মুক্তাঝুরি পরিচিতি
মুক্তঝুরি বা মুক্তবর্ষী একটি একবর্ষজীবী গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এর পুষ্পবিন্যাস ক্যাটকিন জাতীয়। ক্যাটনিপের মতো এরও মূলের গন্ধ বেড়ালদের কাছে আকর্ষণীয় হবার কারণে এই উদ্ভিদটি বিশেষভাবে পরিচিত। এটি সমগ্ৰ নিরক্ষীয় অঞ্চল জুড়ে জন্মায়।
রোগের উপকার হয়। শিশুদের পায়খানা কষা হলে দুই গ্রাম পরিমাণ গাছের শিকড় ৫-৬ চামচ পানির সঙ্গে বেটে ভালোভাবে ছেঁকে সেই পানি শিশুকে খাওয়ালে উপশম হয়।এছাড়া শিশুদের জিভের ঘায়ে গাছের রস নিমতেলের সঙ্গে মিশিয়ে ঘায়ে লাগালে সেরে যায়। শুকনো পাতার গুঁড়া কৃমিনাশক ওষুধ হিসেবেও খুবই কার্যকর। এছাড়াআগুনে শরীরের কোনো অংশ পুড়ে গেলে পাতার কস্ফাথ লাগালে জ্বালাযন্ত্রণা কমে। এই কস্ফাথ কাশি, যক্ষ্ণা ও শিশুর শ্বাসনালির প্রদাহে হিতকর। তা ছাড়া পাতার কস্ফাথ বিছার দংশনের ব্যথা-বেদনা নিরাময় করে। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সূত্রে আমরা জানি, মুক্তাঝুরি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল। অর্থাৎ অসুখ বাঁধায় এমন অণুজীব ও ছত্রাকের হামলা থেকে গাছটি আমাদের বাঁচাতে পারে। এছাড়া কবিরাজরা জানেন কীভাবে মুক্তাঝুরি পাতার রস সামান্য লবণ দিয়ে খেলে চুলকানি, ফোঁড়া বা পাঁচড়া নিরাময় হয়। আবার বাতের ব্যথা নিরাময়ে নারিকেলের তেল বা লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। এ গাছের রস রসুনের সঙ্গে শিশুদের খাওয়ালে কৃমি পড়ে যায়। এবং অভিজ্ঞ কবিরাজরা মুক্তাঝুরি ফুসফুসের প্রদাহ, হাঁপানি ও শ্বাসনালির প্রদাহে ব্যবহার করেন। এ ক্ষেত্রে গাছটির ব্যবহার অমূল্যই বলতে হবে
শিশু-দের মাথার খুসকি, চাপড়া ঘা, দাদ বা রিংওয়ার্মঃ
১০-১২ টা পাতা ও এক গিঁট কাঁচা হলুদ একসাথে বেটে খুব পাতলা করে শিশুদের মাথায় লাগালে মাথার খুসকি, চাপড়া ঘা, দাদ এসব সেরে যায়। তবে শিশু দের সর্দি থাকলে এটা লাগানো যাবেনা।
মুক্তাঝুরি এর বৈজ্ঞানিক নাম
Acalypha indicaমুক্তাঝুরি এর ইংরেজি নাম
Indian Nettleমুক্তাঝুরি এর জাত
মুক্তাঝুরি এরা Euphorbiaceae পরিবারের সদস্য।মুক্তাঝুরি ঔষধি গুনাগুনঃ-
মুক্তাঝুরি নাম যেমন শ্রুতিমধুর তেমনি আকর্ষণীয় তার ঔষধিগুণ। দ্রব্যগুণ সংহিতা (তৃতীয় খণ্ড ১৯৯৭) এবং চিরঞ্জীব বনৌষধি (চতুর্থ খণ্ড ২০০০) গ্রন্থদ্বয়ে মুক্তাঝুরির উল্লেখ রয়েছে। গাছটির অভ্যন্তরীণ অপেক্ষা বাহ্যিক ব্যবহারই বেশি। এছাড়া পথের ধারে অনাদরে-অবহেলায় জন্মানো এই গুল্ম ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি, নিউমোনিয়া এবং বাতের চিকিৎসায় বিশেষভাবে উপকারী। এর পাতার রস তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মালিশ করলে বাতের ব্যথার উপশম হয়।