কাঁচকলা পরিচিতি
কলা খাওয়ার নানা গুণ রয়েছে। কিন্তু জানেন কি, পাকা কলার পাশাপাশি কাঁচকলারও শরীরে দারুণ প্রভাব রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচকলা খেলে তা থেকে শরীরে নানা ধরনের ওষুধ স্বাভাবিকভাবেই প্রবেশ করে। রোগ নিরাময় ও শরীরের নানা ধরনের অসুবিধা দূর হয় এই কলা খেলে।
ভিটামিন ‘সি’প্রোটিন ,অক্সালিক এসিড ,কার্বোহাইড্রেট,ক্যালসিয়াম,পটাশিয়া,ভিটামিন এ,লৌহ,ফ্যাট,
আঁশ,রিবোফ্লেবিন,থায়ামিন
ওজন কমাতে চাইলে, খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন কাঁচকলা। কাঁচকলার ফাইবার অনেকটা সময় পেট ভরিয়ে রাখে। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায়, মেদ কমাতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে:
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্যেও কাঁচকলা উপকারী। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন বি৬ গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে টাইপ-টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
হৃদরোগে উপকারী:
কাঁচকলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন ৪,৭০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম গ্রহণে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস হয়। তবে পটাসিয়াম সবার জন্য নিরাপদ নয়। উচ্চ রক্তচাপ অথবা কিডনির রোগে আক্রান্ত রোগীদের পক্ষে তাই কাঁচকলা খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত।
ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রনে রাখে:
কাঁচকলা আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় এটি খুব সহজে হজম হয়। কাঁচকলা পেটের ভিতরের দূষিত ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়।
হাড় শক্ত করে:
কাঁচকলায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস দেহের হাড় মজবুত এবং হাড় ক্ষয় থেকে রক্ষা করে।
খাদ্যশক্তিতে ভরপুর:
উচ্চ ভিটামিন বি-৬ এর উৎস কাঁচকলা। ভিটামিন বি-৬ রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে, যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে। এছাড়া ভিটামিন বি-৪ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। কাঁচকলায় থাকা খাদ্যশক্তি দেহের দূর্বলতা কাটিয়ে সবল করে তোলে। রোগীদের জন্য দারুণ পথ্য হিসেবে কাঁচকলার সুনাম রয়েছে।
পেট ভালো রাখে:
কাঁচকলায় থাকে এনজাইম, যা ডায়রিয়া এবং পেটের নানা ইনফেকশন দূর করে। তাই ডায়রিয়া হলে চিকিৎসকেরা কাঁচকলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
১। কাঁচকলায় থাকা পটাশিয়াম শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।শরীরকে শক্তি জোগায়।
২। কলাতে থাকে ভিটামিন বি সিক্স ও ভিটামিন সি। যা শরীরের কোষকে আরও সংগঠিত করে তোলে।
৩। কাঁচকলায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। দিনের বেলায় কাঁচকলা খেলে তা শরীরের নানা রোগ দূর করতে সাহায্য করে।
৪। ওবেসিটি দূর করতে দারুণ কাজে লাগে কাঁচকলা। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা শরীরের ফ্যাট কোষগুলিকে দূর করতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচকলা খেলে তা থেকে শরীরে নানা ধরনের ওষুধ স্বাভাবিকভাবেই প্রবেশ করে। রোগ নিরাময় ও শরীরের নানা ধরনের অসুবিধা দূর হয় এই কলা খেলে।
কাঁচকলা এর বৈজ্ঞানিক নাম
Musa Paradisiacaকাঁচকলা এর ইংরেজি নাম
Bananaকাঁচকলা এর জাত
কাঁচকলা এরা Musashi পরিবারের সদস্য।কাঁচকলা এর খাদ্য উপাদানঃ
কাঁচকলায় থাকে পটাশিয়ামফসফরাসভিটামিন ‘সি’প্রোটিন ,অক্সালিক এসিড ,কার্বোহাইড্রেট,ক্যালসিয়াম,পটাশিয়া,ভিটামিন এ,লৌহ,ফ্যাট,
আঁশ,রিবোফ্লেবিন,থায়ামিন
১০০ গ্রাম কাঁচকলাতে আছেঃ-
উপাদান
|
পরিমাণ
|
ফসফরাস
|
২৯
মিগ্রাম.
