আকন্দ পরিচিতি
আকন্দ এক প্রকারের ঔষধি গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Calotropis gigantea । গাছটির বিষাক্ত অংশ হলো পাতা ও গাছের কষ। কষ ভীষণ রেচক, গর্ভপাতক, শিশু হন্তারক, পাতা মানুষ হন্তারক বিষ।
বুকে সর্দি বসে গেলে ভালো করে পুরনো ঘি বুকে ডলতে হয়। ঘি মাখানো বুকে আকন্দের পাতা গরম করে ছেক দিলে সর্দি ভালো হয়।
খোস-পাচড়া বা একজিমার ক্ষেত্রে আকন্দের আঠার সঙ্গে চার গুণ সরিষার তেল মিশিয়ে গরম করতে হয়। এই গরম তেলের সঙ্গে কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খোস পাচড়ায় মাখলে তা ভালো হয়ে যায়।
পা মোচকে গেলে প্রচণ্ড ব্যথায় এই আকন্দ পাতা দিয়ে গরম ছেক দিলে ব্যথা উপশম হয়।
আকন্দ বৈজ্ঞানিক নাম
Calotropis Giganteaআকন্দ ইংরেজি নাম
Milkweedআকন্দ জাত
আকন্দ এরা Apocynaceae পরিবারের সদস্য।আকন্দ খাদ্য উপাদান
বায়ুনাশক, উদ্দিপক, পাচক, পাকস্থলীর ব্যথা নিবারক, বিষনাশক, ফোলা নিবারক। প্লীহা, দাদ, শোথ, অর্শ, ক্রিমি ও শ্বাসকষ্টে উপকারী।আকন্দ ঔষধি গুনাগুন
পেট জ্বালায়:
আকন্দ পাতার উপরের পিটে সরিষার তেল মাখিয়ে পাতাটি অল্প গরম করে পেটের উপর রাখলে বা ছেঁক দিলে পেট কামড়ানো বা পেট জ্বালা বন্ধ হয়।এসিডিটি দেখা দিলে:
০.৬৫ গ্রাম পরিমাণ আকন্দ পোড়া ছাই পানিসহ পান করলে সঙ্গে সঙ্গে উপকার পাওয়া যায়।ফোলা রোগে:
আকন্দ ফোলা রোগে বিশেষ উপকারী। ফোলাজনিত কারণে কোনো স্থান ফুলে উঠলে আকন্দ পাতা বেঁধে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।শ্বাস কষ্টে:
আকন্দের শিকড়ের ছাল প্রথমে গুড়া করে পর আকন্দের আঠায় ভিজিয়ে রেখে পরে শুকিয়ে নিতে হবে। এর পর তা চুরুট বানিয়ে ধুমপান করলে শ্বাস কষ্ট ভাল হয়।নিউমোনিয়াজনিত কারণে:
আকন্দ পাতার সোজা দিক ঘি মেখে ব্যথার জায়গায় বসিয়ে লবনের পুটলি দিয়ে ছেক দিলে উপকার পাওয়া যায়।হজম শক্তিতে:
দুই গ্রাম পরিমাণ শুকনো আকন্দ মুল গুড়া করে খেলে ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়।দাঁতের ব্যথা ও গর্ভপাতে:
আকন্দের কষ তুলায় ভিজিয়ে লাগালে দাঁত ব্যথা দুর করে এবং যোনিতে ধারণ করলে গর্ভপাত ঘটায়।খোস-পাচড়া বা একজিমার ক্ষেত্রে:
আকন্দের আঠার সঙ্গে ৪গুণ সরিষার তেল মিশিয়ে গরম করে এই গরম তেলের সঙ্গে কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খোস পাচড়ায় মাখলে তা ভালো হয়ে যায়।পা মোচকালে:
গেলে প্রচণ্ড ব্যথায় এই আকন্দ পাতা দিয়ে গরম ছেক দিলে ব্যথা উপশম হয়।ব্রন ফাটাতে:
আকন্দ পাতা ওষুধ হিসেবে ব্রণ ফাটাতে সাহায্য করে। আকন্দ পাতা দিয়ে ব্রণ চেপে বেঁধে রাখলে ব্রণ ফেটে যায়।চুলের রোগ:
আকন্দ চুলের রোগ, ব্যাথা এবং বিষনাশে বিশেষ কার্যকরী।হাঁপানি রোগের:
হাঁপানি রোগের মহৌষধ আকন্দ পাতা। ১৪টি আকন্দ ফুলের মাঝখানে চৌকো অংশটি নিতে হবে। তারসঙ্গে ২১টি গুল মরিচ দিয়ে একসঙ্গে বেটে ২১টি বড়ি বানাতে হবে। প্রতিদিন সকালে পানি দিয়ে ১টি বড়ি খেলে হাঁপানি রোগের উপশম হয়। এই ওষুধ খাওয়ার সময় পথ্য হিসেবে শুধু দুধ ভাত খেতে হয়। এতে শ্বাসকষ্ট কেটে যায়।বিছে কামড়ালে জ্বালা-পোড়া কমাতে:
বিছে কামড়ালে জ্বালা-পোড়া কমাতে আকন্দ পাতা ব্যবহার করলে উপশম হয়।শরীরের ক্ষত হলে:
শরীরের কোনো স্থানে ক্ষত হলে সেই স্থানটিতে আকন্দ পাতা সেদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে হয়। এতে পুঁজ হয় না।বুকে সর্দি বসে গেলে ভালো করে পুরনো ঘি বুকে ডলতে হয়। ঘি মাখানো বুকে আকন্দের পাতা গরম করে ছেক দিলে সর্দি ভালো হয়।
খোস-পাচড়া বা একজিমার ক্ষেত্রে আকন্দের আঠার সঙ্গে চার গুণ সরিষার তেল মিশিয়ে গরম করতে হয়। এই গরম তেলের সঙ্গে কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খোস পাচড়ায় মাখলে তা ভালো হয়ে যায়।
পা মোচকে গেলে প্রচণ্ড ব্যথায় এই আকন্দ পাতা দিয়ে গরম ছেক দিলে ব্যথা উপশম হয়।
ফসল প্রাপ্তি সময়
মে- জুন মাসে ফল পাকলে ফেটে বীজ বাতাসে ভেসে বেড়ায়। এ সময় এটি চাষ করা ভালো। এছাড়াও কাটিং পদ্ধতিতেও এটি চাষ করা যায়।
Info by Akash
No comments
Pleas Do not write bad link