OUT SOURCING

তুলশি পরিচিতি

তুলশি একটি ঔষধিগাছ। তুলসী অর্থ যার তুলনা নেই। তুলসী গাছ লামিয়াসি পরিবারের অন্তর্গত একটি সুগন্ধী উদ্ভিদ।হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে এটি একটি পবিত্র উদ্ভিদ হিসাবে সমাদৃত। ব্রহ্মকৈবর্তপুরাণে তুলসীকে 'সীতাস্বরূপা', স্কন্দপুরাণে 'লক্ষীস্বরূপা', চর্কসংহিতায় 'বিষ্ণুপ্রিয়া', ঋকবেদে 'কল্যাণী' বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে

তুলশি  এর বৈজ্ঞানিক নাম

Ocimum Sanctum Linn

তুলশি এর ইংরেজি নাম

Holy Basil

তুলশি এর জাত

তুলশি এরা Labiatae পরিবারের সদস্য।

তুলশি এর খাদ্য উপাদানঃ

সুগন্ধিযুক্ত, কটু তিক্তরস, রুচিকর। এটি সর্দি, কাশি, কৃমি ও বায়ুনাশক এবং মুত্রকর, হজমকারক ও এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে বিশেষ করে কফের প্রাধান্যে যে সব রোগ সৃষ্টি হয় সে ক্ষেত্রে তুলসী বেশ ফলদায়ক।


তুলশি এর ঔষধি গুনাগুনঃ-


১ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২-৩ টি তুলসি পাতা খাওয়ার অভ্যাস করলে রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান এবং টক্সিন শরীরের বাইরে বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরের ভিতর থেকে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

২ বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত তুলসি পাতা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাও বাড়ে। ফলে শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। প্রসঙ্গত, মেটাবলিক ড্য়ামেজ-এর হাত থেকে লিভার এবং কিডনি-কে বাঁচাতেও তুলতি পাতা দারুণভাবে সাহায্য করে।


৩ তুলসি পাতায় উপস্থিত ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট শরীরের ভেতরকার ক্যান্সার সেল যাতে কোনওভাবেই জন্ম নিতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে ক্যান্সার রোগ ধারের কাছে ঘেঁষার সুযোগই পায় না। প্রসঙ্গত, গবেষণায় দেখা গেছে তুলসি পাতা লাংস, লিভার, ওরাল এবং স্কিন ক্যান্সার-এর প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪ তুলসি পাতা খাওয়া মাত্র কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ কমে যেতে শুরু করে। ফলে স্ট্রেস লেভেলও কমতে শুরু করে। কারণ কর্টিসল হরমোনের সঙ্গে স্ট্রেস-এর সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। প্রসঙ্গত, ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমাতেও তুলসি পাতা দারুণভাবে সাহায্য করে। তাই তো এবার থেকে যখনই মনে হবে মানসিক চাপ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখনই তুলসি পাতা খাওয়া শুরু করবেন। দেখবেন উপকার মিলবে।

৫ সিডেটিভ এবং ডিসইনফেকটেন্ট প্রপাটিজ থাকার কারণে তুলসি পাতা যে কোনও ধরনের মাথা যন্ত্রণা কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি প্রায়শই সাইনাস বা মাইগ্রেন-এর সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে কষ্ট কমাতে তুলসি পাতাকে কাজে লাগাতে পারেন।

৬ একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর তুলসি পাতা, দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ছানি এবং গ্লুকোমার মতো চোখের রোগকে দূরে রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। সেই সঙ্গে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন আটকাতেও সাহায্য করে।

৭ তুলসি পাতা হল প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। তাই তো জ্বর এবং সর্দি-কাশি সারাতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে তুলসি পাতা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র যে যে ভাইরাসের কারণে জ্বর হয়েছে, সেই জীবাণুগুলোকে মারতে শুরু করে। ফলে শরীর ধীরে ধীরে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

৮ তুলসি পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণুদের সঙ্গে সঙ্গে মেরে ফেলে। ফলে ব্রণের প্রকোপ কমতে শুরু করে।

তুলশি এর ফল প্রাপ্তি সময়

সারা বছর এ গাছ থেকে পাতা সংগ্রহ করা যায়। শীত কালের শেষে গাছে ফুল আসে। বসন্তে ফল পেকে যায়। জুলাই আগষ্ট বা নভেম্বর ডিসেম্বর এতে মঞ্জরী দেখা দেয়। বসন্তের শেষে বৈশাখে বীজ সংগ্রহ করা যায়

Info by Akash

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.