শ্বেতদ্রোণ পরিচিতি
শ্বেতাদ্রোণ হল লিউকাস গণের লামিয়াসি পরিবারের একটি গাছের প্রজাতি। যদিও পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে যেখানে এটি জন্মে, বিভিন্ন নামে পরিচিত। তবুও এটি ইংরেজি থুম্বাই নামে অধিক পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Leucas aspera এবং বাংলা ভাষায় একে শ্বেতাদ্রোণ, ধুলফি, দুলপি, দনকলস, ছোট হালকুশা, দন্ডকলস, দুলফি শাক, দল কলস, ধুবরি, দোর কলস, কান শিশা, কাউন শিশা, ধুরপ শাক নামে ডাকা হয় । এছাড়া মৌলভীবাজার জেলার চা বাগানের মুন্ডা আদিবাসীদের ভেতর এই শাক ডুরপি নামে পরিচিত। নেত্রকোণার হাজং আদিবাসীরা শাকটিকে ডংক্লাই ও দমকলস নামে ডাকেন।
২। শিশু কান্নাকাটি করছে, পেট ফাপা নেই; লক্ষণীয় অন্য কোনাে কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে বুঝতে হবে এটি কৃমির উপদ্রব। এমন অবস্থায় ৩/৪ ফোটা দওকলস পাতার রস একটু পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে, এতে কৃমির উপদ্রব উপশম হবে।
৩। অযত্বের কারণে দাঁতে পােকায় গর্ত করে ফেলেছে, ব্যথা-বেদনা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ২/৩ চা চামচ পাতার রসের মধ্যে অল্প লবণ নিয়ে হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে ২/৩ বার ৫-৭ মিনিট করে মুখে নিয়ে রাখতে হবে। পরে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে দাঁতে পােকার আক্রমণ বন্ধ হবে।
৪। খুসখুসে জ্বর ২/৩ সপ্তাহেও সাধারণ চিকিৎসায় সারছে না। এ ক্ষেত্রে দণ্ডকলস। গাছের ফুল কলার পাতায় জড়িয়ে তার উপরে মাটির প্রলেপ দিয়ে পােড়াতে হবে। তারপর মাটি ছড়িয়ে ঝলসানাে গাছ ছেঁচে রস বের করে এক চা চামচ দুধ মিশিয়ে দু’ ভাগ করে সকাল-বিকাল খেতে হবে। এভাবে কিছুদিন খেলে ঘুষঘুষে জ্বর সেরে যাবে।
৫। দণ্ডকলসের পাতায় ট্যানিন রয়েছে, এ ট্যানিন কোনাে ক্ষত কোষের সংস্পর্শে এসে কোষকলার প্রােটিনের সাথে বিক্রিয়ার মাধ্যমে একটি আবরণ তৈরি করে এবং এভাবে ক্ষত সারিয়ে তােলে (Ghani, 2002)। তাই পুরােনাে ঘা কিছুতেই সেরে উঠছে। না বরং পচা ঘা গভীর হচ্ছে দিনে দিনে—এরূপ ক্ষেত্রে ২/৩ চা চামচ পাতার রস এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে হালকা গরম থাকতে ঘা ধুয়ে দিতে হবে। এতে পচনটা কেটে যাবে।
শ্বেতদ্রোণ এর বৈজ্ঞানিক নাম
Leucas Asperaশ্বেতদ্রোণ এর ইংরেজি নাম
Wite Verticillaশ্বেতদ্রোণ এর জাত
শ্বেতদ্রোণ এরা Lamiaceae পরিবারের সদস্য।১০০ গ্রাম শ্বেতদ্রোণ আছেঃ-
উপাদান
|
পরিমাণ
|
এনার্জি
|
১৬ কিলোক্যালোরি
|
শর্করা
|
৩.৪ গ্রাম
|
ফ্যাট
|
০.১ গ্রাম
|
প্রোটিন
