OUT SOURCING

গোল মরিচ পরিচিতি


PICTURE:-AKASH

LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.
গোল মরিচ
পিপারাসি গোত্রের পিপার গণের একটি লতাজাতীয় উদ্ভিদ।গোল মরিচ ফলটি গোলাকার, ৫ মিলিমিটার ব্যাসের, এবং পাকা অবস্থায় গাঢ় লাল বর্ণের হয়ে থাকে। এর মধ্যে ১টি মাত্র বিচি থাকে।গোল মরিচ গাছের আদি উৎস দক্ষিণ ভারত। গোল মরিচে পাইপারিন নামের রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, যা থেকে এর ঝাঁঝালো স্বাদটি এসেছে।
গোল মরিচ বৈজ্ঞানিক নাম
Piper Nigrum
ইংরেজি নাম
Black Pepper
জাত
গোল মরিচ এরা Piperaceae পরিবারের সদস্য।

খাদ্য উপাদানঃ
ভিটামিন (B2, B6, K,C) ও মিনারেলে (ম্যাংগানিজ, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, পটাশিয়াম) ভরপুর সহজলভ্য এ মসলাটি।গোলমরিচে প্রচুর আশ, প্রোটিন, শর্করা রয়েছে।এটি ডায়রিয়া, হার্টের অসুখ থেকে শুরু করে দাঁতের অসুখ অ্যানিমিয়া এমনকি সর্দি কাশিতে ও বেশ কাজ দেয়।

১০০ গ্রাম তুলশিতে আছেঃ-
উপাদান পরিমাণ
প্রোটিন ১১.৫ গ্রাম
ফ্যাট ৬.৮ গ্রাম
শকর্রা ৮৯.২ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ৮৬০ মি.গ্রাম
ফসফরাস ১৯৮ মি.গ্রা
আয়রণ ১৬.৮ মি.গ্রা
ভিটামিন ‘এ’ ১৮০০ আইইউ
ভিটামিন বি১ ০.০৯ মি.গ্রা
ভিটামিন বি২ ০১.৪ মি.গ্রা.
নিয়াসিন ১.৪ মি.গ্রাম