|
ভিটামিন
‘সি’
|
২৪
মিগ্রাম
|
প্রোটিন
|
১.৪
গ্রাম.
|
অক্সালিক
এসিড
|
৪৮০মিগ্রাম.
|
কার্বোহাইড্রেট
|
১৪.০
গ্রাম.
|
ক্যালসিয়াম
|
১০
মিগ্রাম.
|
পটাশিয়াম
|
১৯৩
মিগ্রাম.
|
ভিটামিন
এ
|
৩০
আই.ইউ.
|
লৌহ
|
৬.২৭
মিগ্রাম.
|
ফ্যাট
|
০.২
গ্রাম.
|
আঁশ
|
০.৭
গ্রাম.
|
রিবোফ্লেবিন
|
০ .০২
গ্রাম
|
থায়ামিন
|
০ .০৫
মিগ্রাম
|
কাঁচকলা ঔষধি গুনাগুনঃ-
ওজন নিয়ন্ত্রণে:ওজন কমাতে চাইলে, খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন কাঁচকলা। কাঁচকলার ফাইবার অনেকটা সময় পেট ভরিয়ে রাখে। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায়, মেদ কমাতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে:
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্যেও কাঁচকলা উপকারী। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন বি৬ গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে টাইপ-টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
হৃদরোগে উপকারী:
কাঁচকলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন ৪,৭০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম গ্রহণে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস হয়। তবে পটাসিয়াম সবার জন্য নিরাপদ নয়। উচ্চ রক্তচাপ অথবা কিডনির রোগে আক্রান্ত রোগীদের পক্ষে তাই কাঁচকলা খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত।
ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রনে রাখে:
কাঁচকলা আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় এটি খুব সহজে হজম হয়। কাঁচকলা পেটের ভিতরের দূষিত ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়।
হাড় শক্ত করে:
কাঁচকলায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস দেহের হাড় মজবুত এবং হাড় ক্ষয় থেকে রক্ষা করে।
খাদ্যশক্তিতে ভরপুর:
উচ্চ ভিটামিন বি-৬ এর উৎস কাঁচকলা। ভিটামিন বি-৬ রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে, যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে। এছাড়া ভিটামিন বি-৪ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। কাঁচকলায় থাকা খাদ্যশক্তি দেহের দূর্বলতা কাটিয়ে সবল করে তোলে। রোগীদের জন্য দারুণ পথ্য হিসেবে কাঁচকলার সুনাম রয়েছে।
পেট ভালো রাখে:
কাঁচকলায় থাকে এনজাইম, যা ডায়রিয়া এবং পেটের নানা ইনফেকশন দূর করে। তাই ডায়রিয়া হলে চিকিৎসকেরা কাঁচকলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
১। কাঁচকলায় থাকা পটাশিয়াম শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।শরীরকে শক্তি জোগায়।
২। কলাতে থাকে ভিটামিন বি সিক্স ও ভিটামিন সি। যা শরীরের কোষকে আরও সংগঠিত করে তোলে।
৩। কাঁচকলায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। দিনের বেলায় কাঁচকলা খেলে তা শরীরের নানা রোগ দূর করতে সাহায্য করে।
৪। ওবেসিটি দূর করতে দারুণ কাজে লাগে কাঁচকলা। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা শরীরের ফ্যাট কোষগুলিকে দূর করতে সাহায্য করে।
কলার চাষ এর সময়
কলার চারা বছরে ৩ সময়ে রোপণ করা যায়। ১ম রোপণ কাল : আশ্বিন-কার্তিক সবচেয়ে ভালো সময়। ২য় রোপণ কাল : মাঘ-ফাল্গুন ভালো সময়। ৩য় রোপণ কাল : চৈত্র-বৈশাখ মোটামুটি ভালো সময়।ফসল প্রাপ্তি সময়
এই সব্জি বছরের বার মাসেই পাওয়া যায়।
Info by Akash
No comments
Pleas Do not write bad link