মটরশুটি পরিচিতি
মটরশুটিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আঁশ এবং অনেক ধরনের পুষ্টিসমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে। এতে ফ্যাট কম থাকায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। মটরশুটিতে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, কেউ যদি প্রতিদিন ২ মিলিগ্রাম পলিফেলনসমৃদ্ধ খাবার খান তাহলে তার পাকস্থলী ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। আর এক কাপ মটরশুটিতে অন্তত ১০ মিলিগ্রাম পলিফেলন থাকে। তাই এটি পাকস্থলী ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে দারুণ কার্যকরী।
মটরশুটি এর বৈজ্ঞানিক নাম
Pisum Sativumমটরশুটি এর বৈজ্ঞানিক নামইংরেজি নাম
Green-Peaমটরশুটি এর জাত
মটরশুটি এরা Fabaceae পরিবারের সদস্য।মটরশুটি এর খাদ্য উপাদানঃ
ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড, বিটাক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ফসফরাস, জিঙ্ক, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স থাকে। সামান্য পরিমাণে ভিটামিন কেও থাকে মটরশুটিতে।১০০ গ্রাম মটরশুটিতে আছেঃ-
উপাদান
|
পরিমাণ
|
কিলোক্যালরি
|
৮০
থেকে ১০০
|
কার্বোহাইড্রেট
|
১৪.৫
গ্রাম
|
ফ্যাট
|
০.৫
গ্রাম
|
প্রোটিন
|
৫.৪
গ্রাম
|
মটরশুটি ঔষধি গুনাগুনঃ-
১.পুষ্টিগুণ:-
জনপ্রিয় এই মটরশুঁটির পুষ্টিগুণ অনেক। এতে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড, বিটাক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ফসফরাস, জিঙ্ক, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স ও ভিটামিন কে আছে।চলুন জেনে নেওয়া যাক মটরশুঁটির নানাবিধ উপকারিতা....
২.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:-
মটরশুঁটির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহ আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই দেহের সুস্থতার জন্য মটরশুঁটি খেতে পারেন। ডায়াবেটিক রোগীরাও নিশ্চিন্তে মটরশুঁটি খেতে পারেন। এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।৩.ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে:-
মটরশুঁটিতে প্রচুর ফাইবার ও প্রোটিন থাকে এবং এতে ফ্যাট নেই বললেই চলে। তাই মটরশুটি আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রনে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।৪.পাকস্থলীর ক্যান্সার রোধ করে:-
মটরশুঁটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান থাকে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। মটরশুঁটির দানাতে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল থাকে যা পাকস্থলীর ক্যানসার রোধ করতে সাহায্য করে, তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মটরশুঁটি রাখুন।৫.হৃদপিন্ডের জন্য ভালো:-
মটরশুঁটি ব্লাডপ্রেশার কমাতে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। মটরশুঁটিতে থাকা নায়াসিন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও মটরশুঁটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা রক্তনালীতে ব্লক হওয়া প্রতিরোধ করে।৬.কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে:-
মটরশুঁটির অতিরিক্ত ফাইবার উপাদান আমাদের দেহের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রোধ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত হতে ফাইবার সমৃদ্ধ মটরশুঁটি খেতে পারেন। এছাড়াও মটরশুঁটি বিপাকের উন্নতিতেও সাহায্য করে।৭.হাড় মজবুত করে:-
মটরশুঁটিতে থাকা পর্যাপ্ত ভিটামিন কে শরীরের হাড় শক্ত করতে খুব কার্যকর। তাছাড়া মটরশুঁটির ভিটামিন-বি অস্টিওপরোসিস রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।ফলিক এসিড থাকায় প্রসূতি মায়েরা মটরশুঁটি খেতে পারেন। এতে থাকে প্রচুর আয়রন অ্যানিমিয়া ও ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের জন্যও মটরশুঁটি খুব উপকারী কারন এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এই সবজি চোখের দৃষ্টিশক্তিও বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া মটরশুঁটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, ই, মিনারেল জিংক, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, আলফা লিনলেনিক এসিড ইত্যাদি নানাবিধ উপাদান আমাদের দেহের বলি রেখা, আলঝেইমারস, বাত এবং ব্রংকাইটিস প্রতিরোধ করে।
মটরশুটি চাষ
মটরশুটি শীত প্রধান ও আংশিক আর্দ্র জলবায়ুর উপযোগী ফসল। ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত সময়ে মটর শুটির চাষ হয়।
ফসল প্রাপ্তি সময়
মটরশুটি শীত প্রধান ও আংশিক আর্দ্র জলবায়ুর উপযোগী ফসল। ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত সময়ে মটর শুটির চাষ হয়।
Info by Akash
No comments
Pleas Do not write bad link