তাল পরিচিতি
তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে,সব গাছ ছাড়িয়ে,উকি মারে আকাশে-এ কবিতা ছোট বেলায় আমরা কে না পাঠ করছি।তাল গাছের ফলই হলো তাল।তাল বাংলাদেশর একটি সুস্বাদু গুরুত্বপূর্ণ অপ্রচারিত ফল। তাল আমরা পাকা ও কাঁচা উভয় অবস্থায় খেয়ে থাকি। তাল দেখতে কালো রঙের গোলাকৃতি। তালের গুন ও মানে প্রায় অনেক ফলকে ছড়িয়ে আছে।
১/ তাল অ্যান্ট-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
২/ তাল অন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এবং রোগ হলে ভাল করতে সহায়তা করে।
৩/ তাল শরীরে ভিটামিন-বি এর অভাব পুরন করে কারন তাল ভিটামিন -বি এর আধার।
৪/ প্রচুর পরিমাণে তাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়। শরীরে সতেজতা আসে।
৫/ আমাদের কাজকর্মের ফলে হারের ক্ষয় হয়ে থাকে যা প্রচুর তাল খাওয়ার মাধ্যমে পুরোন করা সম্ভব।
৬/ সাধারণত ডায়বেটিকস রোগিরা চিনি খেতে পারে না তারা চাইলে খাদ্যের সাথে তাল খেতে পারে কারন তালে তাদের কোন ক্ষতি হবে না।
৭/ তাল আমাদের স্মৃতি শক্তি বাড়িয়ে দেয় তাই তাল আমাদের ব্রনের তথ্যকে দীর্ঘ স্থায়ি করতে সাহায্য করে।
৮/ তাল খেলে ফুসফুস ভালো থাকে তাই আমাদের প্রচুর পরিমাণে তাল খাওয়া উচিত।
৯/ প্রচুর পরিমাণে তাল খেলে কৃমি রোগ হয় না।
১০/ তাল লিভারে টনিক হিসাবে কাজ করে তাই প্রচুর পরিমাণে খেলে লিভারের নানা সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
১১/ তালের নির্জাস ক্ষত স্থানে লাগালে শীতল অনুভব হয়।
১২/ তালের নির্জাস ঘামাচিতে লাগালে ঘামাচি দুর হয়।
১৩/ প্রচুর পরিমাণে তাল খেলে পেটের জ্বালাপোড়া দুর হয়।
১৪/ বাচ্চাদের সর্দি-কাশি দুর করতে তালের ব্যবহার হয়।
১৫/প্রচুর তাল ভক্ষণের ফলে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায়।
১৬/ আমাশয় রোগ নিরাময়ে তালের ব্যবহার হয়।
১৭/ তাল আমাদের শরীরের ক্লান্তি দুর করে।
১৮/প্রচুর পরিমানে তাল খেলে পিত্তে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
১৯/ তাল পুরুষের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে এবং বীর্য ঘন করে।
২০/ তাল ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
তাল এর বৈজ্ঞানিক নাম
Borassus flabelliferতাল এর ইংরেজি নাম
Palmyra Palmতাল এর জাত
তাল এরা Arecaceaeপরিবারের সদস্য।তাল এর খাদ্য উপাদানঃ
প্রোটিন,শর্করা,ভিটামিন-এ , ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি,জিংক,পটাসিয়াম,আয়রন, ক্যালসিয়াম,সোডিয়াম,চর্বি ও অ্যামিনো অ্যাসিড ।১০০ গ্রাম তালতে আছেঃ-
উপাদান
|
পরিমাণ
|
জলিয়
অংশ
|
৭৭.৫
|
আমিষ
|
৮গ্রাম
|
চর্বি
|
১গ্রাম
|
শর্করা
|
১০.৯
গ্রাম
|
খাদ্য
আঁশ
|
১গ্রাম
|
ক্যালসিয়া
|
২৭ মিঃগ্রাঃ
|
ফসফরাস
|
৩০ মিঃগ্রাঃ
|
আয়রন
|
১ মিঃগ্রাঃ
|
থায়ামিন
|
০.০৪ মিঃগ্রাঃ
