OUT SOURCING

চাল কুমড়া পরিচিতি

চাল কুমড়া একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি। ঘরের চালে এ সবজি ফলানো হয় বলে একে চাল কুমড়া বলা হয়। চাল কুমড়া ঘরের চাল অপেক্ষা জমিতে মাচা দিয়ে চাষ করলে ফলন বেশি হয়। সবজি হিসেবে চাল কুমড়ার জুড়ি নেই। আমাদের দেশে চাল কুমড়ার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। সবুজ কচি চাল কুমড়া তরকারি হিসেবে খেতে খুব সুস্বাদু। চাল কুমড়ার কচি পাতা ও ডগা দিয়ে বিভন্ন খাবার রান্না করা যায়। আর চুনের মত সাদা চাল কুমড়া দিয়ে  মোরব্বা এবং হালুয়া তৈরি করা যায় যা অতি সুস্বাদু। আর দামটাও নাগালের মধ্যে।

PICTURE:-RAYHAN
LOCATION:-DAMSHUR,VALUKA,MYMONSHINGH

চাল কুমড়া এর বৈজ্ঞানিক নাম

Benincasa hispida

চাল কুমড়া এর ইংরেজি নাম

Green Cucumber/Wax gourd/Ash gourd

চাল কুমড়া এর জাত

আমাদের দেশে উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন হয়েছে। হাইব্রিড জাতের চালকুমড়ার বীজও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এসব জাতের মধ্যে জুপিটার, ইউনিক, ভেনাস, পানডা, সুমাইয়া, বাসন্তী, নিরালা, দেব-১২০৩, মাধবী ইত্যাদি অন্যতম।

চাল কুমড়া এর খাদ্য উপাদানঃ

চাল কুমড়াতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, আমিষ, শর্করা, চর্বি ও ক্যালসিয়াম রয়েছে।

১০০ গ্রাম চাল কুমড়াতে আছে

উপদান
পরিমাণ
আমিশ
.৪ গ্রাম
খাদ্যশক্তি
১৩ কিলোক্যলোরি
শর্করা
৩ গ্রাম
ফাইবার
.৯ গ্রাম
চর্বি
.২ গ্রাম
ভিটামিন সি
১০.১ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম
১৫০ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম
১১ মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়ম
২৬ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম
২ মিলিগ্রাম
লৌহ
.২ মিলিগ্রাম
জিংক
.৭ মিলি গ্রাম
ফসফরাস
১৩ মিলিগ্রাম



চাল কুমরার ঔষধি গুনাগুনঃ-

1- পেট ও অন্ত্রের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করতে চাল কুমড়া এন্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালক করে। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ইনফেকশন ও আলসার রোগ প্রশমিত করতে সাহায্য করে।

2- এটি মসলাযুক্ত খাবার অথবা দীর্ঘদিন ধরে উপবাসের কারণে পাকস্থলিতে তৈরি হওয়া এসিড প্রশমিত করতে সাহায্য করে।

3- চাল কুমড়া শরীরের ওজন ও মেদ কমাতে অনেক কার্যকরী একটি সবজি। এটি রক্ত নালীতে রক্ত চলাচল সহায়তা করে। অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবারের বিকল্প হিসেবে চাল কুমড়া খাওয়া যায়।

4- সুন্দর ত্বকের জন্যও চাল কুমরা খেতে পারেন। আপনার ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করতে সাহায্য করবে।

5- চুলের যত্নে চাল কুমড়ার রস অনেক সাহায্য করে। চাল কুমড়ার রস নিয়মিত চুল মাখলে চুল চকচকে হয় এবং সুন্দর হয়, বয়সের ছাপ কমাতেও চাল কুমড়া সাহায্য করে।

6- এছাড়া চাল কুমড়ার বিচি গ্যাস্ট্রিক রোগের নিরাময়ে সাহায্য করে।

7- পেট ফাঁপা এবং প্রস্রাব কোনো কারণে অনিয়মিত হলে              চাল কুমড়া খেলে বেশ উপকার হয়।

8- কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে বিশেষ কার্যকরী।


চাল কুমরা চাষের সময়

ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত বীজ বোনার উপযুক্ত সময়। তবে সারা বছরই চাল কুমড়ার চাষ করা যায়।

ফসল প্রাপ্তি সময়

সারা বছরই চাল কুমড়ার পাওয়া যায়।

info by humon kobir

No comments

Pleas Do not write bad link

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.