OUT SOURCING

সরিষা তেল পরিচিতি

সর্ষের তেল বা সরিষার তৈল সর্ষের (সরিষা) বীজ নিষ্পেষণ দ্বারা প্রস্তুত তেল। এই তেল রান্নার জন্যে, এবং গায়ে মাখা বা মালিশ করার কাজে ব্যবহার হয়। সর্ষের তেলের ঝাঁঝের জন্যে সর্ষের তেলের রান্নার আলাদা বিশেষত্ব আছে।



সরিষা তেল বৈজ্ঞানিক নাম

Brassica spp

ইংরেজি নাম

Mustard oil

জাত

সরিষা তেল এরা Brassicaceae পরিবারের সদস্য।

খাদ্য উপাদানঃ

এর মধ্যে আছে প্রোটিন, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ওমেগা, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পরিমাণমতো ভিটামিন এ। ফলে বুঝতেই পারছেন, সরিষার তেল ত্বক ভালো রাখার জন্য কতটা দরকারি।

১০০ গ্রাম সরিষাতে আছেঃ-

উপাদান
পরিমাণ
ক্যালরি
৫০৮
কার্বোহাইড্রেট
২৮ গ্রাম
পটাশিয়াম
৭৩৮ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম
১৩ মিলিগ্রাম
প্রোটিন
২৬ গ্রাম
চর্বি
৩৬ গ্রাম

সরিষা ঔষধি গুনাগুনঃ-

১. ত্বকের তামাটে ভাব দূর করে-
.সরিষার তেল ত্বকের তামাটে ভাব ও দাগ দূর করে এবং ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে উজ্জ্বল করতে পারে। এজন্য বেসন, দই, সরিষার তেল ও কয়েকফোঁটা লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে মিশ্রণটি আপনার ত্বকে লাগান। ১০-১৫ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে ৩ বার ব্যবহার করতে পারেন।

২. প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন-
যেহেতু সরিষার তেল খুব ঘন হয় এবং এতে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ই থাকে সেহেতু এই তেল ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ থেকে ত্বককে সুরক্ষা করে। তাই এটি স্কিন ক্যান্সার ও প্রতিরোধ করতে পারে। ভিটামিন ই বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূর করতেও সাহায্য করে।

৩. ঠোঁটের যত্নে-
শুষ্ক ঠোঁটের যত্নে সরিষার তেল চমৎকার প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। লিপ বাম বা চ্যাপ স্টিক এগুলোর পরবর্তী সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন।

৪. চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে-
সরিষার তেল চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, অকালে চুল সাদা হওয়া রোধ করে ও চুল পড়া কমায়। সরিষার তেলে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ থাকে। বিশেষ করে উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন থাকে এতে। বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয়ে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাটি এসিড ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা চুলের বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করে।

৫. ক্ষুধা বৃদ্ধি করে-
ক্ষুধার উপর সুস্বাস্থ্য অনেক নির্ভর করে। পাকস্থলীর পাচক রস উদ্দীপিত করার মাধ্যমে ক্ষুধা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে সরিষার তেল। যাদের ক্ষুধার সমস্যা আছে তারা রান্নার সময় সরিষায় তেল ব্যবহার করতে পারেন।

৬. উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে-
সরিষার তেল পরিপাক, রক্ত সংবহন ও রেচন তন্ত্রের শক্তিশালী উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া খাওয়ার পাশাপাশি বাহ্যিকভাবে শরীরে ম্যাসাজ করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন এবং ঘর্ম গ্রন্থি উদ্দীপিত হয় এবং শরীরের তাপমাত্রা কমে।

৭.ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়-
সরিষার তেলে গ্লুকোসিনোলেট নামক উপাদান থাকে যা অ্যান্টিকারসিনোজেনিক উপাদান হিসেবে পরিচিত। তাই এটি ক্যান্সারজনিত টিউমারের গঠন প্রতিরোধে সাহায্য করে। এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট কোলোরেক্টাল ও গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ক্যান্সার থেকে সুরক্ষাও প্রদান করে। এছাড়াও অ্যাজমা ও সাইনুসাইটিসের প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে সরিষার তেল অত্যন্ত কার্যকরী, ঠান্ডা-কাশি নিরাময়েও চমৎকার কাজ করে।

৮. চুল পাকা রোধ করতে-
সরিষা তেলের পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন, মিনারেল চুলের অকালপক্কতা রোধ করে থাকে। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সরিয়া তেল ম্যাসাজ করুন চুল এবং মাথার তালুতে যা আপনার চুল পাকা রোধ করবে।

৯. ঠোঁট ফাটা রোধ করে-
ঠোঁট ফাটা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। অনেকের এই সমস্যা এত বেশি হয়ে থাকে যে লিপবাম কাজ করে না। সমাধান? অল্প একটু সরিষা তেল নিয়ে ঠোঁটে লাগান। এই প্রাকৃতিক ময়োশ্চারাইজার ঠোঁট ফাটা রোধ করে ঠোঁট নরম কোমল করে তোলে।

ফসল প্রাপ্তি সময়

দৌলত কার্তিক থেকে অগ্রহায়ণ (মধ্য-অক্টোবর থেকে মধ্য-নভেম্বর) মাস পর্যন্ত বপন করা যেতে পারে।

Info by Akash

No comments

Pleas Do not write bad link

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.