OUT SOURCING

হিং পরিচিতি


PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.

হিং
ইন্ডিয়া এবং ইরানে তরকারির সুগন্ধি বাড়ানোর জন্য হিং ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ডাল এবং আচারে হিং ব্যবহার করা হয়। কোন কোন প্রদেশে এর নির্যাস বা আঠা ব্যবহার করা হয়।  দুই ধরনের হিং রয়েছে একটি হচ্ছে টার্নিং রেড, এটা খোলা জায়গায় রাখলে লাল এবং বাদামী রং ধারন করে। আর একটি সাদা।
প্রাচীন কাল থেকে ভারত সনাতন পদ্ধতিতে ওষুধ তৈরিতে হিং ব্যবহার করে আসছে। পেটের গ্যাস মুক্ত করে, স্নায়ুবিক শাক্তি বাড়ায়, হজম শক্তি বাড়ায়, ভাল ঘুম হয়, এনিমিয়া, এজমা, ব্রংকাইটিস, ব্যথাসহ অতিরিক্ত মাসিক হওয়া, হিস্টিরিয়া, কালা জ্বর, কৃমি, পেট ফাঁপা, বুকে জমানো কফ বের করে।
হিং বৈজ্ঞানিক নাম
Ferula assa-foetida
ইংরেজি নাম
Asafoetida
জাত
হিং এরা Apiaceae পরিবারের সদস্য।

খাদ্য উপাদানঃ
যারা কোষ্ঠাকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন। হিং ভেজে তা জলে গুলে নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিণ্য সারে। কৃমি থাকলে তা দূর হয়।
১০০ গ্রাম হিং আছেঃ-
উপাদান
পরিমাণ
জলীয় পদার্থ 
 ১৬.০%
প্রোটিন
৪.০%
ফ্যাট
১.১%
মিনারেল
৭.০%
আঁশ
৪.১%
কার্বোহাইড্রেট
৬৭.৮%
ক্যালশিয়াম
৬৯০%
ফসফরাস
৫০%
আয়রন 
৩৯.৪%
ক্যারোটিন
৪ %
রাইবোফ্লাভিন 
০.০৪%
নিয়াসিন
০.৩ %
ক্যালরী
২৯৭ ই ইউ


হিং ঔষধি গুনাগুনঃ-
১) হিং ক্রিমিনাশক, আক্ষেপনিবারক, সর্দ্দি নিঃসরক, স্নায়ুবিক উত্তেজক, মৃদুবিরেচক ও হিস্টিরিয়ারোধক নিবারক।

২) পেট ফাঁপাজনিত ব্যথায়, হুপিং কাশিতে, কলেরা, অর্জীর্ণ ও খিচুনী রোগে হিং খুবই উপকারী।

৩) হৃদযন্ত্রের অসুখ, শিশুদের ব্রঙ্কাইটিস ও নিউমোনিয়া রোগে হিং ভাল ঔষধ।

৪) শ্বাসতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্রের পক্ষে হিং এক উত্তেজক ভেষজ।

৫) হিং গাছের কল্প কাকঁড়া ও বিছার দংশনের যন্ত্রণায় উপকারী। পেটের পীড়ার প্রতিষেধক। বায়ুরোগ এবং মুচ্ছারোগ উপকারী।

৬) বীজ উত্তেজক, সুগন্ধি, অগ্যুদ্দীপক , ঋতুস্রাবকারক।

৭) অনেকের দাঁতে নানান রকম সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রে সামান্য ঈষদষ্ণো জলে লেবুর সঙ্গে হিং মিশিয়ে খেলে দাঁতের সমস্যা অনেকটা মেটে।

৮) ঠিক ভাবে হিং খেতে পারলে তা বায়ুনাশক ও কফনাশক হয়।

৯) দাঁতে ব্যথা করছে। প্রথমে হিং ভেজে তা চূর্ণ করে দাঁতের গোড়ায় দিলে ব্যথা থাকে না।

১০) ঠিকমতো হিংয়ের জল খেলে মাইগ্রেন ও মাথা ব্যথার যন্ত্রণা কমতে পারে।

১১) যারা তরকারীতে পেঁয়াজ রসুন খান না। তারা তরিতরকারীতে হিং দিতে পারেন। স্বাদটা ভাল লাগবে।

১২) রান্নাতে হিংয়ের প্রয়োগে রান্না সুগন্ধ, সুস্বাদু হয়। শুধু তাই নয় রান্না সহজ পাচ্য হয়।

১৩) কাশিতে কষ্ট পাচ্ছেন। আদা মধু হিং মিশিয়ে খান। কাজ দেবে।

১৪) যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে। তাদের অবশ্যই হিং খাওয়া উচিৎ। কারণ হিং অবশ্যই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত রাখে।

১৫) যারা কোষ্ঠাকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন। হিং ভেজে তা জলে গুলে নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিণ্য সারে। কৃমি থাকলে তা দূর হয়।

১৭)হিং এর পানিতে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে। ফলে হজমের সমস্যা ছাড়াও এসিডিটি ভালো করে।

১৮)হিং গাছের কষ কাকঁড়া ও বিছার দংশনের যন্ত্রণায় উপকারী। পেটের পীড়ার প্রতিষেধক। বায়ুরোগ এবং মুচ্ছারোগে উপকারী।


Info by Akash

No comments

Pleas Do not write bad link

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.