OUT SOURCING

ছাতিম পরিচিতি

এর আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। ক্রান্তীয় অঞ্চলের এই গাছটি বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বত্র জন্মে। আর্দ্র, কর্দমাক্ত, জলসিক্ত স্থানে ছাতিম বেশি জন্মে। ছাতিম মূলাবর্তে সাতটি পাতা এক সঙ্গে থাকে বলে সংস্কৃত ভাষায় একে 'সপ্তপর্ণ' বা 'সপ্তপর্ণা' নামে ডাকা হয়। ছাতিম গাছ হল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য উদ্ভিদ।

ছাতিম এর বৈজ্ঞানিক নাম

Alstonia Scholaris

ছাতিম এর ইংরেজি নাম

Blackboard Tree

ছাতিম এর জাত

ছাতিম এরা Apocynaceae পরিবারের সদস্য।



ছাতিম ঔষধি গুনাগুনঃ-

১। ছাতিম ছারের প্রধান ও প্রচলিত ব্যবহার কুষ্ঠরোগে। কোনো জায়গায় সাদা বা লাল দাগ দেখা গেলে, জায়গাটা একটু উঁচু ও বোধহীন হলে বোঝা যায় এটি  কুষ্ঠের লক্ষণ। এব ক্ষেত্রে (ক) ছাতিম ছালচূর্ণ এক গ্রাম এক চা চামচ গুলঞ্চের রস মিশিয়ে খেতে হবে। (খ) ১০/১২ গ্রাম ছাল তিন কাপ জলে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে ঐ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। অথবা (গ) ৪০/৪৫ গ্রাম ছালকে থেঁতো করে ৫০০ মি.লি পানিতে খানিকক্ষণ সিদ্ধ করে ছেঁকে সেই পানি গোসলের পানির সাথে মিশিয়ে গোসল করলে রোগ নিরাময় হয়। এটি চরক সংহিতার ব্যবস্থা।

২। কফের অাধিক্যসহ হিক্কা শ্বাসে ছাতিম ছালের আধা চা চামচ রস চার ভাগের এক কাপ দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে উপশম হয়।

৩। সর্দিবিহীন হাঁপানিতে এক থেকে দেড় গ্রাম ছাতিম ছালের গুঁড়া ও ২৫০ মি.গ্রা. পিুলল গুঁড়া দইয়ের মাতের সাথে মিশিয়ে খেতে হয়।

৪। ঠাণ্ডা লেগে বুকে সর্দি বা ল্লেষ্মা বসে গেলে পানি মিশানো দুধে ১ গ্রাম ছাতিম ছাল গুঁড়া দিয়ে অল্পক্ষণ ফুটিয়ে সেটা খেতে হবে। এতে সর্দিটা তরল হয়ে উঠে আসবে।

৫। মায়ের বুকের দুধ কমে গেলে ৫/৬ গ্রাম  ছাতিম ছাল ছেঁচে/থেঁতো করে ২ কাপ পানিতে মিশিয়ে সিদ্ধ করে আধা কাপ হলে নামিয়ে ছেকে তার সাথে আধা কাপ দুধ মিশিয়ে খেতে হবে। এতে দুধ বেড়ে যাবে।

৬। ছাতিমের আঠা ৮/১০ ফোঁটা গরম পানিতে মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে গারগল করলে বা সম্ভব হলে ২/৪ মিনিট মুখে পুরে রেখে ফেলে দিতে হবে। েএভাবে একদিন পরপর করলে পায়োরিয়া ভালো হয়।

৭। কোনো ব্রণের ক্ষত কোনোভাবেই না সারলে ছাতিমের আঠা শুকিয়ে গুঁড়া করে ক্ষতের উপর ছিটিয়ে দিলে সেবে যাবে।

৮। দাঁতের যন্ত্রণায় আক্রান্ত দাঁতে ছাতিমের আঠা দিতে হয়। এতে দাঁত ব্যাথা কমে যায়।

৯। মাঝে মাঝে জ্বর হয়, মুখে অরুচি, দাঁত পরিষ্কার হয় না, আস্তে আস্তে চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে, এরূপ ক্ষেত্রে ১০/১২ গ্রাম ছাতিম ছাল চাল ভাগের তিন কাপ পানিতে সিদ্ধ করে (শুকনা ছাল ৫/৬গ্রাম) ছেঁকে নিয়ে ঐ পানি সমান ভাগে সকালে ও বিকেলে খেলে ২/১ দিনের মধ্যেই জ্বর সেরে যায়।

১০। বাকলের নির্যাস উচ্চ রক্তচাপ ও ক্যান্সারের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর রস, আঠা ও মূল টিউমার এমনকি ডায়রিয়া ও আমাশয় রোগেও ব্যবহৃত হয়।

১১। ছাতিম গাছের ছাল সিদ্ধ করে যে নিযাস তৈরি করা হয়, ম্যালেরিয়া রোগের জন্য তা খুবই ভালো ওষুধ। ম্যনিলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা ম্যলিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ছাতিম গাছের ছালের নিযাস ব্যবহার করে সুফল পেয়েছেন। তাদের ধারণা, এটা কুইনাইনের বদলেও ব্যবহার করা যেতে পারে। ইন্ডিয়ান ইন্ডিজেনাস কমিটিও এ নিযাস দিয়ে ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসা করেন এবং সাফল্য পেয়ে থাকেন।

ফুলের  সময় কাল

ষড়ঋতুর দেশে শরৎ কালে দেখা যায় ছাতিমের ফুল।

Info by Akash

No comments

Pleas Do not write bad link

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.