OUT SOURCING

দারুচিনি পরিচিতি

আমাদের দেশে মসলা হিসেবে দারুচিনি বেশ পরিচিত। এটি একটি প্রাচীন মসলা ফসল। দারুচিনি একটি প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ একটি মসলা বৃক্ষের নাম। স্বাভাবিক পরিবেশে এই বৃক্ষের উচ্চতা দশ থেকে পনের মিটার পর্য্যন্ত হয়ে থাকে। আদি নিবাস শ্রীলংকায়। আজ কাল ইন্দোনেশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ ও চীন প্রভৃতি দেশে ও উৎপাদিত হচ্ছে। দেখতে কিছুটা তেজপাতা বৃক্ষের মতো এই বৃক্ষের চামড়াটা মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দারুচিনির সুগন্ধ যুক্ত তৈল ও পাওয়া যায়।

PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.
দারুচিনি বৈজ্ঞানিক নাম
Cinnamomus Zeylanicum
ইংরেজি নাম
Cinnamon

জাত
দারুচিনি এরা Lauraceae পরিবারের সদস্য।

খাদ্য উপাদানঃ-

শুধু রান্নায় নয়, শরীর ও ত্বক উভয়ের জন্যই দারুচিনির অনেক উপকারিতা রয়েছে। দারুচিনি সবচেয়ে বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভেষজ। দারুচিনিতে রক্তের শর্করার রোধক সহ অসাধারণ ঔষধি গুণাবলী রয়েছে যা, প্রদাহ কমাতে এবং স্নায়বিক স্বাস্থ্য উন্নীত করতে সহায়তা করে।
১০০ গ্রাম লবঙ্গতে আছেঃ-

উপাদান
পরিমাণ
ডায়েটারি ফাইবার
২৮ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট
গ্রাম
প্রটিন
গ্রাম



দারুচিনি ঔষধি গুনাগুনঃ-
১.ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রনে রাখে
দারুচিনি আমাদের দেহের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রনে রাখে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুচিনি খব উপকারী। যারা টাইপ টু ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী উপাদান হিসেবে দারুচিনি খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে।
২.অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
দারুচিনি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি খাবার। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষত সারিয়ে তুলতেও এই মসলা বেশ কার্যকর।
৩.ওজন কমাতে সহায়ক
যারা ওজন কমাতে চান তাদের খাবারের তালিকায় দারুচিনি রাখতে পারেন, কারণ দারুচিনি রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে এবং হজমে সাহায্য করে। আর তাই এই উপাদান দেহের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখে।
৪.স্মরণ শক্তি বাড়াতে
মানুষের স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য দারুচিনির কিছু উপাদান। যারা প্রতিদিন দারুচিনি খেয়ে থাকেন তাদের স্মরণশক্তি তীক্ষ্ণ হয়ে থাকে।
৫.অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করে
দারুচিনি পেটের জন্য ভীষণ উপকারি। এটি অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করে এবং পেটের ব্যথা উপশম করে। এসিডিটি রোধ করতে, মধুর সাথে দারুচিনি মিশিয়ে খেলে এসিডিটি ভালো হয়ে যায়।
৬.ক্যানসার প্রতিরোধ করে
দারুচিনির নানাবিধ উপাদান আমাদের দেহের ক্যানসার, টিউমার এবং মেলানমাস রোগ প্রতিরোধ করে। লিউকোমিয়া ও লিমফোমা ক্যান্সারের কোষগুলোর প্রভাব কমাতেও সাহায্য করে এই মসলা।
৭.বাত ও অস্টিওপোরোসিস দূর করে
দারুচিনিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, যা হাড় গঠন, রক্ত ও শরীরের অন্যান্য কোষ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। যাদের শরীরে খনিজ উপাদানের অভাব থাকে তাদের বাত ও অস্টিওপোরোসিসের সমস্যা হতে পারে।
৮   দারুচিনি দিয়ে এক কাপ চা বানিয়ে খান দেখবেন মাথা ব্যথা নিমিষেই দূর হয়ে যাবে।
৯ ব্যাক্টেরিয়া জনিত পেটের অসুখ থেকে বাঁচতে
দারুচিনিতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান পেটে ব্যাক্টেরিয়ার কারণে যে সব অসুখ হয় তা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। দারুচিনির চা, দারুচিনির তেল, দারুচিনিগুঁড়া ইত্যাদি পেটের বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
১০ শরীরে ছত্রাকের সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে দারুচিনি।
১১  দারুচিনির তেল চুইংগাম, মিন্ট চকলেট, মাউথওয়াশ, টুথপেস্ট ইত্যাদি তৈরিতে ব্যাবহার করা হয়। কারন দারুচিনির উপাদান দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি করে মুখের ভিতরে এমন ব্যাক্টেরিয়ার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে।
তাছাড়া ঠান্ডা জনিত রোগ, পেশী সংকোচনের কারণে ব্যথা এবং শক্তি  সঞ্চয়ে সাহায্য করে দারু চিনি। খাদ্য-বিষ ক্রিয়া থেকে আক্রান্ত হলে দারু চিনি খেলে উপকার পাওয়া যায়। কারণ এই মসলা পাকস্থলির ব্যাক্টেরিয়া ও ফাংগাস দমন করতে সাহায্য করে। এমনকি ঠাণ্ডায় গলা ব্যথা বা খুশ খুশে কাশিতে মধু চায়ের সাথে দারুচিনি মিশালে আরাম পাওয়া যায়।

ফসল প্রাপ্তি সময়
একাধিকবার ডাল কাটা যায়, তবে সবচে ভাল একবার ডাল কাটা এবং সেটা কাটতে হয় এপ্রিল মে মাসে। সাধারনতঃ ১-৩ সেমি ব্যাসের এবং এক হতে দেড় মিটার লম্বা ডাল কাটা ভাল।

Info by Akash

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.