এলাচি পরিচিতি
এলাচ বা এলাচি হল জিনজিবারেয় (আদা জাতীয় উদ্ভিদ) পরিবারের এলিটারিয়া এবং আমোমাম গণের বিভিন্ন গাছের বীজ থেকে উৎপাদিত একটি মশলা। উভয় গণের উদ্ভিদ দক্ষিণ এশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় উদ্ভিদ। তারা তাদের ছোট বীজ শুটি দ্বারা স্বীকৃত: ক্রস বিভাগ এবং টাকু আকৃতির ত্রিভুজাকৃতি, একটি পাতলা পাপড়ির মত বহিস্থ আবরণে মধ্যে ছোট ও কালো বীজ।
PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.
এলাচ বৈজ্ঞানিক নাম
Eliettaria Cardamomum
ইংরেজি নাম
Cardamomum
জাত
এলাচ এরা Zingiberaceae পরিবারের সদস্য।
খাদ্য উপাদানঃ-
শুধু সুগন্ধি এলাচের বৈশিষ্ট নয়,বরং এর রয়েছে অনেক পুষ্টি গুনএবং সাস্থউপকারিতা। ক্যালোরি,প্রটিন,ফ্যাট,ফাইবার,নিরাসিন,ভিটামিন এ ,ভিটামিন সি,সোডিয়াম,পটাশিয়াম,কপার ,আযরন,ফসফরাস এবং এতে বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান রয়েছে যা আমাদের অনেক ইপকার করে থাকে।
১ এলাচ গ্যাস্ট্রিক সমস্যা প্রতিরোধ করে , অ্যাসিডিটি দূর করতে চিবাতে পারেন একটি এলাচ । এটি ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে এবং হজমে সাহায্য করে । পেটের যে কোনো সমস্যা যেমন বদহজম নিরাময়ে সহায়তা করে । এক কাপ গরম পানিতে একটি এলাচ পিষে দিয়ে খেয়ে ফেলুন। দেখবেন হজমের সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে।
শ্বাসকষ্টে: মধু, লেবুর রস, গরম পানির সাথে একটা এলাচ পিষে মিশিয়ে পানিটুকু পান করালে তা শ্বাসকষ্ট দূর করবে। যারা হুপিংকাশি ও ফুসফুস সংক্রমণের মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য এলাচ খুবই উপকারি।
২ এলাচ হাঁপানি ও হৃদরোগ নিরাময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন কএরে। হৃদরোগ প্রতিরোধ করে, হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া এলাচ রক্তসঞ্চালনে সহায়ক। এলাচের গুঁড়ার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে হৃদরোগে উপকার পাওয়া যায়।
৩ মুখের দুর্গন্ধ সকলের জন্যই একটা বিব্রতকর সমস্যা। অনেকেই মুখের দুর্গন্ধজনিত সমস্যায় পড়ে থাকেন। ভালো ভাবে মুখ পরিস্কার করার পরও কারো কারো মুখে থেকে যায় দুর্গন্ধ। একটি এলাচ নিয়ে চিবোতে থাকুন। দেখবেন একেবারে দূর হয়ে গিয়েছে দুর্গন্ধ।
৪ চুলকানি ভালো ভোগাচ্ছে, সাধারণ মলম ব্যবহারেও রেহাই নেই। এ ক্ষেত্রে বড় এলাচি চন্দনের মতো গষে গাগিয়ে এক ঘন্টা পর ধেয়ে ফেললে উপকার পাওয়া যাবে।
৫ গরম পানিতে এলাচ গুড়ো ও মধু দিয়ে ফুটিয়ে তৈরি করে নিন এলাচ চা। মাথা ব্যথায় ভুগে থাকলে এক কাপ গরম এলাচ চা খেয়ে দেখুন। দেখবেন মাথা ব্যাথা নিমেষেই দূর হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও এলাচ চা মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।
