OUT SOURCING

পেয়াজের কলি

আমাদের দেশে একটি অতি পরিচিত সবজি হচ্ছে পেঁয়াজ কলি। পেঁয়াজ জাতীয় যেকোন উদ্ভিদে অ্যান্টিবায়োটিক গুণাবলি রয়েছে। পেয়াজের কলিতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান রয়েছে যা ভিটামিন সি এর সাথে যুক্ত হয়ে ক্ষতিকারক মাইক্রোঅরগানিসম দূর করতে সাহায্য করে। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সবজিটি খেতে কিন্তু খুবই সুস্বাদু। এটা খেতে যেমন ‍সুস্বাদু তেমনি এর বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুণও আছে।

পেয়াজের কলি এর ইংরেজি নাম

Onion Sprouts

পেয়াজের কলি এর জাত

পিয়াজ এরা Amaryllidaceae পরিবারের সদস্য।

পেয়াজের কলি এর খাদ্য উপাদানঃ

পেয়াজের যে উপাদান রয়েছে তা পাকস্থলি, অন্ত্র এবং মূত্র প্রদাহ রোধে কাজ করে থাকে। পেয়াজের কলি দিয়ে রক্তপাত বন্ধ এবং সেই ক্ষতকে ইনফেকশনমুক্ত রাখার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

পেঁয়াজ কলি ঔষধি গুনাগুনঃ-

১.ক্যান্সারের ঝুকি কমায়ঃ

পেঁয়াজের কালি সালফারের দারুন উৎস। আর এই সালফার স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারী। এতে যে ধরনের এলিয়েল সালসাইফ থাকে তা শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

২.ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ

পেঁয়াজের কলি’তে  থাকা সালফার শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য দারুন উপকারী।

৩.হজমে সহায়তা করেঃ

রান্নায় স্বাদ বাড়াতে পেঁয়াজের কালি’র জুড়ি নেই। এতে প্রচুর পরিমানে আঁশ থাকে যা হজমে সহায়তা করে।

৪.দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করেঃ

পেঁয়াজের কালি’তে থাকা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ- ও থাকে যা চোখ ভাল রাখতে সাহায্য করে।

৫.সর্দি কাশি নিরাময় করেঃ

বিভিন্ন ধরনের ফ্লু, সর্দি সারাতে পেঁয়াজের কালি দারুন উপকারী। এটা সর্দি কমাতে এবং শীতজনিত ঠাণ্ডা সারাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

৬.মূত্র প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করেঃ

পেঁয়াজ কলিতে আছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা পাকস্থলি, অন্ত্র এবং মূত্র প্রদাহ রোধে কাজ করে।

৭.রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করেঃ

বিভিন্ন ধরনের ক্ষত থেকে রক্তপাত বন্ধ এবং সেই ক্ষতকে ইনফেকশনমুক্ত রাখার জন্য পেঁয়াজ কলি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

৮.মাংসপেশী ও হাড়ের ব্যথা দূর করেঃ

পেঁয়াজ কলিতে বেদনা উপশমকারী উপাদান থাকায় এর থেকে তৈরি লেমন গ্রাস ওয়েল দ্রুত মাথা, মাংসপেশী এবং হাড়ের ব্যাথা থেকে মুক্তি দেয়।

৯.জ্বর নিয়ন্ত্রণে আনেঃ

জ্বরে ভুক্তভুগীদের খাবারে পেঁয়াজ কলি ব্যবহার করলে বা পেঁয়াজ কলির স্যুপ খাওয়ানো হলে, জ্বর খুব জলদি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কারণ এতে আছে অ্যান্টি-পাইরোটিক উপাদান।
পেঁয়াজের কালি সালফারের দারুন উৎস । আর এই সালফার স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারী। এতে যে ধরনের এলিয়েল সালসাইফ থাকে তা শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
পেঁয়াজের কলি’তে  থাকা সালফার শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য দারুন উপকারী।
রান্নায় স্বাদ বাড়াতে পেঁয়াজের কালি’র জুড়ি নেই। এতে প্রচুর পরিমানে আঁশ থাকে যা হজমে সহায়তা করে।
পেঁয়াজের কালি’তে থাকা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ- ও থাকে যা চোখ ভাল রাখতে সাহায্য করে।

পেয়াজের চাষ 

শীতকালীন জাতগুলোর বীজ মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসে বীজতলায় বপন করতে হয় এবং অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ৪০-৫০ দিন বয়সের চারা ক্ষেতে রোপণ করতে হয়।

পেয়াজের  কলি প্রাপ্তি সময়

গ্রিষ্ম কালে প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায় । এটি মুলত শীত কালীন সবজি তাই শীত কালেই এর বেশি পরিমানে পাওয়া যায়।

Info by Akash

No comments

Pleas Do not write bad link

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.