পোস্ত পরিচিতি
PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.
পোস্ত
অনেক প্রাচীন সভ্যতার চিকিৎসা শাস্ত্রে পোস্তদানার উল্লেখ পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, খ্রিস্টপূর্ব ১৫৫০ সালে রচিত ইজিপ্শিয়ান ইবার্স পেপাইরাস নামের পার্চমেন্টে পোস্তদানাকে প্রশান্তিদায়ক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।ব্রোঞ্জ যুগের ক্রিট দ্বীপের আশেপাশে বসবাসকারী মিনোয়ান সভ্যতার (প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ২৭০০ থেকে ১৪৫০) লোকেরা বীজের জন্য পোস্তদানা চাষ করতো এবং দুধ, আফিম এবং মধুর একটি মিশ্রণ কান্নাকাটি করা বাচ্চাদের শান্ত করতে ব্যবহার করতো। সুমেরিয়ান নামে আরও একটি সভ্যতা পোস্তদানা উৎপাদন করতো বলে জানা যায়।লোকগাথা অনুসারে পোস্তদানা ঘুমের ওষুধ, প্রজনন ক্ষমতা এবং ধন সম্পদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমনকি এও জানা যায় যে এটি অদৃশ্য হওয়ার মত জাদুকরী শক্তিও প্রদান করে থাকে।
ইংরেজি নাম
Poppy-Seed
জাত
পোস্ত দানা হলো ওপিয়াম পপি নামক একটি গাছ থেকে পাওয়া একধরণের তৈলবীজ।
খাদ্য উপাদানঃ
রান্নায় স্বাদ আনা পোস্ত ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনে পূর্ণ। এছাড়াও এতে প্রচুর ফাইবার আর ফ্যাটি অ্যাসিড আছে।
১০০ গ্রাম পোস্ততে আছেঃ-
উপাদান
|
পরিমাণ
|
শক্তি
|
২.১৯৬
কিজু
|
শর্করা
|
28.13
g
|
খাদ্যে
ফাইবার
|
19.5
g
|
স্নেহ
পদার্থ
|
41.56
g
|
সুসিক্ত
স্নেহ পদার্থ
|
4.517
g
|
এককঅসুসিক্ত
|
5.982
g
|
বহুঅসুসিক্ত
|
28.569
g
|
প্রোটিন
|
21.22
g
|
থায়ামিন
(বি১)
|
0.854
mg
|
রিবোফ্লাভিন
(বি২)
|
0.100
mg
|
ন্যায়েসেন
(বি৪)
|
0.896
mg
|
ভিটামিন
বি৬
|
0.247
mg
|
ফোলেট
(বি৯)
|
82
μg
|
কোলিন
|
52.1
mg
|
ভিটামিন
ই
|
1.77
mg
|
ক্যালসিয়াম
|
1438
mg
|
লোহা
|
9.76
mg
|
ম্যাগনেসিয়াম
|
347
mg
|
ম্যাঙ্গানিজ
|
2.285
mg
|
ফসফরাস
|
870
mg
|
পটাশিয়াম
|
719
mg
|
সোডিয়াম
|
26
mg
|
দস্তা
|
7.0
mg
|
পানি
|
5.95
g
|
|
|
পোস্ত ঔষধি গুনাগুনঃ-
হাড় ক্ষয়রোধ করে
পোস্তদানা ক্যালসিয়াম আর ফসফরাস থাকায় হাড়কে আরও শক্তিশালী করে তোলে। জয়েন্ট পেইন বা হাড় ফুলে গেলে তৎক্ষণাৎ আরাম পাওয়ার জন্য পোস্ত বাটা লাগান।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
পোস্ততে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে শুকনো ভাতের সঙ্গে পোস্ত বাটা খান।
মুখের আলসার রোধ করে
আয়ুর্বেদে এমনটাই মানা হয়। যখন শরীরে খুব গরম বেড়ে যায় তখন মুখে আলসার বা ঘা হয়। পোস্তদানা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে এর ফলে মুখের আলসার হয় না। পোস্ত বাটার সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খেলে মুখের আলসার থেকে হওয়া ব্যথায় তৎক্ষণাৎ আরাম পাওয়া যাবে।
ঘুমাতে সাহায্য করে
যাদের ইনসমনিয়া আছে তারা পোস্ত বাটা আর চিনি মিশিয়ে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খেলে অনেক তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে।
হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে
পোস্তদানায় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় রক্তে কোলেস্টেরল কমায়, ফলে হৃদযন্ত্র ভাল থাকে। হার্ট ডিজিজ বা হার্ট অ্যাটাক রোধ করতে রোজ ডায়েটে অল্প করে হলেও পোস্ত রাখুন।
স্কিন ডিজিজ হতে দেয় না
বিভিন্ন রকমের স্কিন ডিজিজ যেমন, চুলকানি বা র্যাশে ন্যাচারাল রেমিডির কাজ করে পোস্ত। গাঢ় করে পোস্ত বাটার মধ্যে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান। ভাল করে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান।
ব্রেন ফাংশনের উন্নতি ঘটায়
পোস্তদানায় ক্যালসিয়াম, আয়রন আর কপার থাকায় ব্রেনের কর্মক্ষমতায় উন্নতি ঘটায়।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
পোস্ততে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকায় শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বেড়ে যায়।
পোস্ত পশ্চিমবঙ্গের খুব নিয়মিত খাদ্য উপাদান হলেও বাংলাদেশের সীমান্তে এর ব্যবহার মশলা হিসেবেই।
Info by Akash
No comments
Pleas Do not write bad link