আলকুশি বিলাই চিমটি পরিচিতি
বোটানিক্যাল নামের Pruriens শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ভাষা থেকে, যার অর্থ চুলকানির অণুভূতি। ফলের খোসা ও পাতায় আছে- সেরাটোনিন, যার কারণে চুলকানির উদ্রেক হয়। মধ্য আমেরিকায় আলকুশির বীচি আগুনে ভেজে চূর্ণ করা হয় কফির বিকল্প হিসেবে। এ কারণে ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশে এর প্রচলিত নাম হচ্ছে নেস ক্যাফে। গুয়েতেমালায় কেচি সম্প্রদায়ের মানুষ এখনও খাদ্যশস্য হিসেবে এটি আবাদ করে। সবজি হিসেবে রান্না হয়।
এগুলি ত্বকের সংস্পর্শে এলে প্রচণ্ড চুলকানি সৃষ্টি করে। বানরের সঙ্গে এদের সম্পর্ক হল, যখন আলকুশি ফল পুষ্ট হতে থাকে তখন চুল্কানির ভয়ে বানরের দল ঐ এলাকা ছেড়ে চলে যায়, কারণ এর হুল বাতাসেও ছড়িয়ে পড়ে। বানরেরা ফিরে আসে যখন মাটিতে ফল পড়ে যায়। সেগুলো তারা খায় বিশেষ দৈহিক কারণে। কিছু আলকুশি আছে যার রোম নেই বললেই চলে সেটা কাকাণ্ডোল, Mucuna pruriens var. utilis নামি পরিচিত।
2.এর পাতা শাকের মত রেধে খেলে রক্তপিত্ত থেকে আরোগ্য হবে।
১) কোন পোকামাকড়ের কামড়ে বা বিছের দংশনে আলকুশীর বীজের গুড়া লাগালে অনেকাংশ যন্ত্রণা কমে যায়।
২) এর শিকড়ের রস এক চামচ করে একমাস খেলে আমাশয় রোগ সারে।
৩) আলকুশীর পাতার রস ফোঁড়ায় দিলে অচিরেই সেটি ফেটে যায়।
৪) এর বীজ চিনি ও দুধসহ সেদ্ধ করে খেলে বাত রোগের উপশম হয়, শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়, শুক্র বৃদ্ধি গাঢ় হয় এবং স্নায়বিক দুর্বলতা দূর করে।
৫) এর শিকড়ের রসে জ্বর, সর্দি-কাশি ভালো করে।
৬) আলকুশীর শিকড়ের মণ্ডু মূত্রবর্ধক ও মূত্রযন্ত্রের রোগ নিরাময়ে বেশ উপকার।
৭) এর কাণ্ডের রস চোখের রোগের ক্ষেত্রেও ফলপ্রসূ।
৮) শিকড়ের রস জীবজন্তুর গায়ের ঘায়ে লাগালে ক্ষত দ্রুত সরে যায়।
বিশুদ্ধ আলকুশি কোথায় পাবেন? বিশস্ত কোন বুনিয়াদি দোকানে খোঁজ নিতে পারেন। বা বিডি হেলথ আলকুশি কিনতে পারেন এবং নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।
১. দর্শনে ক্ষরণ: অল্প বয়সে কুঅভ্যাসজনিত শুক্রক্ষয় হয়, যার পরিণতিতে শুক্রতারল্য হয়, সেক্ষেত্রে আলকুশী বীজ ৪ থেকে ৫টি প্রতিদিন আধা কাপ গরম দুধে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খোসা ছাড়িয়ে, শিলে বেঁটে ২ থেকে ৩ চা চামচ ঘিয়ে অল্প ভেজে ঐটা একটু চিনি বা মিছরির গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে হবে; তারপর একটু দুধ খেতে পারলে ভাল হয়। উপরিউক্ত পদ্ধতিতে এই বীজ ব্যবহার করলে শুক্রের গাঢ়ত্ব ফিরে আসবে।
২. রক্তপিত্ত: এক্ষেত্রে ২০ গ্রাম আন্দাজ আলকুশীর বীজ অগের দিন রাতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন তার খোসা ছাড়িয়ে, একটু থেঁতো করে ৫ থেকে ৬ কাপ জলে সিদ্ধ করে আন্দাজ ৩ কাপ থাকতে নামিয়ে রেখে দিতে হবে এবং জলটা থিতিয়ে গেলে, উপর থেকে জলটা ঢেলে নিয়ে সমস্ত দিনে ৩ থেকে ৪ বারে ঐ জলটা খেতে দিলে ২ থেকে ৪ দিনের মধ্যে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে। আরও ভাল হয় যদি এর সঙ্গে আলকুশী গাছের কচি পাতা শাকের মতো রান্না করে ৮ থেকে ১০ গ্রামের মতো খাওয়ার সুবিধা হয়।
