ঢেঁড়স পরিচিতি
ঢেঁড়সকে আমারা সধারণত মনে করি গুরুত্ত্বহীন৷ কিন্তু এই ঢেঁড়স আমাদের শরীরে অজান্তেই অনেক উপকার করে৷ ঢেঁড়সের কিছু গুণ রয়েছে যা শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে৷
ঢেঁড়সে রয়েছে সলিউবল ফাইবার পেকটিন যা রক্তের বাজে কোলেস্টেরলকে কমাতে সাহায্য করে। ঢেঁড়সের মধ্যে রয়েছে অনেক ওষুধ গুণ।
PICTURE:-RAYHAN
LOCATION:-VALUKA.
ঢেঁড়সে রয়েছে সলিউবল ফাইবার পেকটিন যা রক্তের বাজে কোলেস্টেরলকে কমাতে সাহায্য করে। ঢেঁড়সের মধ্যে রয়েছে অনেক ওষুধ গুণ।
PICTURE:-RAYHAN
LOCATION:-VALUKA.
ঢেঁড়স এর বৈজ্ঞানিক নাম
Abelmoschus Esculentusঢেঁড়স এর ইংরেজি নাম
Lady's-Fingerঢেঁড়স এর জাত
ঢেঁড়স এরা Malvaceae পরিবারের সদস্য।ঢেঁড়স এর খাদ্য উপাদানঃ
ঢেঁড়সের ভেতর রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, ভিটামিন এ, সি এবং ফলেট। সেই সঙ্গে রয়েছে ভিটামিন কে, বি, আয়রন, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, মেঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিটা ক্যারোটিন। সবকটি উপাদান একযোগে ডায়াবেটিস, অ্যাস্থেমা, অ্যানিমিয়াসহ একাধিক রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।১০০ গ্রাম ঢেঁড়সতে আছেঃ-
উপাদান
|
পরিমাণ
|
শক্তি
|
১৪৫
কিজু
|
শর্করা
|
৭.৬গ্রাম
|
খাদ্যে
ফাইবার
|
৩.২গ্রাম
|
স্নেহ
পদার্থ
|
০.১গ্রাম
|
প্রোটিন
|
২.০গ্রাম
|
ফোলেট
(বি৯)
|
৮৭.৮ μg
|
ভিটামিন
সি
|
২১
মিলিগ্রাম
|
ক্যালসিয়াম
|
৭৫
মিলিগ্রাম
|
ম্যাগনেসিয়াম
|
৫৭
মিলিগ্রাম
|
ঢেঁড়স ঔষধি গুনাগুনঃ-
১. কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়:
নিয়মিত এক বাটি করে ঢেঁড়সের তরকারি খেলে কিডনির ভেতর জমতে থাকা ক্ষতিকর উপাদান বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।২. ফলেটের ঘাটতি মেটায়:
শরীরকে সচল এবং রোগমুক্ত রাখতে নিয়মিত যে যে উপাদানগুলোর প্রয়োজন পরে, ফলেট তার মধ্যে অন্যতম। তাই তো দেহের ভেতরে এই উপাদানটির ঘাটতি হওয়া একেবারেই উচিত নয়।৩.কনস্টিপেশনের প্রকোপ কমায়:
ঢেঁড়সের শরীরে থাকা ফাইবার শুধুমাত্র হার্টের খেয়াল রাখে না, সেই সঙ্গে বাওয়েল মুভমেন্টে উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে কনস্টিপেশন, বদ–হজম এবং গ্যাস–অম্বলের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।৪. ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করে:
প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে প্রতিদিন এই সবজিটি খেলে একদিকে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে, তেমনি কোষেদের বিভাজনও ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে হওয়ার সুযোগ পায়।৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:
অতিরিক্ত কারণে যদি চিন্তায় থাকেন, তাহলে প্রতিদিনের ডায়েটে ঢেঁরসের অন্তর্ভুক্তি মাস্ট! কারণ এই সবজিটির ভেতর থাকা ফাইবার অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে।৬. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়:
শরীরে উপস্থিত বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে হার্টকে সুস্থ রাখতে ঢেঁড়সের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই সবজিটি ফাইবার সমৃদ্ধি।৭. হাড়কে শক্তপোক্ত করে:
ঢেঁড়সে উপস্থিত ফলে হাড়ের গঠনে উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো ৪০–এর পর থেকে প্রতিটি মহিলার নিয়ম করে ঢেঁড়স খাওয়া উচিত।৮.অ্যাস্থেমার মতো রোগকে প্রতিরোধে করে:
আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় অথবা ধুলোবালি নাকে ঢুকলেই শ্বাস কষ্ট শুরু হয়ে যায় নাকি? তাহলে তো কষ্ট কমাতে ঢেঁড়সের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতেই হবে।৯. ডায়াবেটিসের মতো রোগকে দূরে রাখে:
পরিসংখ্যান বলছে ইতিমধ্যেই আমাদের দেশ সারা বিশ্বের মধ্যে ডায়াবেটিস ক্যাপিটালে পরিণত হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, প্রতি বছর নতুন করে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্তের সংখ্যাটাও লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।ঢেঁড়স এর চাষ
গ্রীষ্মকালে ঢেঁড়সের চাষ করা হয়। আমাদের দেশে ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত ঢেঁড়স লাগানো হয়। ফাল্গুন মাস থেক চৈত্র ও আশ্বিন মাস থেকে কার্তিক মাস বীজ বোনার উপযুক্ত সময়।ঢেঁড়স এর প্রাপ্তি
গ্রিষ্ম কালে এটি বেশি পাওয়া গেলেও । বর্তমানে এটি আমাদের দেশে সারা বছর পাওয়া যায়।
Info by Akash
No comments
Pleas Do not write bad link