১৪ ছোলা খেয়ে কো্লন ক্যান্সার এবং রেক্টাল ক্যান্সার এর ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকা যায়।
১৫ ছোলাতে ভিটামিন বি পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। ভিটামিন বি মেরুদন্ডের ব্যথা, স্নায়ুর দুর্বলতা কমায়।
ছোলা চাষের সময়ঃ
ছোলার বী্জ বোনার উত্তম সময় অক্টোবরের সপ্তাহ থেকে নভেম্বর এর প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।ছোলা চাষের জন্য বী্জ হতে হবে উচ্চগুণ মা্নসম্পন্ন, রোগ্মুক্ত সুস্থ বী্জ। বিঘা প্রতি জমিতে ছোলার প্রয়োজন ৬-৮ কেজি বীজের। আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের ছোলার জাত রয়েছে যেমন বারি ছোলা-২, বারি ছোলা-৩, বারি ছোলা-৪, বারি ছোলা-৫ ইত্যাদি।ছোলা চাষের জন্য উত্তম মাটি হচ্ছে বেলে দো-আঁশ বা এটেল দো-আঁশ মাটি।সারিতে বী্জ বপন করলে সারি থেকে সারির দূ্রত্ব কমপক্ষে ৪০ সে.মি হতে হবে।ফসল সংগ্রহঃ
জমির ফসল পেকে গেলে তা সংগ্রহ করতে হবে। ভাল জাতের ফসল চাষ করলে বিঘা প্রতি ২৪০-২৭০ কেজি ফসল উৎপাদন করা যায়।ফসল শুকিয়ে দীর্ঘ দিন সংগ্রহ করা যায়।
info by sadia jahan