OUT SOURCING

কমলা পরিচিতি

কমলা লেবু দেখতে যেমন চমৎকার এর পুষ্টিগুণও অনেক। কমলার যেমন রূপ তেমনি গুণও। গোলগাল আকৃতির এই ফলটি সবাই খেতে পছন্দ করেন। শীতের সময়ে বাজারে কমলা বেশ সহজলভ্য। কিন্তু সুস্বাদু এই ফলের গুরুত্ব না বুঝে আমরা অনেকেই এটি খাই না। কমলার আদি জন্মস্থান সম্ভবত চীন। প্রায় চার হাজার বছর পূর্বে চীন দেশের লোকেরা প্রথমে কমলার চাষ শুরু করে। বিদেশি ফল হলেও এটি বাংলাদেশে দেশি ফলের চেয়েও বেশি পরিচিত। আর দামটাও অনেকটাই নাগালের মধ্যে।

কমলার বৈজ্ঞানিক নামঃ

Citrus reticulata

কমলার ইংরেজি নামঃ 

Orange

কমলার জাতঃ

কমলা এক প্রকারের লেবু জাতীয় রসালো ফল। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি কমলালেবু ১ নামের একটি নতুন ভ্যারাইটি বাজারে ছেড়েছে। এর ফল প্রায় গোলাকার, রসালো ও মিষ্টি। প্রাপ্ত বয়স্ক গাছ ৩০০-৩৫০টি ফল উৎপাদন করতে পারে। প্রতিটি ফলের গড়পড়তা ওজন প্রায় ১৯০ গ্রাম।

কমলার খাদ্য উপাদানঃ

কমলায় রয়েছে ভিটামিন-সি, এ, ফ্ল্যাভনয়েড, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ডায়েটারি ফাইবার।

১০০ গ্রাম কমলায় আছেঃ

উপাদানের নাম
পরিমাণ
প্রোটিন
০.৫ গ্রাম
বিটা-কারোটিন
৩৩.৬ মাইক্রো গ্রাম
ভিটামিন সি
৫ মিগ্রা
ক্যালসিয়াম
১৮ মিলিগ্রাম
ফসফরাস
২৭ মিলিগ্রাম


কমলার ঔষধি গুণাগুণ

1- কমলা লেবু দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে।

2- ত্বকের ব্রণ সমস্যা দূরীভূত করে ও ত্বকের কালো দাগ সারায়।।

3-কমলা খেলে ক্ষুধা মন্দা দূর হয়, খাওয়ার রুচি ও শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায়।

4- কঠোর পরিশ্রমের পর অন্য খাবারের সঙ্গে কমলা খেলে ক্লান্তি দূরীভূত হয়।

5- টক স্বাদের কমলা খেলে শরীরের চর্বি কমে।

6- কমলা কৃমি নাশ করতে সাহায্য করে।

7- কমলায় আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান যা হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে এবং নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে।

8- শরীরে ওষুধ গ্রহণে সাহায্য করে।

9-কমলা লেবু কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীভূত করে।

10- কমলার খোসায় চিনির পরিমাণ কম, তাই এটা রক্তে শর্করার মাত্রায় প্রভাব ফেলে। ডায়াবেটিস এবং মেটাবলিক সিন্ড্রম রোগীদের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়ক হয়। তাই কমলার ডায়াবেটিক রোগীদের আদর্শ পথ্য।

11- ঠাণ্ডা লাগা, কানের সমস্যা দূর করতে ভীষণ উপকারী কমলা।

12- কমলার তাজা খোসা বেঁটে টুথপেস্টের মতো ব্যবহার করা যায়।

13- ব্রেস্ট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার ও স্কিন ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ করে।

14- এতে রয়েছে প্রচুর আঁশজাতীয় উপাদান, যা ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

15-রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

16- ত্বকের সতেজতা বৃদ্ধিতে এবং চুলের যত্নেও কমলা লেবুর খোসা ব্যবহার করা যায়।

17- মুখে সুগন্ধি আনয়ন করে।

18- স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করে এবং মন প্রফুল্ল রাখে।

কমলা চাষের সময়ঃ

মে থেকে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। তবে সেচ সুবিধা থাকলে অন্য সময়ও রোপণ করা যায়।

কমলার ফল প্রাপ্তির সময়ঃ

কমলা গাছে সাধারণত মাঘ থেকে চৈত্র (ফ্রেব্রুয়ারি থেকে মার্চ) মাসে ফুল ধরে এবং কার্তিক থেকে পৌষ (নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর) মাসে কমলা সংগ্রহের উত্তম সময়।

info by Hymayon Kabir

No comments

Pleas Do not write bad link

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.