মিষ্টি মরিচ পরিচিতি
PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.
মিষ্টি মরিচ
ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ সারা বিশ্বেই একটি জনপ্রিয় সবজি। বাংলাদেশেও এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। মিষ্টি মরিচের আকার ও আকৃতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তবে সাধারণত ফল গোলাকার ও ত্বক পুরু হয়। মিষ্টি মরিচ আমাদের দেশীয় প্রচলিত সবজি না হলেও ইদানিং এর চাষ প্রসারিত হচ্ছে।
ক্যাপসিকাম বৈজ্ঞানিক নাম
CapsiCum annuum
ইংরেজি নাম
Capsicum
জাত
ক্যাপসিকাম এরা Solaneceae পরিবারের সদস্য।
খাদ্য উপাদানঃ
সামান্য পরিমাণ ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-বি৬, থায়ামিন, লেবোফ্লেবিস ও ফলিক এসিড পাওয়া যায়। এ ছাড়া জিংক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও ফ্লোরাইড সামান্য পরিমাণে পাওয়া যায়।
১০০ গ্রাম ক্যাপসিকামে আছেঃ-
উপাদান পরিমাণ
প্রোটিন ৮৬০ মিলিগ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ৪.৬ গ্রাম
চর্বি ১.৭০ মিলিগ্রাম
ভিটামিন-সি ৮০ মিলিগ্রাম
ভিটামিন-এ ৩৭০ আইইউ
খনিজ উপাদান
ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম
আয়রন ৩৮০ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ১৭৫ মিলিগ্রাম
ফসফরাস ২০ মিলিগ্রাম
ক্যাপসিকাম ঔষধি গুনাগুনঃ-
১. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:
ক্যাপ্সিকামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহদূরকারী উপাদানগুলি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল অ্যান্টি-ক্যানসার এজেন্ট। এতে সালফার যৌগ ছাড়াও ক্যারোটেনয়েড লাইকোপেন পাওয়া যায় যা বিভিন্ন ধরণের ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
ক্যাপসিকামে রয়েছে সালফার কম্পাউন্ড যা গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার এবং এসোফেগাল ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে।লাইকোপিন প্রোস্টেট ক্যানসার, সার্ভিক্যাল ক্যানসার ও ওভারিয়ান ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে।
২. দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দূর করে:
ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং বেটা ক্যারোটিন যা দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত নানা সমস্যা দূর করে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। ক্যাপসিকামে সমৃদ্ধ পরিমাণে ভিটামিন-এ রয়েছে, যা চোখের জন্য বিশেষত রাত্রিকালীন দৃষ্টির জন্য ভাল।
৩. ওজন কমায়:
ক্যাপসিকামের অ্যাক্টিভেটিং থার্মোজেনেসিস এবং হজম শক্তি উন্নত করার ক্ষমতা দ্রুত ওজন কমাতে সহায়ক।ক্যাপসিকাম দেহের বাড়তি ক্যালরি পূরণে কাজ করে। ফলে উচ্চ চর্বি থেকে যে ওজন বৃদ্ধি পায়, তা হ্রাস করে।
৪. কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা দূর করে:
ক্যাপসিকামে রয়েছে লাইকোপেন না কার্ডিওভ্যস্কুলার নানা সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে এবং হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বিশেষভাবে সহায়ক ক্যাপসিকাম।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
ক্যাপসিকামের ভিটামিন সি এবং কে দেহের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে। এতে করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় অনেকাংশে, যার ফলে ছোটোখাটো নানা রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হয়।
৬. দেহে আয়রনের অভাব সংক্রান্ত সমস্যা কমায়:
ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি দেহে আয়রন শোষণে সহায়তা করে। এতে দেহে আয়রনের অভাব জনিত সমস্যা দূর হয়।
৭. উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমায়:
ক্যাপসিকামের ক্যাপসাইসিন উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রনে রাখতে সহায়তা করে।
৮. হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যা দূর করে:
পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে ক্যাপসিকামের জুস হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যা ও পেটের পীড়া জনিত রোগ যেমন গ্যাস হওয়া, ডায়রিয়া, ডিসপেপসিয়া ইত্যাদি দূর করতে সহায়তা করে।
৯. চামড়া পরিষ্কার:
চামড়া পরিষ্কার রাখতে ক্যাপসিকাম বেশ উপকারী, এটি চামড়ার র্যাশ হওয়া ও ব্রণ প্রতিরোধ করে।
১০.ব্যথা থেকে মুক্তি :
ক্যাপসিকাম যেকোনো ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। মাইগ্রেন, সাইনাস, ইনফেকশন, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ব্যথা দূর করতে কাজ করে।
১১.সি সিকনেস:
সি সিকনেস (সমুদ্রে যাওয়ার কারণে তৈরি অসুস্থতা), ম্যালেরিয়া, জ্বর ইত্যাদি রোধে ক্যাপসিকাম বেশ কার্যকর।
১২.আন্ত্রিক রোগের চিকিৎসা:
এতে অ্যালকালোয়েড, ফ্লেবোনয়েড, ক্যানিন ইত্যাদি পাওয়া যায়। অ্যালকালোয়েড অ্যান্টি-ইনফ্লামেটোরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ক্যানিন আন্ত্রিক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
১৩.মস্তিষ্কের টিস্যু:
এর ভিটামিন-সি মস্তিষ্কের টিস্যুকে পুনরুজ্জীবিত করে; দেহের হাড়কে সুগঠিত করে। এটি বার্ধক্যজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে।
ফসল প্রাপ্তি সময়
অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস।
Info by Akash
No comments
Pleas Do not write bad link