৩. অববাহুক রোগ: উপরে কোনো জিনিস আছে যা একটি উচু জায়গায়, অন্যকে ডাকতে হচ্ছে পেড়ে দিতে ; হাত কিছুটা কোনো রকমে উঠলো বটে, কিন্তু বহু কষ্টে; এই সমস্যা ডান বা বাঁ যে কোনো হাতেই হতে পারে। এটা প্রৌঢ়কালেই বেশি হতে দেখা যায়। সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সের নীচে এ রোগটা তেমন হাতে হয় না। এক্ষেত্রে আলকুশী গাছের মূল জল দিয়ে বেঁটে, আন্দাজ এক চা চামচ রস করে, পর পর কয়েকদিন খেলে ওটা কমতে থাকে; বেশ কিছুদিন খেলেই ওটা সেরে যায়। যদিও জানি এই লতাগাছটি গ্রামাঞ্চলে মাঝে মাঝে দেখা গেলেও, তবে লোকে এ গাছ বাড়ির নিকটে রাখতে চায় না, তাই বর্তমানে এটি দূষ্প্রাপ্য বা দূর্লভ হয়ে ওঠে এই ধরনের বনৌষধি ।
৪. ভগ্নধ্বজে: যৌবনের উন্মাদনায় অতিরিক্ত সঙ্গ করলে পরিণামে কি শারীরিক কি মানসিক সবই ম্রিয়মাণ হয়। এক্ষেত্রে এই আলকুশী বীজকে রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে, সকালে খোসা ছাড়িয়ে, ঐ ছাড়ানো বীজগুলোকে সমান পরিমাণ দুধে-জলে মিশিয়ে সিদ্ধ করে, ঐ বীজ শিলে পিষে, তাকে ঘিয়ে ভেজে, চিনি মিশিয়ে হালুয়ার মতো করে রাখতে হবে, একসঙ্গে বেশি করার দরকার নেই, ৪ থেকে ৫ দিনের মতো একসঙ্গে করাই ভালো।
এগুলি ত্বকের সংস্পর্শে এলে প্রচণ্ড চুলকানি সৃষ্টি করে। বানরের সঙ্গে এদের সম্পর্ক হল, যখন আলকুশি ফল পুষ্ট হতে থাকে তখন চুল্কানির ভয়ে বানরের দল ঐ এলাকা ছেড়ে চলে যায়, কারণ এর হুল বাতাসেও ছড়িয়ে পড়ে। বানরেরা ফিরে আসে যখন মাটিতে ফল পড়ে যায়। সেগুলো তারা খায় বিশেষ দৈহিক কারণে। কিছু আলকুশি আছে যার রোম নেই বললেই চলে সেটা কাকাণ্ডোল, Mucuna pruriens var. utilis নামি পরিচিত।
আলকুশি বিলাই চিমটি এর বৈজ্ঞানিক নাম
Mucuna Pruriensআলকুশি বিলাই চিমটি এর ইংরেজি নাম
Velvet Beanআলকুশি বিলাই চিমটি এর জাত
আলকুশি এরা Fabaceae পরিবারের সদস্য।আলকুশি বিলাই চিমটি এর উপাদানঃ
1.বুকে জমে থাকা কফ সারাতে এর মূল বেশ কার্যকরি।2.এর পাতা শাকের মত রেধে খেলে রক্তপিত্ত থেকে আরোগ্য হবে।
আলকুশি ঔষধি গুনাগুনঃ-
আলকুশী একটি ওষুধী গাছ। এর রয়েছে অনেক গুণ। এ গাছ ব্যবহার করে নানাবিধ অসুখ থেকে আরোগ্য লাভ করার সুয়োগ রয়েছে। এ গাছের গুণাবলি তুলে ধরেছেন ড. তপন কুমার দে তার ‘বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়ার’বইয়ে।১) কোন পোকামাকড়ের কামড়ে বা বিছের দংশনে আলকুশীর বীজের গুড়া লাগালে অনেকাংশ যন্ত্রণা কমে যায়।
২) এর শিকড়ের রস এক চামচ করে একমাস খেলে আমাশয় রোগ সারে।
৩) আলকুশীর পাতার রস ফোঁড়ায় দিলে অচিরেই সেটি ফেটে যায়।
৪) এর বীজ চিনি ও দুধসহ সেদ্ধ করে খেলে বাত রোগের উপশম হয়, শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়, শুক্র বৃদ্ধি গাঢ় হয় এবং স্নায়বিক দুর্বলতা দূর করে।
