OUT SOURCING

আখরোট পরিচিতি


PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.

আখরোট
আখরোট একপ্রকার বাদাম জাতীয় ফল। এই ফল অত্যন্ত পুষ্টিকর যাতে প্রচুর আমিষ এবং অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি আসিড আছে। এই ফলটি গোলাকার এবং ভেতরে একটি বীজ থাকে। পাকা ফলের বাইরের খোসা ফেলে দিলে ভেতরের শক্ত খোলসযুক্ত বীজটি পাওয়া যায়; এই খোলসের ভেতরে থাকে দুইভাগে বিভক্ত বাদাম যাতে বাদামি রঙের আবরন থাকে যা এন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই এন্টিঅক্সিডেন্ট তৈলাক্ত বীজকে বাতাসের অক্সিজেন থেকে রক্ষা করে ফলে তা খাওয়ার উপযোগী থাকে।
আখরোট বৈজ্ঞানিক নাম
Juglans Regia
ইংরেজি নাম
Walnut
জাত
আখরোট এরা Juglandaceae পরিবারের সদস্য।

খাদ্য উপাদানঃ
এই ফল অত্যন্ত পুষ্টিকর, যাতে প্রচুর আমিষ এবং অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে।
১০০ গ্রাম আখরোটতে আছেঃ-
উপাদান
পরিমাণ
আমিষ
১৫.২ গ্রাম
ফ্যাট
৬৫.২ গ্রাম
ফাইবার
৬.৭ গ্রাম

আখরোট ঔষধি গুনাগুনঃ-
১.স্মৃতিশক্তি রক্ষা করে:

আখরোটের মধ্যে থাকা ভিটামিন ‘ই’ ও ফ্লাভনয়েড রক্তের ফ্রি র‌্যাডিক্যাল রাসায়নিক কমাতে সাহায্য করে। এসব ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিশক্তি নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ। রোজ আখরোট খেলে তাই ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

 ২.বলিরেখা দূর করে:

আখরোটে থাকা বেশ কয়েক ধরনের ভিটামিন ‘বি’ ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। এসব উপাদান ত্বককে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে। ফলে বলিরেখা ও বয়সের ছাপ পড়ে না।

 ৩.অ্যান্টি অক্সিডেন্টের জন্য ভালো:

দেহের জন্য অ্যান্টি অক্সিডেন্ট খুবই জরুরি। এর অভাবে ঘুরে বেড়ানো ফ্রি র‌্যাডিক্যালস হার্টের ওপর চাপ ফেলে। আখরোটে থাকা প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্টস তাই খুব উপকারী।

৪.শুক্রাণুর মান বাড়ায়:

প্রতিদিন আখরোটের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে শুক্রাণুর মান বাড়াতে সাহায্য করে।

 ৫.ওজনের সমতা:

আখরোটে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, প্রোটিন ও ফাইবার ওজন বাড়তে দেয় না।

 ৬.ভালো ঘুম আনে:

আখরোটে থাকে প্রচুর মেলাটোনিন। ভালো ঘুম আনতে প্রয়োজনীয় এই মেলাটোনিন বেশ ভূমিকা রাখে।

 ৭.কোলেস্টেরল কমায়:

গবেষণায় দেখা গেছে, আখরোট খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর থেকে দেহে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায় এবং ব্লাড ভেসেলের নমনীয়তা বেড়ে যায়।

 ৮.গর্ভস্থ শিশুর উপকারী:

গর্ভবতীর ডায়েটে আখরোট থাকা ভালো। এতে থাকা পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড গর্ভস্থ শিশুর অ্যালার্জির সমস্যা মোকাবেলা করে।

 ৯.ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে:

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে আখরোট। সপ্তাহে দুই দিন ৩০ গ্রাম আখরোট খেলে টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ২৪ ভাগ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।


১০.স্ট্রেস কমায়:

আখরোটে রয়েছে ফাইবার, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড, আলফা লাইনোলেনিক এসিড, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ইত্যাদি। এসব উপাদান স্ট্রেস মোকাবেলা করতে বেশ সহায়তা করে।

 ১১.চুলের জন্য ভালো:

আখরোট চুলের জন্য বেশ ভালো খাবার। এতে থাকা বায়োটিন চুল সোজা রাখতে সাহায্য করে, চুলপড়া কমায় এবং বৃদ্ধি বাড়িয়ে দেয়। তা ছাড়া এতে থাকা বায়োটিন বা ভিটামিন বি-৭ চুলের গোড়া শক্ত করতে, চুলপড়া রুখতে ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ফসল প্রাপ্তি সময়
সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া পরিচিত গ্রীষ্মকালীন বাসিন্দাদের এবং গার্ডেনারদের কাছ থেকে রোপণের জন্য ফল সংগ্রহ করা বা তাদের সন্ধান করা প্রয়োজন।

Info by Akash

No comments

Pleas Do not write bad link

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.