|
১.৩ গ্রাম
|
ফলেট
|
১২মাইক্রোগ্রাম
|
ভিটামিন- বি-১ (থায়ামিন)
|
০.০৪৭ মিলিগ্রাম
|
ভিটামিন- বি-২ (রিবোফ্ল্যাভিন)
|
০.১১২ মিলিগ্রাম
|
ভিটামিন- বি-৩ (নায়াসিন)
|
০.৪৮০ মিলিগ্রাম
|
ভিটামিন- বি-৬
|
০.০৭৩ মিলিগ্রাম
|
ভিটামিন- সি
|
২১ মিলিগ্রাম
|
ভিটামিন- এ
|
১৩২০ I.U
|
সোডিয়াম
|
৪৫ মিলিগ্রাম
|
পটাসিয়াম
|
৪৯৪ মিলিগ্রাম
|
ক্যালসিয়াম
|
৬৫ মিলিগ্রাম
|
ফসফরাস
|
৪৪ মিলিগ্রাম
|
ম্যাগনেসিয়াম
|
৬৮মিলিগ্রাম
|
লৌহ
|
১.৯৯ মিলিগ্রাম
|
শ্বেতদ্রোণ এর ঔষধি গুনাগুনঃ-
১। দওকলস ফুল ঠাণ্ডা সারাতে ব্যবহৃত হয় (Ghani, 2003), তাই নাকভরা সদি; ঝেড়েও শেষ করা যায় না, ঝাড়ার পরই আবার ভরে ওঠে —এই যে অবস্থা এতে ৩/৪ গ্রাম দণ্ডকলস চুল পিষে তাতে অল্প গরম পানি মিশিয়ে খেলে সর্দিটা তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাবে।২। শিশু কান্নাকাটি করছে, পেট ফাপা নেই; লক্ষণীয় অন্য কোনাে কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে বুঝতে হবে এটি কৃমির উপদ্রব। এমন অবস্থায় ৩/৪ ফোটা দওকলস পাতার রস একটু পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে, এতে কৃমির উপদ্রব উপশম হবে।
৩। অযত্বের কারণে দাঁতে পােকায় গর্ত করে ফেলেছে, ব্যথা-বেদনা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ২/৩ চা চামচ পাতার রসের মধ্যে অল্প লবণ নিয়ে হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে ২/৩ বার ৫-৭ মিনিট করে মুখে নিয়ে রাখতে হবে। পরে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে দাঁতে পােকার আক্রমণ বন্ধ হবে।
৪। খুসখুসে জ্বর ২/৩ সপ্তাহেও সাধারণ চিকিৎসায় সারছে না। এ ক্ষেত্রে দণ্ডকলস। গাছের ফুল কলার পাতায় জড়িয়ে তার উপরে মাটির প্রলেপ দিয়ে পােড়াতে হবে। তারপর মাটি ছড়িয়ে ঝলসানাে গাছ ছেঁচে রস বের করে এক চা চামচ দুধ মিশিয়ে দু’ ভাগ করে সকাল-বিকাল খেতে হবে। এভাবে কিছুদিন খেলে ঘুষঘুষে জ্বর সেরে যাবে।
৫। দণ্ডকলসের পাতায় ট্যানিন রয়েছে, এ ট্যানিন কোনাে ক্ষত কোষের সংস্পর্শে এসে কোষকলার প্রােটিনের সাথে বিক্রিয়ার মাধ্যমে একটি আবরণ তৈরি করে এবং এভাবে ক্ষত সারিয়ে তােলে (Ghani, 2002)। তাই পুরােনাে ঘা কিছুতেই সেরে উঠছে। না বরং পচা ঘা গভীর হচ্ছে দিনে দিনে—এরূপ ক্ষেত্রে ২/৩ চা চামচ পাতার রস এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে হালকা গরম থাকতে ঘা ধুয়ে দিতে হবে। এতে পচনটা কেটে যাবে।
ফুলের সময় কাল
শীতকালে ফুল হয়। গ্রীষ্মে ফল ও বীজ হয় এবং বর্ষায় গাছ মরে যায়।
Info by Akash
No comments
Pleas Do not write bad link