৫) এর শিকড়ের রসে জ্বর, সর্দি-কাশি ভালো করে।
৬) আলকুশীর শিকড়ের মণ্ডু মূত্রবর্ধক ও মূত্রযন্ত্রের রোগ নিরাময়ে বেশ উপকার।
৭) এর কাণ্ডের রস চোখের রোগের ক্ষেত্রেও ফলপ্রসূ।
৮) শিকড়ের রস জীবজন্তুর গায়ের ঘায়ে লাগালে ক্ষত দ্রুত সরে যায়।
বিশুদ্ধ আলকুশি কোথায় পাবেন? বিশস্ত কোন বুনিয়াদি দোকানে খোঁজ নিতে পারেন। বা বিডি হেলথ আলকুশি কিনতে পারেন এবং নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।
১. দর্শনে ক্ষরণ: অল্প বয়সে কুঅভ্যাসজনিত শুক্রক্ষয় হয়, যার পরিণতিতে শুক্রতারল্য হয়, সেক্ষেত্রে আলকুশী বীজ ৪ থেকে ৫টি প্রতিদিন আধা কাপ গরম দুধে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খোসা ছাড়িয়ে, শিলে বেঁটে ২ থেকে ৩ চা চামচ ঘিয়ে অল্প ভেজে ঐটা একটু চিনি বা মিছরির গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে হবে; তারপর একটু দুধ খেতে পারলে ভাল হয়। উপরিউক্ত পদ্ধতিতে এই বীজ ব্যবহার করলে শুক্রের গাঢ়ত্ব ফিরে আসবে।
২. রক্তপিত্ত: এক্ষেত্রে ২০ গ্রাম আন্দাজ আলকুশীর বীজ অগের দিন রাতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন তার খোসা ছাড়িয়ে, একটু থেঁতো করে ৫ থেকে ৬ কাপ জলে সিদ্ধ করে আন্দাজ ৩ কাপ থাকতে নামিয়ে রেখে দিতে হবে এবং জলটা থিতিয়ে গেলে, উপর থেকে জলটা ঢেলে নিয়ে সমস্ত দিনে ৩ থেকে ৪ বারে ঐ জলটা খেতে দিলে ২ থেকে ৪ দিনের মধ্যে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে। আরও ভাল হয় যদি এর সঙ্গে আলকুশী গাছের কচি পাতা শাকের মতো রান্না করে ৮ থেকে ১০ গ্রামের মতো খাওয়ার সুবিধা হয়।
৩. অববাহুক রোগ: উপরে কোনো জিনিস আছে যা একটি উচু জায়গায়, অন্যকে ডাকতে হচ্ছে পেড়ে দিতে ; হাত কিছুটা কোনো রকমে উঠলো বটে, কিন্তু বহু কষ্টে; এই সমস্যা ডান বা বাঁ যে কোনো হাতেই হতে পারে। এটা প্রৌঢ়কালেই বেশি হতে দেখা যায়। সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সের নীচে এ রোগটা তেমন হাতে হয় না। এক্ষেত্রে আলকুশী গাছের মূল জল দিয়ে বেঁটে, আন্দাজ এক চা চামচ রস করে, পর পর কয়েকদিন খেলে ওটা কমতে থাকে; বেশ কিছুদিন খেলেই ওটা সেরে যায়। যদিও জানি এই লতাগাছটি গ্রামাঞ্চলে মাঝে মাঝে দেখা গেলেও, তবে লোকে এ গাছ বাড়ির নিকটে রাখতে চায় না, তাই বর্তমানে এটি দূষ্প্রাপ্য বা দূর্লভ হয়ে ওঠে এই ধরনের বনৌষধি ।
৪. ভগ্নধ্বজে: যৌবনের উন্মাদনায় অতিরিক্ত সঙ্গ করলে পরিণামে কি শারীরিক কি মানসিক সবই ম্রিয়মাণ হয়। এক্ষেত্রে এই আলকুশী বীজকে রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে, সকালে খোসা ছাড়িয়ে, ঐ ছাড়ানো বীজগুলোকে সমান পরিমাণ দুধে-জলে মিশিয়ে সিদ্ধ করে, ঐ বীজ শিলে পিষে, তাকে ঘিয়ে ভেজে, চিনি মিশিয়ে হালুয়ার মতো করে রাখতে হবে, একসঙ্গে বেশি করার দরকার নেই, ৪ থেকে ৫ দিনের মতো একসঙ্গে করাই ভালো।
Info by Akash
No comments
Pleas Do not write bad link