OUT SOURCING

ইসবগুল পরিচিতি

ইসবগুল একটি দ্রবণীয় আঁশ যা এক প্রকার ওষুধি গাছের বীজ থেকে তৈরি হয়। ভারতীয় উপমহাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশেই ইসবগুল বেশ পরিচিত একটি খাবার। এটি খাদ্যতালিকায় সম্পূরক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত তুষার, দানা, ক্যাপসুল বা গুঁড়া আকারে ইসবগুল পাওয়া যায়।

PICTURE:- RAYHAN
LOCATION:-VALUKA

ইসবগুল এর  বৈজ্ঞানিক নাম

Plantago Ovata

ইসবগুল এর ইংরেজি নাম

Blond Plantain

ইসবগুল এর জাত

ইসবগুল হচ্ছে Plantaginaceae পরিবারের Plantago গণের একটি গুল্ম।

ইসবগুল এর খাদ্য উপাদানঃ

কোলন ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, পাইলস, কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি ইত্যাদি প্রতিরোধে বেশ কার্যকর ইসবগুলের ভুষি। এছাড়া, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, হজমক্রিয়ার উন্নতি, হৃদযন্ত্রের সুস্থতা, ওজন নিয়ন্ত্রণসহ নানা উপকারিতা রয়েছে ইসবগুলের।

ইসবগুল ঔষধি গুনাগুনঃ-

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:


ইসবগুলের দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় আঁশ প্রাকৃতিকভাবে জলগ্রাহী। এটি পরিপাকতন্ত্র থেকে পানি গ্রহণ করে মলের ঘনত্বকে বাড়িয়ে দিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে দুই চামচ ইসবগুল এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সাথে মিশিয়ে পান করে নিন।

কোলন-ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:


কোলন কার্সিনোজেনে (ক্যান্সার-সৃষ্টিকারী রাসায়নিক) আক্রান্ত কিছু ইঁদুরের উপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, সেলুলোজের তুলনায় ইসবগুল উল্লেখযোগ্যহারে টিউমারের ঘটনাসমূহকে হ্রাস করেছে।

জীবাণুঘটিত সংক্রমণ প্রতিরোধ করে:


কোষের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পানি এবং পেট্রলিয়াম-জাতীয় তুষারের নির্যাস হিটোলাইটিকাসহ তিন প্রজাতির জীবাণুকে নিষ্ক্রিয় করে; যেগুলো মানবদেহে ব্যাপকহারে সংক্রমণ ঘটায়।

ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে:


দইয়ের সাথে ইসবগুল মিশিয়ে খেলে এটি ডায়রিয়া প্রতিরোধে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। কারণ দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক পাকস্থলীর ইনফেকশন সারায় এবং ইসবগুল তরল মলকে শক্ত করতে সাহায্য করে। এজন্য তিন চা চামচ দইয়ের সাথে দুই চা চামচ ইসবগুল মিশিয়ে খেতে হবে।

রক্তচাপ কমায়:


গবেষণায় দেখা গেছে যে, আঁশ এবং প্রোটিন খেলে রক্তের সিস্টোলিক চাপ উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পায়। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইসবগুল কার্যকর ভুমিকা রাখে।

অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ করে:


ইসবগুলের আঁশ পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে একটা প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে যা অ্যাসিডিটির বার্ন থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করে এবং অ্যাসিডিটিতে আক্রান্ত হওয়ার সময় কমিয়ে আনে।

হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়:


ইসবগুল পাকস্থলীর দেয়ালে একটা পাতলা স্তরের সৃষ্টি করে যা খাদ্য হতে কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে যা আমাদেরকে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে ডাক্তাররা সব সময় ইসবগুল খাবারের পরামর্শ দেন।

ওজন নিয়ন্ত্রণ করে:


ইসবগুল খেলে পেট ভরা লাগে যা খাবার আগ্রহ কমায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে ইসবগুল একটি উত্তম হাতিয়ার।

হজমক্রিয়া উন্নত করে:


ইসবগুলে থাকা আঁশ পাকস্থলীর বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনে সাহায্য করে। ফলে খাদ্য দ্রুত হজম হয়। তাই হজমক্রিয়া উন্নত করতে নিয়মিত ইসবগুল খেতে পারেন।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে:


ইসবগুলের আঁশ পাকস্থলীতে জেলির মত একটি পদার্থ গঠন করে যা গ্লুকোজের ভাঙন ও শোষণের গতিকে ধীর করে। ফলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা ভারসাম্য অবস্থায় থাকে এবং এটা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।

পাইলস সমস্যার সমাধান করে:


ইসবগুলের আঁশ মলকে নরম করতে সাহায্য করে। ফলে পাইলসে আক্রান্তদের মলত্যাগে ব্যাথাজনিত সমস্যার সমাধানে কাজ করে ইসবগুল।

ইসবগুল এর  পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া


ইসবগুলের খুব অল্প পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে সাধারণ প্রতিক্রিয়াটি হল অন্ত্রে হালকা এবং অস্থায়ী অস্বস্তি। তবে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত ইসবগুল খেলে ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে স্বল্পমাত্রায় এজমা কিংবা এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ফসল প্রাপ্তি সময়

হেমন্তকালে বীজ বপন করা হয়। চৈত্র মাসে ফসল তোলা হয়।

Info by Akash

No comments

Pleas Do not write bad link

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.