OUT SOURCING

কাজু বাদাম পরিচিতি


PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.

কাজু বাদাম
আমাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে কাজু বাদামের গুণের তুলনা হয় না। এতে প্রচুর আঁশ ও পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। হৃৎপিণ্ডের জন্য বেশ উপকারি। এটি চিনি ও কার্বহাইড্রেট মুক্ত। সবচেয়ে ভালো বিষয় হল- এর স্বাদ অসাধারণ। তাই শরীরকে ফিট ও সুস্থ রাখতে কাজু বাদাম খাওয়ার কোনো বিকল্প হয় না।
কাজু বাদাম বৈজ্ঞানিক নাম
Anacardium Occidentale
ইংরেজি নাম
Cashew
জাত
কাজু বাদাম এরা Anacardiaceae পরিবারের সদস্য।

খাদ্য উপাদানঃ
পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার দিক থেকে কাজু বাদামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এতে উপস্থিত প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কপার, ক্য়ালসিয়াম, ম্য়াগনেশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক এবং আরও নানাবিধ খনিজ এবং ভিটামিন নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। শুধু তাই নয়, কাজু বাদামে ভিটামিনের মাত্রা এত বেশি থাকে যে চিকিৎসকেরা একে প্রাকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট নামেও ডেকে থাকেন।
১০০ গ্রাম কাজু বাদামে আছেঃ-

উপাদান
পরিমাণ
শর্করা
৩০.১৯ গ্রাম
আমিষ
১৮.২২ গ্রাম
চর্বি
৪৩.৮৫ গ্রাম




কাজু বাদাম ঔষধি গুনাগুনঃ-
১.সুস্থ হৃৎপিণ্ড :
কাজুবাদামে ভালো ফ্যাট থাকে এবং এতে কোলেস্টেরল নেই বললেই চলে। দেহের বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এই বাদাম। এতে রয়েছে অলেইক অ্যাসিড, যা হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী।

২.সবল হাড় ও মাংসপেশি :
কাজুবাদাম ম্যাগনেসিয়ামে সমৃদ্ধ, যা সুগঠিত হাড়, মাংসপেশি ও স্নায়ুর জন্য খুবই দরকারি। মানুষের শরীরে দিনে ৩০০-৭৫০ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন হয় হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য।

৩.রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ :
কাজুবাদামে সোডিয়াম কম থাকে। বেশি থাকে পটাসিয়াম। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সহজেই।

৪.ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় :
এই বাদামে সেলেনিয়াম ও ভিটামিন ‘ই’ আছে, যা ফ্রি র‌্যাডিক্যালের জারণ প্রতিরোধ করে। ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়। পাশাপাশি বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কাজুতে প্রচুর জিংক থাকে বলে ইনফেকশনের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ সহজ হয়।

৫.দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ :
কাজুবাদামে উচ্চমাত্রার কপার থাকে। এ কারণে এনজাইমের কাজে, হরমোনের উৎপাদনে এবং মস্তিষ্কের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এ বাদাম। এছাড়া লাল রক্তকণিকা উৎপাদনেও সাহায্য করে এটি। ফলে অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ হয়।
৬.মুখ গহ্বরে উপস্থিত নানা রোগের প্রকোপ কমে:
কাজুতে উপস্থিত ফসফরাস, দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে নানাবিধ মুখগহ্বর সম্পর্কিত রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই দাঁতকে শক্তপোক্ত এবং সুন্দর রাখার ইচ্ছা যদি থাকে, তাহলে প্রতিদিন কাজু খেতে ভুলবেন না যেন!

৭.অ্যানিমিয়ার মতো রোগের প্রকোপ কমে:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, কাজু খাওয়া মাত্র দেহের ভেতরে আয়রনের ঘাটতি দূর হতে শুরু করে। ফলে লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে অ্যানিমিয়ার মতো রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না।

৮.চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:
কপার হল সেই খনিজ, যা চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের গোড়াকে শক্তপোক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই উপাদানটি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে কাজুতে। এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন কিভাবে কাজু চুলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে থাকে।

৯.ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে:
এই মারণ রোগটি যদি সাপ হয়,তাহলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হল বেজি। তাই তো যেখানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, সেখানে ক্যান্সার সেলের খোঁজ পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই তো প্রতিদিন এক মুঠো করে কাজু বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

১০.হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:
কাজু বাদামে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট একদিকে যেমন ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে, তেমনি নানাবিধ হার্টের রোগ থেকে বাঁচাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যাদের পরিবারে হার্ট ডিজিজের ইতিহাস রয়েছে, তারা প্রয়োজন মনে করলে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতেই পারেন।
ফসল প্রাপ্তি সময়
এপ্রিল থেকে জুন মাসে ফল সংগ্রহ করা হয়। কাজুবাদামের দৈর্ঘ্য ৪ থেকে ৫ সেন্টিমিটার। এর ওজন ৫ থেকে ২০ গ্রাম হয়ে থাকে।
Info by Akash

No comments

Pleas Do not write bad link

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.