তেজপাতা পরিচিতি
PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.
তেজপাতা
বাঙালির রান্নাঘরে তেজপাতা থাকবেই। রান্নায় স্বাদ বাড়াতেই তেজপাতা মূলত ব্যবহার করা হয়। কিন্তু শুধু রান্নার স্বাদ বৃদ্ধিতেই নয়, এই পাতার রয়েছে আরও বেশ কিছু গুণ।তেজপাতার মধ্যে এমন কিছু গুণ রয়েছে, যাতে মাথার ব্যথা, গাঁটের ব্যথা দূর হয়। এমনকী, স্ট্রেস থেকেও সুস্থ রাখে এই পাতা।
তেজপাতা বৈজ্ঞানিক নাম
Cinnamomum Tamala
ইংরেজি নাম
Bay Leaves
জাত
তেজপাতা এরা Lauraceae পরিবারের সদস্য।
খাদ্য উপাদানঃ
কিছু উপকারি উপাদানের সন্ধান পাওয়া যায় তেজ পাতার শরীরে।
যেমন, কপার, সেলেনিয়াম, আয়রন,জিঙ্ক,ম্যাগনেসিয়াম, মেঙ্গানিজ, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। প্রসঙ্গত, শরীরকে নানা জটিল রোগের হাত থেকে বাঁচাতে যে যে উপাদানের প্রয়োজন পরে, তা সবই উপস্থিত রয়েছে তেজ পাতায়।
১০০ গ্রাম তেজপাতা আছেঃ-
উপাদান
|
পরিমাণ
|
সোডিয়াম
|
২৩
মিলিগ্রাম
|
আয়রন
|
৪৩
মিলিগ্রাম
|
জিংক
|
৩.৭
মিলিগ্রাম
|
প্রোটিন
|
৭.৬
গ্রাম
|
কার্বোহাইড্রেট
|
৭৫
গ্রাম
|
ওমেগা-৩
ফ্যাটি এসিড
|
১.১
গ্রাম
|
অমেগা-৬
ফ্যাটি এসিড
|
১.২
গ্রাম
|
ফাইবার
ও সিলেনিয়াম
|
২৬
গ্রাম
|
তেজপাতা ঔষধি গুনাগুনঃ-
১ ঠান্ডা-গরমের কারণে কি বুকে সর্দি বসেছে? তাহলে বন্ধু আর সময় নষ্ট না করে অল্প কয়েকটা তেজপাতা সংগ্রহ করে তার থেকে তেল বানিয়ে ফেলুন। সে তেল বুকে মাসাজ করলে দেখবেন সমস্যা কমতে শুরু করবে, সেই সঙ্গে ফুস ফুসের সংক্রমণও হ্রাস পাবে।
২ সারা শরীরজুড়ে রক্তের সরবরাহে উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখাতেও তেজ পাতার জুড়ি মেলা ভার। তাই তো যাদের পরিবারে উচ্চ রক্তচাপের ইতিহাস রয়েছে তারা নিয়মিত তেজ পাতা দিয়ে বানানে চা খেতে পারেন।দেখবেন উপকার মিলবে।
৩ দিনে কম করে ২ কাপ তেজ পাতা দিয়ে তৈরি চা খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে নিমেষেই কমে যায় সেই সম্পর্কিত শারীরিক কষ্টও।
৪ আজ তাপমাত্রা ৪০-এর কাঁটা ছুঁয়েছে তো, কাল অঝোরে বৃষ্টিতে গায়ে চাদর দিতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ঠান্ডা-গরমের কারণে সর্দি-কাশি-জ্বর হওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তাই তো বাড়িতে তেজ পাতা মজুত করা শুরু করুন।
৫ তেজ পাতায় উপস্থিত ফিটোনিউট্রিয়েন্ট, ক্যাফিক অ্যাসিড, সিলিসাইকেলেট এবং রুটিন হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৬ বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে তেজ পাতার অন্দরে উপস্থিত একাধিক উপাকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর হজম ক্ষমতার উন্নতি তো ঘটায়ই, সেই সঙ্গে পেট খারাপ, গ্যাস-অম্বল এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৭ প্রতিদিন সকালেই কী মারাত্মক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়? এদিকে নানা চিকিত্সা করেও ফল মিলছে না? তাহলে আজ থেকেই তেজ পাতা দিয়ে বানানো চা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন কষ্ট কমে যাবে। এক্ষেত্রে এক কাপ করে দিনে দুবার এই বিশেষ চাটি পান করলে দারুন উপকার মিলবে।
৮ তেজ পাতায় উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরী উপাদান কিডনির ভিতরে জমতে থাকা স্টোনগুলিকে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই তো এই ধরনের রোগে নিয়মিত তেজ পাতা দিয়ে বানানো চা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে রোগীকে।
৯ রক্তে উপস্থিত শর্করার মাত্রা কমাতে তেজ পাতার কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। শুধু তাই নয়, একাদিক গবেষণায় দেখা গেছে শরীর খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা যাতে বেড়ে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি।
ফসল প্রাপ্তি সময়
মার্চ-এপ্রিল মাসে ফুল ও ফল হয়।
Info by Akash