কিসমিশ পরিচিতি
PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.
কিসমিশ
কিসমিশ হল আঙুর ফলের শুকনা রূপ। যা তৈরি করা হয় সূর্যের তাপ অথবা মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সাহায্যে। তাপের কারণে আঙুরের ফ্রুক্টোজগুলো জমাট বেঁধে পরিণত হয় কিশমিশে এটি রক্তে শর্করার মাত্রায় ঝামেলা তৈরি করে না। আর শতকরা ৭০ ভাগ খাঁটি এই ফ্রুক্টোজ সহজেই হজমযোগ্য।
কিসমিশ বৈজ্ঞানিক নাম
Vitis Vinifera
ইংরেজি নাম
Raisin
জাত
কিসমিশ এরা পরিবারের সদস্য।
খাদ্য উপাদানঃ
বিভিন্ন পুষ্টিগুণ যেমন ফসফরাস, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, জিংক, লৌহ, ফ্লোরাইড, পোটাসিয়াম, ফোলাট, নিয়াসিন, কোলিন, ভিটামিন বি সিক্স, সি, কে এবং রিবোফ্লাবিন কিশমিশেও পাওয়া যায়।
১০০ গ্রাম কিসমিশে আছেঃ
উপাদান
|
পরিমাণ
|
শক্তি
|
২৯৯
কিলোক্যালরি
|
কার্বোহাইড্রেট
|
৭৯.১৮
গ্রাম
|
প্রোটিন
|
৩.০৭
গ্রাম
|
ফ্যাট
|
০.৪৬
গ্রাম
|
খাদ্যআঁশ
|
৩.০৭
গ্রাম
|
ফোলেট
|
৫
মাইক্রোগ্রাম
|
নিয়াসিন
|
০.৭৬৬
মিলিগ্রাম
|
সোডিয়াম
|
১
মিলিগ্রাম
|
পটাসিয়াম
|
৭৪৯
মিলিগ্রাম
|
ক্যালসিয়াম
|
৫০
মিলিগ্রাম
|
লৌহ
|
১.৮৮
মিলিগ্রাম
|
ম্যাগনেসিয়াম
|
২৯৯
মিলিগ্রাম
|
ফসফরাস
|
১০১
মিলিগ্রাম
|
কিসমিশ ঔষধি গুনাগুনঃ-
দ্রুত দেহে শক্তি যোগায়:
দেহে শক্তি সরবরাহ করতে কিসমিশের অবদান অনেক বেশি। কিসমিসে রয়েছে চিনি, গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ, যা তাৎক্ষণিকভাবে দেহে এনার্জি সরবরাহ করে থাকে। তাই দুর্বলতা দূরীকরণে কিসমিসের কোন জুড়ি নেই।
রক্তশূন্যতা দূর করে:
কিসমিশে আছে প্রচুর পরিমাণে লৌহ উপাদান। যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। রক্তশূন্যতার কারণে অবসাদ, শারীরিক দুর্বলতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যতে পারে এমনকি, বিষণ্ণতাও দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে কিসমিস যথেষ্ট উপকারী।
হজমে সাহায্য করে:
কিসমিশে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা দেহের পরিপাকক্রিয়া দ্রুত হতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
হাড়ের সুরক্ষা দেয়:
এই শুকনো ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যা হাড় মজবুত করতে বেশ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস হাড়ের ক্ষয় এবং বাতের ব্যথা থেকে দূরে রাখবে। তাছাড়া কিসমিশে আছে প্রচুর পরিমাণ বোরন, যা অস্টিওপরোসিস রোগের প্রতিরোধক।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে:
কিসমিশে থাকা পটাশিয়াম রক্তের চাপ কমাতে সাহায্য করে। শরীরে থাকা উচ্চমাত্রার সোডিয়াম, রক্তচাপ বাড়ার প্রধান কারণ। কিসমিস শরীরের সোডিয়াম মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
চোখের জন্য উপকারি:
কিসমিশ চোখের জন্য যথেষ্ট উপকারি। এতে আছে প্রচুর পরিমাণ এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে। তাছাড়া কিসমিস খেলে সহজে শরীরে বয়সের ছাপ পড়ে না। দৃষ্টি শক্তি হ্রাস ও চোখে ছানি পড়া থেকে দূরে রাখে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে করে:
খাবারে প্রচুর পরিমাণ আঁশ থাকলে কোলোরেক্টারাল ক্যান্সার ঝুঁকি কমে যায়। এক টেবিল চামচ কিসমিসে ১ গ্রাম পরিমাণ আঁশ থাকে। কিসমিশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের কোষগুলোকে ফ্রি র্যাডিক্যাল ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সারের কোষ উৎপন্ন হওয়ায় বাধা প্রদান করে।
এসিডিটি কমাতে সহায়তা করে:
রক্তে অধিক মাত্রায় এসিডিটি (অম্লতা) বা টক্সিসিটি (বিষ উপাদান) থাকলে তাকে বলা হয় এসিডোসিস। এসিডোসিসের (রক্তে অম্লাধিক্য) কারণে বাত, চর্মরোগ, হৃদরোগ ও ক্যান্সার হতে পারে। কিসমিশ রক্তের এসিডিটি কমায়।
কোলেস্ট্রোরেল হ্রাস করে:
কিসমিশে কোন কোলেস্ট্রোরেল থাকে না এমনকি এতে আছে এন্টি-কোলোস্ট্রোরেল উপাদান। যা রক্তের খারাপ কোলোস্ট্রোরেলকে হ্রাস করতে সাহায্য করে। এছাড়া কিসমিসের দ্রবণীয় ফাইবার, যা লিভার থেকে কোলোস্ট্রোরেল দূর করতে সাহায্য করে।
ইনফেকশনের ঝুঁকি কমায়:
কিসমিশের মধ্যে রয়েছে পলিফেনলস এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফেমেটরি উপাদান। যা কাঁটা-ছেড়া বা ক্ষত হতে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি অধিকাংশে কমিয়ে দেয়।
ওজন বাড়াতে সাহায্য করে:
কিসমিশে প্রচুর ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ থাকে। তাই এটি ওজন বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। যদি সঠিক নিয়মে ওজন বাড়াতে চান তবে আজই কিসমিস খেতে পারেন।
ফসল প্রাপ্তি সময়
মার্চ ও জুলাই মাসের দিকে।
Info by Akash
No comments
Pleas Do not write bad link