OUT SOURCING

মিষ্টিকুমড়া পরিচিতি

মিষ্টিকুমড়ার আকার পেটমোটা গোল এবং পাকা অবস্থায় এর ভিতরের অংশ উজ্জ্বল কমলা বর্ণের হয়ে থাকে। এতে ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন আছে। এটি প্রধানতঃ তরকারি রান্না করে খাওয়া হয়। এটি খেতে একটু মিষ্টি স্বাদযুক্ত।


PICTURE:-RAYHAN
LOCATION:-VALUKA

মিষ্টিকুমড়া এর  বৈজ্ঞানিক নাম

Cucurbita Moschata

মিষ্টিকুমড়া এর ইংরেজি নাম

Sweet Pumpkin

মিষ্টিকুমড়া এর  জাত

মিষ্টিকুমড়া এরা Cucurbitaceae পরিবারের সদস্য।

মিষ্টিকুমড়া এর খাদ্য উপাদানঃ

মিষ্টিকুমড়ায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন অ, ভিটামিন ঈ, ভিটামিন ঊ, বি-কমপ্লেক্স। বিটাক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, আলফা হাইড্রোক্সারাইড, আয়রন, ফ্লেভনয়েড, লিউটিনসমৃদ্ধ মিষ্টিকুমড়া।

১০০ গ্রাম মিষ্টিকুমড়াতে আছে


উপাদান
পরিমাণ
খাদ্যশক্তি
৪১ কিলোক্যালরি
আমিষ
১.৪ গ্রাম
শর্করা
৪.৫ গ্রাম
চর্বি
০.৫ গ্রাম
খনিজ লবণ
০.৭ গ্রাম
ভিটামিন বি
০.৭ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি
২৬ মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়াম
৪৮ মিলিগ্রাম
কোলেস্টেরল
.০৬ মিলিগ্রাম
লৌহ
০.৭ মিলিগ্রাম
ক্যারোটিন
৭২০০ মাইক্রোগ্রাম

মিষ্টিকুমড়া ঔষধি গুনাগুনঃ-

১. মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ উপাদান থাকে যা চোখের কর্নিয়াকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রধান হাতিয়ার কিন্তু ভিটামিন এ।

২. মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে জিংক, যা হাড়ের অস্টিওপোরোসিস রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা ঠিক রাখে এবং শরীরে বয়সের ছাপ সহজে পড়তে দেয় না। এছাড়া চুলপড়া কমাতে ও চর্মরোগ প্রতিরোধে মিষ্টি কুমড়া সহায়তা করে। জিংক পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরি করতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।

৩. কুমড়ার ক্যারটিনয়েড এর জন্য রঙ উজ্জ্বল কমলা হয়ে থাকে এবং এটি দেহের জ্বালাপোড়া সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। এই সবজির বিটা-ক্যারোটিন উপাদান মানবদেহের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। আলফা-ক্যারোটিন উপাদান দেহে টিউমার হওয়া থেকে রক্ষা করে। কুমড়ার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন-ই মানবদেহকে ক্যান্সার রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

৪. কুমড়ার আসল উপাদান ভিটামিন-এ ও বিটা ক্যারোটিন ত্বক খুব ভালো রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন-এ ত্বককে সুরক্ষা করে ও বিটা-ক্যারোটিন, সূর্যের তাপে ত্বকের যে সমস্যা হয়ে থাকে তা রোধ করে। ভিটামিন-বি ও সি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ও স্বাস্থ্যবান চামড়া তৈরিতে সহায়তা করে। ভিটামিন বি-৫ ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

৫.গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়া উচিত। কারণ এটি দেহে অনেক বেশি শক্তি যোগায় ও গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যের জন্য কুমড়া অনেক উপকারী খাদ্য। এটি পাশাপাশি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ও কুমড়ার আয়রন বাচ্চাকে অক্সিজেন দিতে সাহায্য করে ও মায়ের রক্তশূন্যতা রোধ করে।

৬. কুমড়াতে পটাশিয়াম উপাদান আছে, যা মানবশরীরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন-সি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে থাকে। কুমড়োর ফাইবার দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রেখে দেহকে স্ট্রোক করার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে।

৭. মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে এল ট্রিপটোফ্যান নামের এক ধরনের বিশেষ উপাদান যা বিষণ্নতা প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে। আপনার যদি প্রায়ই মন খারাপ থাকে অথবা বিষণ্নতায় ভোগেন, তাহলে খাদ্যতালিকায় রাখুন মিষ্টি কুমড়া।

৮. ফাইবারে ভরপুর কুমড়া খেলে দেহের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। কুমড়া দেহের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ডায়রিয়া সমস্যায় দূর করতে সাহায্য করে এবং কাঁচা কুমড়োর রস মানবদেহের অ্যাসিডিটি সমস্যা রোধ করে।

মিষ্টিকুমড়া চাষ

বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বছরের যে কোনো সময় মিষ্টি কুমড়ার বীজ বোনা যায়। শীতকালীন ফসলের জন্য অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এবং গ্রীষ্মকালীন ফসলের জন্য ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত বীজ বোনার উপযুক্ত সময় তবে বীজ উৎপাদনের জন্য নভেম্বরের মধ্যভাগে বীজ বপন করা উত্তম।

মিষ্টিকুমড়া  প্রাপ্তি সময়

মিষ্টি কুমড়া এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তাজা ফসল পাওয়া যায় । এছাড়া এটা বছরের সব সময় সংরক্ষন করে সারা বছর খাওয়া যায়।


Info by Akash

No comments

Pleas Do not write bad link

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.