এছাড়া পাতার রস পান করলে বমির উদ্রেক হয়। ক্ষত বা ঘায়ের জন্য পাতার রস খুবই উপকারী। পুরো গাছের রস কান ও বাতের ব্যথা কমায়। পাতার রস তিলের তেল মিশিয়ে ব্যবহারে অর্শরোগের উপকার হয়। শিশুদের পায়খানা কষা হলে দুই গ্রাম পরিমাণ গাছের শিকড় ৫-৬ চামচ পানির সঙ্গে বেটে ভালোভাবে ছেঁকে সেই পানি শিশুকে খাওয়ালে উপশম হয়।এছাড়া শিশুদের জিভের ঘায়ে গাছের রস নিমতেলের সঙ্গে মিশিয়ে ঘায়ে লাগালে সেরে যায়। শুকনো পাতার গুঁড়া কৃমিনাশক ওষুধ হিসেবেও খুবই কার্যকর। এছাড়াআগুনে শরীরের কোনো অংশ পুড়ে গেলে পাতার কস্ফাথ লাগালে জ্বালাযন্ত্রণা কমে। এই কস্ফাথ কাশি, যক্ষ্ণা ও শিশুর শ্বাসনালির প্রদাহে হিতকর। তা ছাড়া পাতার কস্ফাথ বিছার দংশনের ব্যথা-বেদনা নিরাময় করে। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সূত্রে আমরা জানি, মুক্তাঝুরি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল। অর্থাৎ অসুখ বাঁধায় এমন অণুজীব ও ছত্রাকের হামলা থেকে গাছটি আমাদের বাঁচাতে পারে। এছাড়া কবিরাজরা জানেন কীভাবে মুক্তাঝুরি পাতার রস সামান্য লবণ দিয়ে খেলে চুলকানি, ফোঁড়া বা পাঁচড়া নিরাময় হয়। আবার বাতের ব্যথা নিরাময়ে নারিকেলের তেল বা লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। এ গাছের রস রসুনের সঙ্গে শিশুদের খাওয়ালে কৃমি পড়ে যায়। এবং অভিজ্ঞ কবিরাজরা মুক্তাঝুরি ফুসফুসের প্রদাহ, হাঁপানি ও শ্বাসনালির প্রদাহে ব্যবহার করেন। এ ক্ষেত্রে গাছটির ব্যবহার অমূল্যই বলতে হবে
শিশু-দের মাথার খুসকি, চাপড়া ঘা, দাদ বা রিংওয়ার্মঃ
১০-১২ টা পাতা ও এক গিঁট কাঁচা হলুদ একসাথে বেটে খুব পাতলা করে শিশুদের মাথায় লাগালে মাথার খুসকি, চাপড়া ঘা, দাদ এসব সেরে যায়। তবে শিশু দের সর্দি থাকলে এটা লাগানো যাবেনা।
শিশুদের অনিয়মিত মলত্যাগঃ
শিশু দের অনেক সময় ২-৩ দিন অথবা তার থেকেও বেশিদিন পর পর মলত্যাগ করে,এ কারনে প্রচন্ড পেটে ব্যাথা হয়। এ অবস্থায় মুক্তোঝুরির পাতা বেটে একটু পুরনো ঘি মিশিয়ে পানের বোঁটার মুখে লাগিয়ে মলদ্বারে একটু ঢুকালে কিছুক্ষনের মধ্যে শিশুর পেট পরিস্কার হয়ে যায়। এছাড়া এর শেকড় ২ গ্রাম পরিমাণ নিয়ে তা ৫-৬ চা-চামচ পানিতে বেটে তা ন্যাকড়ায় ছেঁকে দু-চার বছর বয়সের শিশু-দের খাওয়ালে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য চলে যায়, পায়খানা পরিস্কার হয়ে যায়।ফুলের সময় কাল
মুক্তাঝুরি গ্রীষ্ম কালে রোপন করা হয়।
Info by Akash
goog info.
ReplyDelete