OUT SOURCING

কাঠ বাদাম পরিচিতি


PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.

কাঠ বাদাম
একটি বৃহদাকৃতির গাছের ফলের বিচি। বিচির নাম অনুযায়ী এই গাছকে কাঠ বাদাম গাছ ডাকা হয়।
কাঠ বাদাম বৈজ্ঞানিক নাম
Terminalia Catappa
ইংরেজি নাম
Almond
জাত
কাঠ বাদাম এরা Combretaceae পরিবারের সদস্য।
খাদ্য উপাদানঃ
কাঠবাদামে মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, কপার, সেলেনিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম। এই বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি, ই, ডি এবং উপকারী ফ্যাট।
১০০ গ্রাম কাঠ বাদামতে আছেঃ-
উপাদান
পরিমাণ
এনার্জি
৫৭৮ কিলোক্যালরি
কার্বোহাইড্রেট
২০ গ্রাম
আঁশ
১২ গ্রাম
ফ্যাট
৫১ গ্রাম
প্রোটিন
২২ গ্রাম
থায়ামিন
০.২৪ মিলিগ্রাম
রাইবোফ্লেভিন
০.৮ মিলিগ্রাম
নিয়াসিন
৪ মিলিগ্রাম
প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড
০.৩ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি৬
০.১৩ মিলিগ্রাম
ভিটামিন ই
২৬.২২ মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়াম
২৪৮ মিলিগ্রাম
আয়রন
৪ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম
২৭৫ মিলিগ্রাম
ফসফরাস
৪৭৪ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম
৭২৮ মিলিগ্রাম

কাঠ বাদাম ঔষধি গুনাগুনঃ-
১.বয়স বৃদ্ধি রোধ করে:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ হওয়ায় ভেজা কাঠবাদাম ফ্রি র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে এবং বয়স হওয়া প্রতিরোধ করে।

২.হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
 কাঠবাদাম ভিজিয়ে খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মূলত কাঠ বাদামের গায়ে যে খোসা থাকে, তা তৈরি হয় এক ধরণের উৎসেচক দিয়ে। তাই যখন কাঠ বাদাম ভেজানো হয়, তখন এর ভেতরের আদ্রতার জন্য বাদামের খোসা নরম হয়ে যায়। একইসঙ্গে মূল বাদামের অংশটিও বেশ নরম হয়ে যায়। এমন বাদাম খেলে খাবার খুব সহজে হজম হয়ে যায়। আসলে ভেজানো কাঠ বাদামে এক ধরণের উৎসেচক থাকে, যা লিপেস নামে পরিচিত। এটি খাবারে থাকা ফ্যাট এবং অন্যান্য জটিল উপাদান সহজে হজম করতে সাহায্য করে।

৩.কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে:
যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে খুব কষ্ট পান, তাদের পানিতে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়া উচিত। কারণ কাঠবাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবারের মতো কাঠবাদামও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

৪.হার্টের জন্য ভালো:
নিয়ম করে ভেজানো বাদাম খেলে আমাদের হার্ট ভাল থাকে। এর কারণ হল কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম প্রভতি উপকারি উপাদান থাকে, যা হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৫.গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত:
গর্ভাবস্থায় জলে ভেজানো কাঠবাদাম খেলে তা সন্তান এবং মা-দুজনের শরীরই ভাল রাখে। আলমন্ডে প্রচুর ফলিক এসিড রয়েছে। এই উপাদানটি নবজাতকের জন্ম সমস্যা হ্রাসে সহায়ক।

৬.হাড় ও দাঁত ভালো রাখে:
কাঠবাদামে থাকা ফসফরাস, মিনারেল ও ভিটামিন হাড় ও দাঁতকে সুরক্ষা দেয়। ফসফরসার কেবল হাড় ও দাঁতকে মজবুত করে না, এটি অস্টিওপরোসিস বা  হাড় ক্ষয় রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। হাড় ও দাঁতের সুসাস্থ্য ও স্থায়িত্বের ওপর ফসফরাসের প্রভাব রয়েছে অনেকখানি।

৭.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
কাঠবাদাম অ্যালকেলাইন সমৃদ্ধ একটি খাবার। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-ই; রয়েছে অনেক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো বিভিন্ন ধরনের রোগের হাত থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়।
৮.উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে:
আপনার কি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে? তাহলে অবশ্যই কাঠবাদাম খান। এর কারণ হল, কাঠবাদামের মধ্যে খুব কম পরিমাণে সোডিয়াম থাকে এবং বেশি মাত্রায় থাকে পটাশিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিবারণে সাহায্য করে।
ফসল প্রাপ্তি সময়
চারা রোপণের পর গাছের বয়স তিন বছর হলে প্রথম ফুল এবং ফল আসে। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি ফুল ফোটার সময়। এবং এপ্রিল থেকে জুন মাস কাজু বাদাম সংগ্রহ করার সময়।

Info by Akash

No comments

Pleas Do not write bad link

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.