সরিষা পরিচিতি
PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.
সরিষা
বাংলাদেশে সরিষার চাষ করা হয় সাধারণত বীজ থেকে তেল উৎপাদনের জন্য, যা প্রধানত রান্নার কাজে ব্যবহূত হয়। আচার, চাটনি তৈরিতে এর ব্যবহার হয়। এছাড়া শরীরে, বিশেষ করে ছোট শিশুদের গায়ে মাখার জন্য সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়। কলকব্জার ক্ষয় নিবারণের জন্য এটির ব্যবহার আছে। সরিষার কচি পাতা ও ডগা শাক হিসেবে এবং সরিষাবাটা ইলিশ মাছের সঙ্গে রান্না করে খাওয়া যায়।
সরিষা বৈজ্ঞানিক নাম
Brassica spp
ইংরেজি নাম
Mustard
জাত
সরিষা এরা Brassicaceae পরিবারের সদস্য।
খাদ্য উপাদানঃ
সরিষায় ও এর শাকে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। কারন সরিষার বীজে গড়ে প্রায় ৪০-৪৪ ভাগ তেল থাকে।আরোও সরিষায় রয়েছে ক্যারোটিন, যিযেনথিনস, লুটিন, ভিটামিন এ, সি এবং কে। এসব উপাদান শরীরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট তৈরি করে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভালো।
১০০ গ্রাম সরিষাতে আছে
উপাদান
|
পরিমাণ
|
ক্যালরি
|
৫০৮
|
চর্বি
|
৩৬ গ্রাম
|
সোডিয়াম
|
১৩ মিলিগ্রাম
|
পটাশিয়াম
|
৭৩৮ মিলিগ্রাম
|
কার্বোহাইড্রেট
|
২৮ গ্রাম
|
প্রোটিন
|
২৬ গ্রাম
|
|
|
সরিষা ঔষধি গুনাগুনঃ-
১.শ্বাসকষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখে :
সরিষার বীজে প্রচুর পরিমাণে সেলেনিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এ দুটি উপাদান প্রদাহজনিত সমস্যা কাটাতে বেশ সহায়ক। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় যদি সরিষা থাকে, তবে শ্বাসকষ্ট সর্দি বা বুক ধড়ফড়ানির মতো রোগও পালিয়ে থাকবে আপনার কাছ থেকে।
২.ওজন কমাতে সহায়ক :
সরিষাবীজে ফলেট, নিয়াসিন, রিবোফ্লেবিনের মতো বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স রয়েছে। এসব উপাদান ওজন কমাতে বেশ কাজে দেয়।
৩.বার্ধক্য নিরোধক :
সরিষায় রয়েছে ক্যারোটিন যিযেনথিনস, লুটিন, ভিটামিন এ সি এবং কে। এসব উপাদান শরীরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট তৈরী করে, যা বয়স লুকাতে সাহায্য করে।
৪.অন্ত্রের ক্যান্সার রোধে :
ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসে ভরপুর সরিষা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যান্সার বা অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরক্ষা এবং দেহে এর ছড়িয়ে পড়ার গতি কমিয়ে দেয়।
৫.ব্যাথানাশক :
সেলেনিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামসমৃদ্ধ এ তেলে তাপ উৎপাদনক্ষমতা রয়েছে শরীরের কোন অংশে এ তেল ব্যবহার করা হলে সেখানে তাপ উৎপন্ন হয় এবং ব্যথা উপশম হয়। এক্ষেত্রে শরীরের ব্যথা বেদনা কমাতে প্রথমে কিছু সরিষাবীজ নিয়ে সমলিন কাপড়ে মুড়িয়ে নিন । এরপর তা কুসুমগরম পানিতে রেখে দিন। এ পানি দিয়ে স্নান করুন। দেখবেন তৎক্ষণাত আপনার ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে সেরে গেছে ব্যথাও। পেস্ট তৈরী করে ব্যথার জায়গায় কয়েক মিনিট রেখে দিলেও উপকার পাওয়া যায়।
৬.কোলেস্টেরল কমায় :
সরিষায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নিয়াসিন ও ভিটামিন বি থ্রি। নিয়াসিনের রয়েছে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনার আশ্চর্য এক ক্ষমতা। অথেরোস্কেলেরোসিস নামক ধমনীর রোগ থেকে বাঁচায়। রক্তের প্রবাহ ঠিক করে এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুকি কমায়।
৭.চুলের ঘনত্ব বাড়ায় :
চুলের ঘনত্ব বাড়াতে এর জুড়ি নেই। বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলতো আছেই। সেসঙ্গে আছে বেটা কেরোটিনও। তেল উৎপাদনের সময় বেটা কেরোটিন ভিটামিন এ হিসেবে রূপান্তরিত হয় , যা চুলের বৃদ্ধিতে চমৎকার কাজ করে। এছাড়া আয়রন , ফ্যাটি এসিড় ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। চুলের ঘনত্ব বাড়াতে কাজ কর এরাও। সপ্তাহে অনন্ত একদিন চুলে গরম সরিষার তেল ম্যাসাজ করলে অবসাদতো দূর হবে, সঙ্গে দূর হবে খুশকি এবং ফিরে আসবে চুলের প্রাণ।
৮.কোষ্ঠকাঠিন্য দূর :
সরিষার তেল কোষ্ঠকাঠিন্য দূ করার পাশাপাশি পাইলস হওয়ার ঝুকি কমায়। হজমে সহায়ক। কেউ যদি দিনে দুই থেকে তিনবার চামচ করে সরিষাবীজ খান , তবে কোষ্ঠ্যকাঠিন্যর সমস্যা আর থাকবে না।
ফসল প্রাপ্তি সময়
দৌলত কার্তিক থেকে অগ্রহায়ণ (মধ্য-অক্টোবর থেকে মধ্য-নভেম্বর) মাস পর্যন্ত বপন করা যেতে পারে।
Info by Akash
No comments
Pleas Do not write bad link