OUT SOURCING

জিরা পরিচিতি


PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.

জিরা
নিত্য প্রয়োজনীয় মসলাগুলোর মধ্যে অন্যতম জিরা। রান্না করা খাবার সুস্বাদু করতে কিন্তু এর জুড়ি মেলা ভার। রান্না ছাড়াও জিরার আরও অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
জিরা বৈজ্ঞানিক নাম
Cuminium Cyminum
ইংরেজি নাম
Cumin
জাত
জিরা এরা Apiaceae  পরিবারের সদস্য।

খাদ্য উপাদানঃ
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, জিরা পানির এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন, অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক প্রপাটিজ, কার্বোহাইড্রেট, মিনারেল এবং নানা সব উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা নানাভাবে শরীরের উপকার করে থাকে।

১০০ গ্রাম জিরাতে আছেঃ-

উপাদান
পরিমাণ
ক্যালরি
৩৭৫
ফ্যাট
২২ গ্রাম
কোলেস্টরল
নেই
কার্বোহাইড্রেট
৪৪ গ্রাম
ফোলেট
১০ মাইক্রোগ্রাম
নিয়াসিন
৫ মিলিগ্রাম

জিরা ঔষধি গুনাগুনঃ-

১ রোজ ডায়েটের তালিকায় এই পানীয়টি রাখলে ত্বকের ভিতরের পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে ত্বকের ভেতরে উপস্থিত টক্সিক উপদানেরা বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ফলে ত্বকের বয়স তো কমেই, সেই সঙ্গে সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।
২  বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে, নিয়মিত জিরা পানি খেলে শরীরের ডায়াজেস্টিভ এনাজাইমের উৎপাদন বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে লিভারে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানেরাও শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না।
৩ রেসপিরেটরি সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় :
জিরায় উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর বুকে মিউকাসের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা কমে, সেই সঙ্গে ফুসফুসের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। ফলে নানাবিধ রেসপিরেটরি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
৪ বাঙালি মানেই জন্ম খাদ্যরসিক। আর এমনটা হওয়া মানেই বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বল রোজের সঙ্গী। এমন অবস্থা যদি আপনারও হয়ে থাকে, তাহলে আজ থেকেই এক গ্লাস পানিতে পরিমাণ মতো জিরা ভিজিয়ে সেই পানি পান করা শুরু করুন।
৫ জিরায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে দেয়। ফলে খাবার এত সুন্দরভাবে হজম হতে শুরু করে যে ওজন বাড়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। ফাইবার আরেকভাবেও ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায়।
৬ নিয়মিত জিরা পানি পান করলে শরীরে পানির ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে শরীর শুকিয়ে গিয়ে কোনও ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
৭ জিরার ভিতরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এনার্জি এতটা বাড়িয়ে দেয় যে ক্লান্তি দূরে পালায়।
৮ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত সকাল বেলা খালি পেটে জিরে ভেজানো পানি খেলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে শুরু করে। এই কারণেই তো ডায়াবেটিস রোগীদের জিরা ভেজানো পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
৯ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস করে জিরা পানি খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স যেমন ঠিক হয়ে যায়, তেমনি পটাশিয়ামের ঘাটতিও দূর হতে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লাড প্রেসার কমতে শুরু করে।
১০  জিরায় উপস্থিত আয়রন শরীরে প্রবেশ করার পর লহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতিও দূর করে। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

ফসল প্রাপ্তি সময়
জিরা উষ্ণমণ্ডলীয় ফসল কিন্তু মধ্যম মানের আবহাওয়া বেশি পছন্দ করে। শীতকালীন ফসল হিসেবে এর আবাদ হয়। সাধারণত নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরে জিরার বীজ বপন করা হয়। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করে, তখন ফুল ফোটা ও বীজ গঠন সম্পন্ন হয়।
Info by Akash

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.