OUT SOURCING

বেগুনের পরিচিতি

বেগুন এক অতি পরিচিত সব্জি। বেগুন গাছ প্রায় ৪০ থেকে ১৫০ সেমি দীর্ঘ হয়। পাতাগুলো ঘন এবং প্রায় ১০ থেকে ২০ সেমি দীর্ঘ ও ৫ থেকে ১০ সেমি প্রশস্ত হয়। ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন রান্নায় বেগুন ব্যবহার করা হয়। বেগুন ভর্তা, বেগুন পোড়া, এবং বেগুনী বানাতে এর ব্যবহার রয়েছে। বিশেষত বাংলাদেশে ইফতারের জন্য বেগুনী একটি জনপ্রিয় খাবার। বেগুন এর ভর্তা অনেক জনপ্রিয়। এটি গ্রামবাংলার অনেক সুস্বাদু খাবার।


PICTURE:-Humayon Kabir
LOCATION:-Dhaka

বেগুনের বৈজ্ঞানিক নাম

Solanum melongena

বেগুনের ইংরেজি নাম

Brinjal

বেগুনের জাত

বেগুন Solanaceae গোত্রের সদস্য। বাংলাদেশে বেগুনের বহু জাত রয়েছে।  বাংলাদেশে প্রধানতঃ লম্বা ফল, গোলাকর ফল ও গোলাকার এই তিন ধরণের বেগুনের চাষ বেশী হয়ে থাকে।

বেগুনের খাদ্য উপাদানঃ-

বেগুনে রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, এবং ভিটামিন কে।

১০০ গ্রাম বেগুনে আছেঃ-

উপাদান পরিমাণ
খাদ্যশক্তি- ২৫ কিলোক্যালরি
শর্করা- ৫.৮৮ গ্রাম
চিনি- ৩.৫৩ গ্রা
খাদ্যআঁশ- ৩ গ্রা
চর্বি- ০.১৮ গ্রা
আমিষ- ০.৯৮ গ্রা
থায়ামিন - ০.০৩৯ মি লি
রিবোফ্লেভিন - ০.০৩৭ মি লি
নিয়াসিন  - ০.৬৪৯  মি লি
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড- ০.২৮১ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি৬- ০.০৮৪ মিলিগ্রাম
ফোলেট- ২২ আইইউ
ভিটামিন সি- ২.২ মি লি
ভিটামিন ই- ০.৩মি লি
ভিটামিন কে- ৩.৫ আইইউ
ক্যালসিয়াম- ৯ মি লি
আয়রন- ০.২৩ মি লি
ম্যাগনেসিয়াম- ১৪মি লি
ম্যাংগানিজ- ০.২৩২ মি লি
ফসফরাস- ২৪ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম- ২২৯ মি লি
জিংক- ০.১৬ মিলিগ্রা

বেগুনের ঔষধি গুনাগুনঃ-

১. বেগুন রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা হাড় হাড় মজবুত ও সুস্থ রাখে এবং জয়েন্টের ব্যথা দূর করে।

২. প্রাকৃতিকভাবে আমাদের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৩. বেগুনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি ও ই আছে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

৪. বেগুনতে প্রচুর পরিমাণে এনজাইম আছে যা খাবার হজমে সহায়তা করে।

৫. চিনির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেগুন একটি আর্দশ সব্জি।

৬.  বেগুন আমাদের দেহের সঠিক রক্ত সরবরাহে কাজ করে। আমাদের দেহে জমা থাকা সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে যা হৃদপিণ্ডের রোগের জন্য দায়ী। উচ্চরক্তচাপ আক্রান্তরা বেগুন খেতে পারেন।
৭. শ্বাস-প্রশ্বাসের আরোগ্য ক্ষেত্রে বেগুনর ভূমিকা অনেক। নিয়মিত বেগুন খাওয়ার ফলে শ্বাস- প্রশ্বাসের সমস্যা কমে যায়।
৮. দাঁতের যন্ত্রণার অব্যর্থ ওষুধ হল বেগুন।
৯. অন্ত্রের কৃমি রোধ করে বেগুন।
১0. আমাদের অনেকেরই দাদের সমস্যা হয়ে থাকে। তাদের জন্য এ ফল একটি ভালো ওষুধ। এর রস দাদ ভালো করে।
১১.  উকুন দূরীকরণে এ ফল অনেক উপকার। বেগুনর আঠা মাথায় নিয়মিত লাগালে উকুন দূর হয়। তাছাড়া নিয়মিত খেলে চুলকে সুস্থ ও ভালো রাখতে সাহায্য করে।

১২. অনেকের খেতে অরুচি থাকে। খাবার দেখলেই বমি পায় বা পেট খারাপ হয়, তাদের জন্য বেগুন খুবই উপকারী।

বেগুনের পার্শপ্রতিক্রিয়া

যাদের এলার্জি আছে অতিরিক্ত বেগুন তা অনেক পরিমানে বের যেতে পারে

বেগুন চাষের সময়

নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি বেগুনের বীজ বোনার উপযুক্ত সময়। আর চারা রোপণের সময় মার্চ থেকে এপ্রিল উপযুক্ত সময়। তবে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসেও এর চারা রোপণ করা যায়।

ফসল প্রাপ্তি সময়

শীতের আগে রোপণ করা চারা সাধারণত চার থেকে পাঁচ মাসে ফুল ধরে। আর ছয় থেকে সাত মাসে বেগুন সংগ্রহ করা যায়। প্রথম দিকে গাছে প্রচুর বেগুন ধরে। বেগুন আমাদের দেশে সারা বছর পাওয়া যায়।

Info By Humyon Kobir

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.