|
রিবোফ্লাভিন
|
০.০২ মিঃগ্রাঃ
|
নিয়মিন
|
০.৩ মিঃগ্রাঃ
|
খাদ্য
শক্তি
|
৮৭
কিলোক্যালরি
|
ভিটামিন-সি
|
৫ মিঃগ্রাঃ
|
তাল এর ঔষধি গুনাগুনঃ-
তাল একটি অতি পুষ্টিকর ও ঔষধি গুন সমৃদ্ধ ফল। তালের খোসা ছাড়িয়ে জুস বের করে বিভিন্ন খাদ্যের ফ্লেবার বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। যা খাদ্যের মুখরোচক ক্ষমতা অনেক গুন বাড়িয়ে দেয়। সব ধরনের ফলে দেহের জন্য উপযোগী ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ হলেও তালে এর বাইরেও কিছু উপাদান থাকে যা মানব দেহের অতি গুরুত্বপূর্ণ। বেশি বেশি তাল খাওয়ার দরুন আমাদের দেহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।চলুন জেনে নেই তাকের কিছু অসাধারণ গুনাগুন।১/ তাল অ্যান্ট-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
২/ তাল অন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এবং রোগ হলে ভাল করতে সহায়তা করে।
৩/ তাল শরীরে ভিটামিন-বি এর অভাব পুরন করে কারন তাল ভিটামিন -বি এর আধার।
৪/ প্রচুর পরিমাণে তাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়। শরীরে সতেজতা আসে।
৫/ আমাদের কাজকর্মের ফলে হারের ক্ষয় হয়ে থাকে যা প্রচুর তাল খাওয়ার মাধ্যমে পুরোন করা সম্ভব।
৬/ সাধারণত ডায়বেটিকস রোগিরা চিনি খেতে পারে না তারা চাইলে খাদ্যের সাথে তাল খেতে পারে কারন তালে তাদের কোন ক্ষতি হবে না।
৭/ তাল আমাদের স্মৃতি শক্তি বাড়িয়ে দেয় তাই তাল আমাদের ব্রনের তথ্যকে দীর্ঘ স্থায়ি করতে সাহায্য করে।
৮/ তাল খেলে ফুসফুস ভালো থাকে তাই আমাদের প্রচুর পরিমাণে তাল খাওয়া উচিত।
৯/ প্রচুর পরিমাণে তাল খেলে কৃমি রোগ হয় না।
১০/ তাল লিভারে টনিক হিসাবে কাজ করে তাই প্রচুর পরিমাণে খেলে লিভারের নানা সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
১১/ তালের নির্জাস ক্ষত স্থানে লাগালে শীতল অনুভব হয়।
১২/ তালের নির্জাস ঘামাচিতে লাগালে ঘামাচি দুর হয়।
১৩/ প্রচুর পরিমাণে তাল খেলে পেটের জ্বালাপোড়া দুর হয়।
১৪/ বাচ্চাদের সর্দি-কাশি দুর করতে তালের ব্যবহার হয়।
১৫/প্রচুর তাল ভক্ষণের ফলে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায়।
১৬/ আমাশয় রোগ নিরাময়ে তালের ব্যবহার হয়।
১৭/ তাল আমাদের শরীরের ক্লান্তি দুর করে।
১৮/প্রচুর পরিমানে তাল খেলে পিত্তে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
১৯/ তাল পুরুষের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে এবং বীর্য ঘন করে।
২০/ তাল ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
তাল এর ফল প্রাপ্তি সময়
মধ্য পৌষ ও মধ্য চৌত্র ইংরেজি জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে তাল গাছে ফুল আসে এবং শ্রাবণ থেকে ভাদ্র মাসে পাকতে শুরু করে।
Info by Akash
No comments
Pleas Do not write bad link