৬ এতে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। তাই ত্বকের সমস্যায় এলাচ খুব উপকারি। কারণ ভিটামিন সি রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। কারো ত্বকে কালো ছোপ ছোপ দাগ থাকলে তা দূর করতে এলাচ বেটে দাগে নিয়মিত লাগালে দাগ চলে যাবে।
৭ কোষ্ঠকাঠিন্য ও জ্বরে উভয় সমস্যায় এলাচ খুব কাজের। এলাচ, বেল ও দুধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে গরম করুন। দুধ যখন ঘন হয়ে আসবে তখন তা একটু ঠাণ্ডা করে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও জ্বর কমে যাবে।
৮ হাই তুলতে বা বিশি হাসলে অথবা ভারী জিনিস তুলতে গেলে কখনো কখনো শরীরের কোনো কোনো জায়গায় টান ধরে। এ ক্ষেত্রে ছোট বা বড় এলাচি গরম পানিতে গুলে ছেঁকে খাওয়ালে তত্ক্ষণাত্ উপশম হয়। সপ্তাহখানেক প্রতিদিন খেলে ঐ উপসর্গ আর দেখা দেবে না।
৯.গায়ের দুর্গন্ধেঃ-
বড় এলাচি বেটে গায়ে মেখে কিছুক্ষণ পর গোসল করে ফেললে গায়ের দুর্গন্ধের মতো অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। দুএকটি দানা মুখে পুরে রাখলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে।
ফসল প্রাপ্তি সময়
বাংলায় আষাঢ় মাসে এলাচের এই জাতগুলোর ফুল আসে এবং ভাদ্র ও আশ্বিন মাসের শেষের দিকে এলাচ পরিপক্ক হয়। তখন বাগান থেকে কাঁচা এলাচ সংগ্রহ করে রোদে শুকাতে হয় অথবা বেশি পরিমাণে উৎপাদন করলে ড্রায়ার মেশিনের সাহায্যে শুকাতে হয়। বর্ষাকালে হয়ে থাকে বলে এলাচ না শুকিয়ে ঘরে রাখলে পচন ধরার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এলাচ ফল পরিপক্ক হলে ফলগুলো দেখতে কিছুটা সবুজের উপর লালচে হবে।
PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.
এলাচ বৈজ্ঞানিক নাম
Eliettaria Cardamomum
ইংরেজি নাম
Cardamomum
জাত
এলাচ এরা Zingiberaceae পরিবারের সদস্য।
খাদ্য উপাদানঃ-
শুধু সুগন্ধি এলাচের বৈশিষ্ট নয়,বরং এর রয়েছে অনেক পুষ্টি গুনএবং সাস্থউপকারিতা। ক্যালোরি,প্রটিন,ফ্যাট,ফাইবার,নিরাসিন,ভিটামিন এ ,ভিটামিন সি,সোডিয়াম,পটাশিয়াম,কপার ,আযরন,ফসফরাস এবং এতে বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান রয়েছে যা আমাদের অনেক ইপকার করে থাকে।
১০০ গ্রাম লবঙ্গতে আছেঃ-
উপাদান
|
পরিমাণ
|
ডায়েটারি
ফাইবার
|
২৮ গ্রাম
|
কার্বোহাইড্রেট
|
৬৮ গ্রাম
|
প্রটিন
|
১১ গ্রাম
|
এলাচ ঔষধি গুনাগুনঃ-
১ এলাচ গ্যাস্ট্রিক সমস্যা প্রতিরোধ করে , অ্যাসিডিটি দূর করতে চিবাতে পারেন একটি এলাচ । এটি ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে এবং হজমে সাহায্য করে । পেটের যে কোনো সমস্যা যেমন বদহজম নিরাময়ে সহায়তা করে । এক কাপ গরম পানিতে একটি এলাচ পিষে দিয়ে খেয়ে ফেলুন। দেখবেন হজমের সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে।
শ্বাসকষ্টে: মধু, লেবুর রস, গরম পানির সাথে একটা এলাচ পিষে মিশিয়ে পানিটুকু পান করালে তা শ্বাসকষ্ট দূর করবে। যারা হুপিংকাশি ও ফুসফুস সংক্রমণের মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য এলাচ খুবই উপকারি।
