গাজর পরিচিত
গাজর একটি সবজি যা অতি সুস্বাদু ও পুষ্টিসমৃদ্ধ । সবজি হিসেবে গাজরের জুড়ি অনেক। গাজর একটি শীতকালিন সবজি হলেও প্রায় সারা বছর পাওয়া যায়। এটি যেমন কাঁচা খাওয়া যায়, ঠিক একইভাবে রান্না করে বা রান্না সুস্বাদু করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। সালাদে বা মুড়ি মাখানোর সময় গাজর অতুলনীয়। গাজরের হালুয়ার তো কনো তুলনাই হয়না। গাজর শরীরের ত্বক এর শীতকালীন সমস্যার জন্য অতি উত্তম।বিশেষজ্ঞদের মতে ত্বক সুন্দর রাখতে চাইলে কাঁচা গাজর খাওয়া যেতে পারে। আর দামটাও অনেকটাই নাগালের মধ্যে।
LOCATION:-DAMSHUR,VALUKA,MYMONSHINGH
গাজরের বৈজ্ঞানিক নাম
Daucus carota subsp. sativus
গাজরের ইংরেজি নাম
Carrot
গাজরের জাত
একপ্রকার মূল জাতীয় সবজি। গাজর গাছ
Apiaceae পরিবারভুক্ত। এর আদি নিবাস দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপ।
পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক গাজরই চীন দেশে উৎপাদিত হয়।
গাজরের খাদ্য উপাদানঃ-
গাজরে রয়েছে ভিটামিন-সি, ব্যাটা ক্যারোটিন , ভিটামিন-ই, বি, প্যান্টোথেনিক, লৌহ ও আরও গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনসমূহ।
১০০ গ্রাম গাজরে আছে
উপাদানের নাম
|
পরিমান
|
শর্করা
|
১৩ গ্রাম
|
ক্যালরী
|
৫৭ গ্রাম
|
আমিষ
|
২ গ্রাম
|
আঁশ
|
১ গ্রাম
|
খনিজ
|
১ গ্রাম
|
অন্যান্য
|
২৬ গ্রাম
|
মোট=
|
১০০ গ্রাম
|
গাজরর ঔষধি গুনাগুনঃ-
1-গর্ভবতী মায়েরা গাজরের রস খেলে শিশুর জন্ডিস হওয়ার ঝুঁকি কমে2- গবেষণায় দেখা গেছে, গাজরে বিদ্যমান ফ্যালক্যারিনল ও ফ্যালক্যারিডিওল ফুসফুস ও অন্ত্রের ক্যান্সারসহ অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
3- গাজর কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে।
4- সুন্দর ত্বকের জন্যও গাজর খেতে পারেন। এটি আপনার ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করবে।
5- এছাড়া গাজর বাইরে থেকেও ত্বকের অনেক উপকার করে। ফেশিয়ালের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
6- হৃৎপিণ্ডের নানা অসুখে এটি খুব ভাল কাজ করে। এর ক্যারোটিনয়েডগুলো হৃৎপিণ্ডের নানা অসুখের ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
7-গাজরের বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন-'এ'-তে রূপান্তরিত হয়ে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। এটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হিসেবেও কাজ করে।
8- গাজরে উপস্থিত ভিটামিন এ লিভারে গিয়ে তাকে শরীর থেকে নানা ধরনের টক্সিন জাতীয় খারাপ উপাদান পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এছাড়াও গাজরের এই উপাদান লিভার থেকে অতিরিক্ত চর্বি সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।
9- গাজর আপনার দাঁত ও মুখের ভেতর পরিষ্কার রাখে।
10- গাজর থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন-'এ' রক্তের ক্ষতিকর টঙ্কি উপাদানগুলো দেহ থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে।
11-গাজরের মিনারেলগুলো দাঁত মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
12-এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও গাজরের স্যুপ ডায়রিয়া রোগে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
13-হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পরিচালিত সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সপ্তাহে ছয়টির বেশি গাজর খান বা খাচ্ছেন তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি যারা এর থেকে কম পরিমানে কম বা একটি গাজর খাচ্ছেন তাদের তুলনায় অনেক কম হয়।
14-গাজরের সঙ্গে কয়েক কোয়া রসুন মিশিয়ে খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
গাজর চাষের সময়
সেপ্টেম্বর মধ্য নভেম্বর মাস বীজ বপনের উত্তম সময়।
ফসল প্রাপ্তি সময়
গাজর একটি শিতকালিন সবজি
হলেও বছরের প্রায় বার মাসই গাজর পাওয়া যায়।