OUT SOURCING

ধনিয়া পরিচিতি


PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.

ধনিয়া
ধনে বিরুৎ জাতীয় তৃণ। এর পাতা ছোট, সবুজ, মসৃণ হয়। ডালপালা অনেক হয় ও দেখতে সরু।ছোট ছোট থোকায় থোকায় সাদা ফুল ফোটে। ফুল থেকে দানাকৃতির ফল হয়। ফল কাচা অবস্থায় সবুজ হয়। এটি দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার স্থানীয় উদ্ভিদ। এর বীজ থেকে বানানো তেল সুগন্ধিতে, ওষুধে এবং মদে ব্যবহার করা হয়।

ধনিয়া বৈজ্ঞানিক নাম
Coriandrum Sativum
ইংরেজি নাম
Carolus Linnaeus
জাত
ধনিয়া এরা Apiasia পরিবারের সদস্য।

খাদ্য উপাদানঃ
ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন, ভিটামিন বি ৬, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম আছে।

১০০ গ্রাম ধনিয়াতে আছেঃ-
উপাদান
পরিমাণ
সোডিয়াম
৪৬ মিলিগ্রাম
ফ্যাট
০.৫ গ্রাম
পটাশিয়াম
৫২১ মিলিগ্রাম
কার্বোহাইড্রেট
৩.৭ গ্রাম
ক্যালোরি
২৩ মিলিগ্রাম
প্রোটিন
২.১ গ্রাম

ধনিয়া ঔষধি গুনাগুনঃ-

১ ধনিয়া ও তাজা ধনেপাতা হজমের উপকারী। এর অ¨ন্টিঅক্সিডেন্টের গুণ লিভার আর অন্ত্রের কাজ সঠিকভাবে করতে সাহায্য করে। হজমের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম ও রস তৈরিতে ধনিয়া কার্যকর।আপনার যদি হজমে প্রবলেম থাকে তবে খাবার তালিকায় ধনিয়া রাখুন। ১ মুঠ ধনিয়া সারাদিন পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। একদিন পর ভেজা ধনিয়া থেকে ছেঁকে পানিটুকু পান করুন, অবশ্যই খালি পেটে। এতে হজমের প্রবলেম কমবে।
২ ধনিয়ায় অনেক দরকারি ভিটামিন যেমন ফলিক অ¨সিড, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন আমাদের খাবারে যে পরিমাণ ভিটামিন সি থাকা দরকার তার প্রায় ৩০ ভাগই আমরা পেতে পারি ধনেপাতা আর বীজ থেকে।ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ¨ন্টিঅক্সিডেন্ট, সুস্থ শরীর ও সুস্থ ত্বকের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি।
৩ অনেক চিকিৎসকই ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ধনিয়ার উপকারের কথা বলে থাকেন। ধনিয়া শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনে অবদান রেখে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে। ধনিয়া রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর পরিমাণ কমায়, উপকারী কোলস্টেরলের বা এইচডিএল-এর পরিমাণ বাড়ায়। যাদের শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি ও যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা প্রতিদিন ধনিয়ার পানি পান করলে উপকার পাবেন।
৪ ব্যাকটেরিয়ার কারণে কলেরা, টাইফয়েড, ডায়রিয়া ও আমাশয় ইত্যাদি নানান খাদ্যবাহিত ও পানিবাহিত রোগের সংক্রমণ ঘটে। ধনিয়ায় ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধক ক্ষমতা এসব রোগ থেকে আপনাকে সুরক্ষা দেবে।
৫ ভিটামিন ছাড়াও ধনিয়ায় প্রচুর আয়রন আছে যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সহায়তা করে। বেশি বেশি আয়রনের জন্যে নারীদের খাদ্য তালিকায় অন্যান্য সুষম খাদ্যের সঙ্গে ধনিয়ার বীজ ও সবুজ পাতা থাকা খুবই দরকারি।
৬ সীসা, আর্সেনিক, অ¨লুমিনিয়াম, পারদের মত বিষাক্ত ধাতু যদি কোনভাবে মানুষের শরীরে জমে তবে তা নানা রোগ সৃষ্টি করতে পারে। আলঝেইমার, স্মৃতি ও দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, কার্ডিওভাসকুলার ও নিউরনের ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার মত বিভিন্ন মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করতে ।
৭ ধনিয়া এছাড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা ও রোগ প্রতিরোধ করে। ধনিয়ার উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখ লাল হওয়া, চুলকানো, ফুলে যাওয়া ও জ্বালাপোড়া কমায়।
৮ মাসিক বা পিরিয়ডের সময় যাদের রক্তক্ষরণ বেশি হয় তারা নিয়মিত ধনিয়া খেতে পারেন। অনিয়মিত মাসিক নিরাময়েও ধনিয়া উপকারী।এক গ্লাস পানিতে ১ চামচ ধনিয়া সিদ্ধ করে তাতে এক চামচ চিনি মিশিয়ে গরম অবস্থায় পান করুন।

ফসল প্রাপ্তি সময়
মধ্য-ভাদ্র থেকে মধ্য-আশ্বিন  (সেপ্টেম্বর মাস)

Info by Akash

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.