OUT SOURCING

শিম পরিচিতি

শিম একটি সবজি যা অতি সুস্বাদু ও পুষ্টিসমৃদ্ধ। শিম মানুষ ও পশুর খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মানব দেহের ভিটামিন এর চাহিদা পূরণে শিম এর ভুমিকা অনেক। সকালের নাস্তা হিসাবে শিম ভাজির স্বাদ অতুলনীয়। কিছু শিম আবার বিষাক্ত যেগুলো লাল রংযের এবং কিডনী শিম। এতে একটি বিষাক্ত পদার্থ ল্যাক্টিন আছে যা রান্না করার মাধ্যমে নষ্ট করা উচিত। প্রায় দশ মিনিট সিদ্ধ করে বিষাক্ত সীমকে খাবার উপযোগী করা যায়। শিম রান্না একটি ধীর রান্না পদ্ধতিকারণ এখানে কম তাপমাত্রা ব্যবহার করা হয়যা বিষ ধ্বংস করতে পারে না যদিও শিমটা খেতে খারাপ লাগে না বা বাজে গন্ধ থাকে না। যদিও এটা সমস্যা হওয়া উচিত না যদি তা রান্নার সময় সিদ্ধ করা হয় ও আরো কিছুক্ষণ রেখে দেওয়া যায়। শিম একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ সবজি। এর বিচিও পুষ্টিকর সব্জি হিসেবে খাওয়া হয়। এটি জমি ছাড়াও রাস্তার ধারেআইলেঘরের চালেগাছেও ফলানো  যায়। দোআশ ও বেলে দোআশ মাটিতে শিম  ভাল ফলন হয়। শিম অতি পরিচিত একটি সবজি। আর দামটাও অনেকটাই নাগালের মধ্যে।


PICTURE:-RAYHAN
LOCATION:-DAMSHUR,VALUKA,MYMONSHINGH

শিম এর বৈজ্ঞানিক নাম

Phaseolus

শিম এর ইংরেজি নাম

Bean 

শিমের জাত

দেশি জাতের শিম একটি অতি পরিচিত লতাজাতীয় বড়গাছের বীজ যা বিভিন্ন জাতের হয়ে থাকে ও এটি ফাবাসিয়া শ্রেণীভুক্ত। দেশে পঞ্চাশটিরও বেশি স্থানীয় শিমের জাত আছে। কিছু আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাতও আছে


শিমের খাদ্য উপাদান


শিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবারভিটামিন সি, বি ক্যালসিয়াম, আয়রণ আর মিনারেল

১০০ গ্রাম শিমে আছে

প্রতি ১০০ গ্রাম খাবার উপযোগী শিম থেকে আমরা পানি ৮৫ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪৮ কিলোক্যালরি, আমিষ ৩ গ্রাম, শর্করা ৬.৭ গ্রাম, চর্বি ০.৭ গ্রাম, খনিজ লবণ ০.৪ গ্রাম, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ২১০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১.৭ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ১৮৭ মাইক্রো মিলিগ্রাম এবং আঁশ জাতীয় উপাদান পেয়ে থাকি।


 শিমের ঔষধি গুনাগুন

1-রোগ প্রতিকার ও রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা আছে।

2-খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ হওয়ায় শিম চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

3-কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

4-গর্ভবতী মহিলা ও শিশুর অপুষ্টি দূর করতে শিম বেশ উপকারী।

5-নিয়মিত শিম খেলে তা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

6-শিমে সিলিকনজাতীয় উপাদান থাকে যা হাড় সুগঠিত করে।

7- শিমে নিয়মিত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে।

8-শিমের ফুল রক্ত আমাশয় দূর করতে সাহায্য করে।

9 -শিমের দানায় ভিটামিন বি সিক্স ভালো পরিমাণে থাকায় তা স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখে ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

শিম চাষের সময়

ভাদ্র মাস আষাঢ়  থেকে র্যন্ত বীজ বোনার  উপযুক্ত সময়।

শিম এর ফসল প্রাপ্তি সময়

আশ্বিন-কার্তিক মাসে  ফুল ধরে। ফুল ফোটার ২০-২৫ দিন পর ফসল সংগ্রহ করা যায়। এটি মুলত একটি মৈাসুমি সবজি হলেও কমকরে হলেও সরাবছরই পাওয়া যায়।
info by Humayon Kabir

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.