গোল মরিচ ঔষধি গুনাগুনঃ-
প্রধানত কাজ করে রসবহ স্রোতে এবং অগ্ন্যাশয়ে বা পচ্যমানাশয়ে।
১. কাসিতেঃ
 জল খেয়ে বমি হয়ে গেলে যে কাসির উদ্বেগটা চলে যায়, বুঝতে হবে এই কাসি আসছে অগ্ন্যাশয়ের বিকৃতি থেকে, যেটাকে আমরা সাধারনে বলে থাকি পেট গরমের কাসি। সেক্ষেত্রে গোলমরিচ গুড়ো করে, কাপড়ে ছেকে নিয়ে, সেই গুড়ো এক গ্রাম মাত্রায় নিয়ে একটু গাওয়া ঘি ও মধু মিশিয়ে, অথবা ঘি ও চিনি মিশিয়ে সকাল থেকে মাঝে মাঝে একটু একটু করে ৭/৮ ঘন্টার মধ্যে ওটা চেটে খেতে হবে। এর দ্বারা ২/৩ দিনের মধ্যে ঐ পেট গরমের কাসিটা প্রশমিত হবে।
২. আমাশয়ঃ
 এই আমাশয় আম বা মল বেশী পড়ে না কিন্তু শুলুনি ও কোঁথানিতে বেশী কষ্ট দেয়, এক্ষেত্রে মরিচ চুর্ণ এক বা দেড় গ্রাম মাত্রায় সকালে ও বৈকালে দুবার জলসহ খেতে হবে। এর দ্বারা ঐ আমদোষ ২/৩ দিনের মধ্যেই চলে যাবে।
৩. ভুক্তপাকেঃ
 লোভও সামলানো যায় না, খেয়েও হজম হয় না, একটু তেল ঘি জাতীয় গুরুপাক কিছু খেলেই অম্বলের ঢেকুর, গলা-বুক জ্বালা, তারপর বমি হলে স্বস্তি। যদি কোন সময় এই ক্ষেত্র উপস্থিত হয়, তাহলে খাওয়ার পরই গোল মরিচের গুড়ো এক গ্রাম বা দেড় গ্রাম মাত্রায় জলসহ খেয়ে ফেলবেন, এর দ্বারা সেদিনটার মত নিস্কৃতি পাবেন, তবে, রোজই অত্যাচার করবো আর রোজই মরিচ খাবো, এটা করলে চলবে না।
৪. নাসা রোগেঃ
 এর লক্ষণ হলো প্রথমে নাকে সর্দি তারপর নাক বন্ধ, কোন কোন সময় কপালে যন্ত্রনা, ঘ্রানশক্তির হ্রাস এবং দুর্গন্ধও বেরোয়, এমনকি আহারের রুচিও কমে যায়, কারও কারও ঘাড়ে যন্ত্রনা হতে শুরু করে, নাক দিয়ে রক্তও পড়ে এক্ষেত্রে পুরানো (পুরাতন) আখের গুড় ৫ গ্রাম, গরুর দুধের দই (এই দই বাড়ীতে পেতে নিলে ভাল হয়) ২৫ গ্রাম, তার সঙ্গে এক গ্রাম মরিচের গুড়ো মিশিয়ে সকালে ও বৈকালে দুবার খেতে হবে।
৫. ক্রিমি রোগেঃ
 অগ্ন্যাশয় বিকারগ্রস্ত, তারই পরিনতিতে রসবহ স্রোতের বিকার, এই দুটি বিকারের ফলে যে ক্রিমির জন্ম হবে, সেটার লক্ষণ হলো পেটের উপরের অংশটায় মোচড়ানি ব্যাথা, এটা ২ থেকে ৭/৮বৎসর বয়সের বালক-বালিকাদেরই হয়। বালিকাদের জন্য ৫০ মিলিগ্রাম মাত্রায় মরিচের গুড়োয় একটু দুধ মিশিয়ে খেতে দিতে হবে। দরকার হলে সকালে বৈকালে ২ বার খেতে দিতে পারা যায়।
৬. শিশুদের ফুলো বা শোথেঃ
ঠান্ডা হাওয়া লাগানো বা প্রস্রাবের উপর পড়ে থাকা, শীতকালে উপযুক্ত বস্ত্রের অভাবে যেসব শিশু ফুলে যায়, সেখানে টাটকা মাখনের সঙ্গে ৫০ মিলিগ্রাম মরিচের গুড়ো মিশিয়ে রাখতে হবে, সেটা একটু একটু করে জিভে লাগিয়ে চাটিয়ে দিতে হবে।
৭. গনোরিয়াঃ
এই রোগকে আর্য়ুবেদে বলা হয় ঔপসর্গিক মেহ। এই রোগে প্রস্রাবের সময় বা পরে অথবা অন্য সময়েও টিপলে একটু পুজের মত বেরোয়, এক্ষেত্রে মরিচ চূর্ণ ৮০০ মিলিগ্রাম মাত্রায় দুবেলা মধুসহ খেতে হবে। প্রথমে ২/৩দিন একবার করে খাওয়া ভাল।
৮. মুত্রাবরোধেঃ
 প্রস্রাব একটু একটু হতে থাকে এবং থেমেও যায়, পূর্ব থেকে এদের হজমশক্তিও কমে গিয়েছে ধরে নিতে হবে। এরা গোলমরিচ ২ গ্রাম নিয়ে চন্দনের মত বেটে, একটু মিশ্রি বা চিনি দিয়ে শরবত করে খাবেন।

ফসল প্রাপ্তি সময়
সাধারণত চৈত্র-বৈশাখ মাস চারা উৎপাদনের পক্ষে উপযুক্ত সময়।


Info by Akash

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.