OUT SOURCING

পিয়াজ পরিচিতি


PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.

পিয়াজ
বাঙ্গালীর খাদ্য তালিকায় পিয়াজ একটি অবিচ্ছেদ্য উপাদান। পরিমানের দিক দিয়ে পিয়াজ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মসলা। পিয়াজ সাধারনত মসলা হিসাবে ব্যবহৃত হলেও সবজি ও সালাদ হিসাবেও পিয়াজের ব্যবহার সব দেশেই প্রচলিত আছে। অন্যান্য অনেক মসলার ন্যায় পেয়াজ কেবল খাদ্যদ্রব্যকে আকর্ষণীয় ও খাদ্যের স্বাদই বৃদ্ধি করে না, খাদ্যের পুষ্টি গুনও বৃদ্ধি করে এবং এর ঔষধিগুনও অপরিসীম। ক্ষত প্রতিষেধক হিসাবে, সর্দি-কাশিতে এবং আমাশয় নিরাময়ে পিয়াজ ব্যবহৃত হয়।
পিয়াজ বৈজ্ঞানিক নাম
Alliumcepa
ইংরেজি নাম
Onion
জাত
পিয়াজ এরা Amaryllidaceae  পরিবারের সদস্য।

খাদ্য উপাদানঃ
তবে পেঁয়াজে পানির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি-প্রায় ৮৫%। এছাড়াও পুষ্টিগুণ বলতে গেলে, ভিটামিন সি, বি এবং পটাসিয়াম থাকে।
১০০ গ্রাম পিয়াজ আছেঃ-
উপাদান
পরিমাণ
শক্তি
১৬৬ কিজু
শর্করা
৯.৩৪ গ্রাম
চিনি
৪.২৪ গ্রাম
খাদ্যে ফাইবার
১.৭ গ্রাম
স্নেহ পদার্থ
০.১ গ্রাম
প্রোটিন
১.১ গ্রাম
ভিটামিনসমূহ

থায়ামিন (বি১)
০.০৪৬ মিলিগ্রাম
রিবোফ্লাভিন (বি২)
০.০২৭ মিলিগ্রাম
ন্যায়েসেন (বি৪)
০.১১৬ মিলিগ্রাম
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫)
০.১২৩ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি৬
০.১২ মিলিগ্রাম
ফোলেট (বি৯)
১৯ μg
ভিটামিন সি
৭.৪ মিলিগ্রাম
চিহ্ন ধাতুসমুহ

ক্যালসিয়াম
২৩ মিলিগ্রাম
লোহা
০.২১ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম
১০ মিলিগ্রাম
ম্যাঙ্গানিজ
০.১২৯ মিলিগ্রাম
ফসফরাস
২৯ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম
১৪৬ মিলিগ্রাম
দস্তা
০.১৭ মিলিগ্রাম
অন্যান্য উপাদানসমূহ

পানি
৮৯.১১ গ্রাম
Fluoride
১.১  μg

পিয়াজ ঔষধি গুনাগুনঃ-
১. সংক্রমণ ভালো করে:
এর মধ্যে কার্মিনেটিভ, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল, অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় পদার্থ মজুত রয়েছে। তাই শরীরে কোথাও সংক্রমণ ঘটে থাকলে কাঁচা পেঁয়াজ একটু বেশি খান, চটজলদি উপকার পাবেন।

২. পুষ্টিগুণে ভরপুর:
প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, সালফার, ভিটামিন B এবং C থাকে।

৩. জ্বর-সর্দিতে অসাধারণ কাজ করে:
ঠাণ্ডা লাগার ফলে গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি, জ্বর, অ্যালার্জি বা সামান্য গা ব্যথায় দারুণ কাজ করে। সামান্য পেঁয়াজের রসের সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে খান। জলদি সেরে উঠবেন।

৪. দেহের তাপমাত্রা কমায়:
জ্বরে দেহের তাপমাত্রা বেশি থাকলে পাতলা করে কাটা পেঁয়াজ কপালে রাখলে কিছু ক্ষণের মধ্যে তাপমাত্রা কমিয়ে দেবে।

৫. নাক থেকে রক্ত পড়া বন্ধ:
গ্রীষ্মে বা শীতে অনেকের নাক থেকে রক্তপাত হয়। যদি এ সময়ে কাছাকাছি পেঁয়াজ থাকে তাড়াতাড়ি কেটে তার ঘ্রাণ নিতে থাকুন। রক্তপাত কমে যাবে বা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।

৬. হজমশক্তি বাড়ায়:
যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তাঁরা রোজ একটু কাঁচা পেঁয়াজ খান। পেঁয়াজ খাবার হজমের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন এনজাইম বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে দ্রুত খাবার হজম হয়।

৭. ত্বকের সমস্যা মেটায়:
পোকামাকড়ের কামড় হোক, বা রোদে পোড়া ট্যান, কিংবা ব্রণ-ফুসকুড়ি, এ সবের সমস্যা থাকলে সে সমস্ত জায়গায় একটু পেঁয়াজের রস লাগান। একটু কুটকুট করতে পারে, তবে দ্রুত কাজ করবে।

৮. ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ে:
কোলন ক্যান্সারের মতো রোগের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।

৯. হৃদয় এবং হাড় ভালো রাখে:
হাড়ের কঠিন ব্যারাম অ্যাথেরসক্লেরোসিস এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের সঙ্গে লড়ে। তার সঙ্গে দেহে খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। যার ফলে আপনার হার্ট সুস্থ থাকে।

১০. ডায়াবেটিকদের জন্য খুব ভালো:
দেহে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে পেঁয়াজ অত্যন্ত ভালো। যারা ডায়াবেটিক তারা চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে রোজ পেঁয়াজ খান।

ফসল প্রাপ্তি সময়
শীতকালীন জাতগুলোর বীজ মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসে বীজতলায় বপন করতে হয় এবং অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ৪০-৫০ দিন বয়সের চারা ক্ষেতে রোপণ করতে হয়।গ্রীস্মকালীন জাতগুলো যেমন বারি পেয়াজ ২ ও ৩ আগাম চাষ করতে হলে মধ্য ফেব্রুয়ারী থেকে মার্চের ১ম সপ্তাহ পর্যন্ত বীজ বপন করতে হয় এবং এপ্রিল মাসে ৪০-৫০ দিন বয়সের চারা মাঠে রোপণ করা যায়।

Info by Akash

No comments

Pleas Do not write bad link

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.