মাশরুম পরিচিতি
আল্লাহতায়ালা মানব জাতির কল্যাণে দুনিয়ায় অগণিত জিনিসের সৃষ্টি করেছেন। এরকম কোটি কোটি সৃষ্টির মধ্যে মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী ও ঔষধি গুণে ভরপুর একটি দ্রব্যের সহজ-সরল নাম মাশরুম। মাশরুম মোটামুটি সবার কাছেই পরিচিত। মাশরুমের মধ্যে প্রায় ৭ হাজার প্রজাতি আছে, তন্মধ্যে ১০০ প্রজাতির মতো মানুষের ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। এটি মাংসল ছত্রাক থেকে হয়, যা আদিকাল থেকে সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.
বর্তমানে মাশরুম সব সময় পাওয়া যায়।
PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.
মাশরুম এর বৈজ্ঞানিক নাম
Calocybe indicaমাশরুম এর ইংরেজি নাম
Mushroomমাশরুম এর জাত
মাশরুম এরা Tricholomataceae পরিবারের সদস্য।মাশরুম এর খাদ্য উপাদানঃ
মাশরুমে পেনিসিলিন নামক অ্যান্টিবায়োটিক থাকে যা মানুষের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। এটি খেতে খুবই মজা। তবে শুধু অর্গানিক বা জৈব ভাবে উৎপন্ন মাশরুম খাওয়ার উপযুক্ত।১০০ গ্রাম মাশরুমতে আছেঃ-
উপাদান
|
পরিমাণ
|
শক্তি
|
১১৩
ক্যাল
|
কার্বোহাইড্রেট
|
৪.১
গ্রাম
|
চর্বি
|
০.১
গ্রাম
|
প্রোটিন
|
২.৫
গ্রাম
|
ঞযরধসরহব
(ঠরঃ.ই১)
|
০.১
মিগ্রা
|
জরনড়ভষধারহ
(ঠরঃ. ই২)
|
০.৫
মিগ্রা
|
ঘরধপরহ
(ঠরঃ. ই৩)
|
৩.৮
মিগ্রা
|
চধহঃড়ঃযবহরপ
অ্যাসিড (বি-৫)
|
১.৫
মিগ্রা
|
ক্যালসিয়াম
|
১৮
মিগ্রা
|
ফসফরাস
|
১২০
মিগ্রা
|
পটাসিয়াম
|
৪৪৮
মিগ্রা
|
সোডিয়াম
|
৬
মিগ্রা
|
দস্তা
|
১.১
মিগ্রা
|
মাশরুম ঔষধি গুনাগুনঃ-
১। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে:
মাশরুমে উচ্চমাত্রার আঁশ থাকে, সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে এবং প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদপিণ্ডের কাজে সহায়তা করে।২। ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে:
মাশরুমের ফাইবার বা আঁশ পাকস্থলি দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখতে সাহায্য করে। মাশরুম রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে। উচ্চ ফ্যাট সমৃদ্ধ লাল মাংসের পরিবর্তে মাশরুম গ্রহণ করলে ওজন কমানো সহজ হয়। FASEB তে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা যায় যে, লাল মাংসের পরিবর্তে সাদা মাশরুম গ্রহণ করলে ওজন কমে।৩। ত্বক সুস্থ রাখে:
মাশরুম নামের ছত্রাকে নিয়াসিন ও রিবোফ্লাবিন থাকে যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারি। এই ছত্রাকে ৮০-৯০ ভাগ পানি থাকে যা ত্বককে নরম ও কোমল রাখে।৪। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট:
মাশরুমে পলিফেনল ও সেলেনিয়াম নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এতে মানুষের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সালফার ও থাকে। এই অত্যাবশ্যকীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো মারাত্মক কিছু রোগ যেমন- স্ট্রোক, স্নায়ুতন্ত্রের রোগ এবং ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা করে।৫। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
মাশরুম মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শিটাকে মাশরুম দৈনন্দিন কিছু অসুখ যেমন- কফ ও ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে।৬। ভিটামিন ডি ধারণ করে:
সূর্যের আলোর সংস্পর্শে যে মাশরুম উৎপন্ন হয় তাতে প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে যা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের শোষণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।৭। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে:
নিয়মিত মাশরুম ভক্ষণ ব্রেস্ট ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সার কমায়। মাশরুমের ফাইটোকেমিক্যাল টিউমারের বৃদ্ধিতে বাঁধার সৃষ্টি করে।৮। স্নায়ুতন্ত্র:
মাশরুমের ভিটামিন বি স্নায়ুর জন্য উপকারি এবং বয়সজনিত রোগ যেমন- আলঝেইমার্স রোগ থেকে রক্ষা করে।৯। ডায়াবেটিস:
মাশরুম গ্রহণ করলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। মাশরুমে এনজাইম ও প্রাকৃতিক ইনসুলিন থাকে যা চিনিকে ভাঙ্গতে পারে।১০। পরিপাক:
মাশরুমের ফাইবার ও এনজাইম হজমে সহায়তা করে। এটি অন্ত্রে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার কাজ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং কোলন এর পুষ্টি উপাদান শোষণকেও বাড়তে সাহায্য করে।মাশরুমের চাষ
সারাবছর জুড়ে চাষ করা যায়, তবে অয়েস্টার জাত কেবল শীতকালে চাষযোগ্য।মাশরুম প্রাপ্তি সময়
বর্তমানে মাশরুম সব সময় পাওয়া যায়।
Info by Akash
No comments
Pleas Do not write bad link