২ এলাচ হাঁপানি ও হৃদরোগ নিরাময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন কএরে। হৃদরোগ প্রতিরোধ করে, হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া এলাচ রক্তসঞ্চালনে সহায়ক। এলাচের গুঁড়ার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে হৃদরোগে উপকার পাওয়া যায়।
৩ মুখের দুর্গন্ধ সকলের জন্যই একটা বিব্রতকর সমস্যা। অনেকেই মুখের দুর্গন্ধজনিত সমস্যায় পড়ে থাকেন। ভালো ভাবে মুখ পরিস্কার করার পরও কারো কারো মুখে থেকে যায় দুর্গন্ধ। একটি এলাচ নিয়ে চিবোতে থাকুন। দেখবেন একেবারে দূর হয়ে গিয়েছে দুর্গন্ধ।
৪ চুলকানি ভালো ভোগাচ্ছে, সাধারণ মলম ব্যবহারেও রেহাই নেই। এ ক্ষেত্রে বড় এলাচি চন্দনের মতো গষে গাগিয়ে এক ঘন্টা পর ধেয়ে ফেললে উপকার পাওয়া যাবে।
৫ গরম পানিতে এলাচ গুড়ো ও মধু দিয়ে ফুটিয়ে তৈরি করে নিন এলাচ চা। মাথা ব্যথায় ভুগে থাকলে এক কাপ গরম এলাচ চা খেয়ে দেখুন। দেখবেন মাথা ব্যাথা নিমেষেই দূর হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও এলাচ চা মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।
৬ এতে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। তাই ত্বকের সমস্যায় এলাচ খুব উপকারি। কারণ ভিটামিন সি রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। কারো ত্বকে কালো ছোপ ছোপ দাগ থাকলে তা দূর করতে এলাচ বেটে দাগে নিয়মিত লাগালে দাগ চলে যাবে।
৭ কোষ্ঠকাঠিন্য ও জ্বরে উভয় সমস্যায় এলাচ খুব কাজের। এলাচ, বেল ও দুধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে গরম করুন। দুধ যখন ঘন হয়ে আসবে তখন তা একটু ঠাণ্ডা করে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও জ্বর কমে যাবে।
৮ হাই তুলতে বা বিশি হাসলে অথবা ভারী জিনিস তুলতে গেলে কখনো কখনো শরীরের কোনো কোনো জায়গায় টান ধরে। এ ক্ষেত্রে ছোট বা বড় এলাচি গরম পানিতে গুলে ছেঁকে খাওয়ালে তত্ক্ষণাত্ উপশম হয়। সপ্তাহখানেক প্রতিদিন খেলে ঐ উপসর্গ আর দেখা দেবে না।
৯.গায়ের দুর্গন্ধেঃ-
বড় এলাচি বেটে গায়ে মেখে কিছুক্ষণ পর গোসল করে ফেললে গায়ের দুর্গন্ধের মতো অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। দুএকটি দানা মুখে পুরে রাখলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে।
ফসল প্রাপ্তি সময়
বাংলায় আষাঢ় মাসে এলাচের এই জাতগুলোর ফুল আসে এবং ভাদ্র ও আশ্বিন মাসের শেষের দিকে এলাচ পরিপক্ক হয়। তখন বাগান থেকে কাঁচা এলাচ সংগ্রহ করে রোদে শুকাতে হয় অথবা বেশি পরিমাণে উৎপাদন করলে ড্রায়ার মেশিনের সাহায্যে শুকাতে হয়। বর্ষাকালে হয়ে থাকে বলে এলাচ না শুকিয়ে ঘরে রাখলে পচন ধরার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এলাচ ফল পরিপক্ক হলে ফলগুলো দেখতে কিছুটা সবুজের উপর লালচে হবে।