OUT SOURCING

আম পরিচিতি

আম ভারতীয় উপমহাদেশীয় এক প্রকারের সুস্বাদু ফল। কাঁচা অবস্থায় রং সবুজ এবং পাকা অবস্থায় হলুদ রং হয়ে থাকে। আম ভারতের জাতীয় ফল হিসাবে পরিচিত। পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ প্রজাতির আম আছে। আমের বিভিন্ন জাত আছে ,যেমন ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, খিরসা, অরুনা, আম্রপালি, মল্লিকা, সুবর্নরেখা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, কালীভোগ, কাঁচামিঠা, আলফানসো, বারোমাসি, তোতাপূরী, কারাবাউ, কেঊই সাউই, গোপাল খাস, কেন্ট, সূর্যপূরী, পাহুতান, ত্রিফলা, হাড়িভাঙ্গা, ছাতাপরা, গুঠলি, লখনা, আদাইরা, কলাবতী ইত্যাদি। ভারতের মালদহ , মুর্শিদাবাদ-এ প্রচুর পরিমাণে আম চাষ হয়ে থাকে।
 
PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.


 

আম এর  বৈজ্ঞানিক নাম

Mangifera indica

আম এর ইংরেজি নাম

Mango

আম এর জাত

আম এরা Anacardiaceae পরিবারের সদস্য।

আম এর খাদ্য উপাদানঃ

ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, আয়রন।

১০০ গ্রাম আমে আছেঃ-

উপাদান

পরিমাণ

শক্তি

২৫০ কিজু

শর্করা

১৫ গ্রাম

খাদ্যে ফাইবার

১.৬ গ্রাম

স্নেহ পদার্থ

০.৩৮ গ্রাম

প্রোটিন

০.৮২ গ্রাম

ক্যালসিয়াম

১১ মিলি গ্রাম

লোহা

০.১৬ মিলি গ্রাম

ম্যাগনেসিয়াম

১০ মিলি গ্রাম

ম্যাঙ্গানিজ

০.০৬৩ মিলি গ্রাম

ফসফরাস

১৪ মিলিগ্রাম

পটাশিয়াম

১৬৮ মিলিগ্রাম

সোডিয়াম

১ মিলিগ্রাম


আম ঔষধি গুনাগুনঃ-

করোনা এড়াতে কেন আম খাওয়া উচিত

স্বাদ আর সুগন্ধ ছাড়াও এই রসালো ফলটি ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৬, ফোলেট, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামসহ পুষ্টিতে ভরা। এটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ফাইবারে পরিপূর্ণ। যদিও সুস্বাদু এই ফলটি খাওয়ার জন্য অন্য কোনো কারণের প্রয়োজন পড়ে না তবু জেনে রাখা ভালো, এটি আপনাকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

এক কাপ কাটা আমে (১০০ গ্রাম) প্রায় ৩৬.৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি রয়েছে, যা প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি এর ৬৭ শতাংশ। ভিটামিন সি আমাদের দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
ওজন কমায়

ওজন কমাতে সাহায্য করে এমন খাবার খুঁজছেন?

 তাহলে আম খান। যেহেতু এই পাল্পি ফলের মাংস তন্তুতে ভরপুর তাই এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখবে। খাওয়ার আগে আম খেয়ে নিন। তাহলে এটি অতিরিক্ত খাওয়া প্রতিরোধ করবে। তাই বলে প্রচুর আম একসঙ্গে খেয়ে ফেলবেন না যেন!

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে

আম খাওয়ার সুফল এখানে শেষ নয়। আপনি কি জানেন যে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আমের একটি সঠিক ফল হতে পারে? হ্যাঁ, যেহেতু এটি ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট দিয়ে বোঝাই তাই এটি আপনার রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে।

চোখের জন্য ভালো

প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ এর ১০ শতাংশ পেতে পারেন আম থেকে। এটি ভালো রাখে আমাদের চোখের স্বাস্থ্যও। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট চোখকে অতিবেগুনি আলোকরশ্নি থেকে রক্ষা করতে পারে। এই অতিবেগুনি আলোকরশ্নি দৃষ্টিশক্তির সর্বনাশ ডেকে আনার জন্য পরিচিত।

হজমের জন্য দুর্দান্ত

হজমশক্তি ভালো করার জন্য কলা খেয়ে ক্লান্ত? তবে এবার আম খান। পাকা এই ফলটি ফাইবার এবং এ্যামাইলেস সমৃদ্ধ যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি খাবারের আরও ভালো শোষণ এবং সহজ হজম নিশ্চিত করে।

চিনির বিকল্প

আম দিয়ে তৈরি করা যায় সুস্বাদু অনেকরকম খাবার। আম দিয়ে তৈরি নানারকম শেক, স্মুদি এই গরমে আপনার তৃষ্ণা মেটাতে যথেষ্ট। এই মিষ্টি ফলটি জাঙ্ক ফুডের দুর্দান্ত বিকল্প। চিনি দিয়ে তৈরি করা খাবারের বদলে পাতে থাকুক আম। যেহেতু এটি অন্যান্য ফলের তুলনায় সত্যই মিষ্টি, তাই চিকিৎসকেরা প্রতিদিন ১ থেকে ২ কাপ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আপনার যদি ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকে তবে আম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ফসল প্রাপ্তি সময়

জৈষ্ঠ্য থেকে আষাঢ় (মধ্য মে থেকে মধ্য জুলাই) এবং ভাদ্র-আশ্বিন মাস (মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য অক্টোবর) চারা রোপণের উপযুক্ত সময়।
Info by Akash

No comments

Pleas Do not write bad link

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.