OUT SOURCING

কারিপাতা পরিচিতি


PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.

কারিপাতা
এই পাতা ভারতীয় উপমহাদেশে অনেক ধরনের রান্নায় ব্যবহার করা হয়। ঝোল জাতীয় রান্নায় ব্যবহার করা হয় বলে সাধারণত একে ‘কারি পাতা’ বলা হয়। তবে রান্নায় স্বাদ বাড়াতে এই পাতার ব্যবহার করা হলেও এর বেশ উপকারিতা রয়েছে।
কারিপাতার বৈজ্ঞানিক নাম
Murraya koenigii
কারিপাতা এর ইংরেজি নাম
Barsunga
জাত
কারিপাতার এরা Rutaceae পরিবারের সদস্য।

খাদ্য উপাদানঃ
সুগন্ধি মসলা হিসেবে সবুজ পাতা রান্নায় ব্যবহার করা যায়। পাতায় ৬.১% প্রোটিন, ১.০% তেল, ১৬% শ্বেতসার, ৬.৪% আঁশ ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি (৪ মিলিগ্রাম/১০০গ্রাম পাতা) আছে।
কারিপাতার ঔষধি গুনাগুনঃ-
চুল পড়া কমায়
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানি পানের কয়েক মিনিট পরে কয়েকটি টাটকা কারি পাতা চিবিয়ে খান। এর আধঘণ্টা পরে ব্রেকফাস্ট করুন। কারি পাতা ভিটামিন সি, ফসফরাস, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও নিকোটিনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এই পাতা এভাবে নিয়মিত খেলে চুল পড়া কমে।

হজম ক্ষমতা বাড়ায়
খালি পেটে কারি পাতা খেলে হজমশক্তি বাড়ে। কারণ, এই পাতা হজমের সাহায্যকারী এনজাইমকে উদ্দীপিত করে। অন্ত্র ভালো রাখে। আর হজম হলেই কোষ্ঠকাঠিন্য কমবে।

বমি বমি ভাব কমায়
কারি পাতা বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে। এটি হজমশক্তি বাড়ায়, যা আপনাকে এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে সহায়তা করে।
ওজন কমায়
কাঁচা কারি পাতা চিবালে ওজন কমে, হজমশক্তি বাড়ে, ডিটক্সিফিকেশন হয়, ভালো কোলেস্টোরেলের মাত্রা বাড়ে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও কোলেস্টোরেলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

অ্যানিমিয়া দূর করেঃ
ফলিক এবং আয়রনে ভরপুর এই প্রাকৃতিক উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর লহিত রক্ত কনিকার মাত্রা এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে অ্যানিমিয়ার মতো রোগ বেশিদিন শরীরে থাকার সুযোগই পায় না। প্রতিদিন সকালে একটা খেজুরের সঙ্গে ২টা কারি পাতা খেলেই উপকার পাবেন।

লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ
প্রাকৃতিক উপাদানটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ক্ষতিকর টক্সিনের হাত থেকে লিভারকে রক্ষা করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে লিভারের উপর অ্যালকোহলের কুপ্রভাবও পরে কম। এক্ষেত্রে এক কাপ কারি পাতার রসে এক চামচ ঘি, অল্প পরিমাণে চিনি এবং গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।

ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ
 প্রতিদিন কারি পাতা খেলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক লেভেলের উপরে যাওয়ার সুযোগ পায় না। কারি পাতায় উপস্থিত ফাইবারও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

হার্ট ভাল রাখেঃ
কারি পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারি পাতা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা তো কমেই, সেই সঙ্গে ভাল কোলেস্টরলের পরিমাণও বাড়তে শুরু করে। ফলে হার্টের কর্মক্ষমতার উন্নতি ঘটে।

ত্বকের সংক্রমণ কমায়ঃ
কারি পাতায় উপস্থিত শক্তাশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপাটিজ যে কোনও ধরনের স্কিন ইনফেকশন কামতে দারুন কাজে লাগে।

ফসল প্রাপ্তি সময়
জুন-জুলাই মাস কারিপাতা গাছের চারা রোপনের উপযুক্ত সময়।

Info by Akash

No comments

Pleas Do not write bad link

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.