মেথি পরিচিতি
মেথি একটি মৌসুমী গাছ। এর পাতা শাক হিসাবে খাওয়া হয়। মেথি শাক গ্রাম বাংলার মানুষের প্রিয় খাদ্য। ইউনানী, কবিরাজী ও লোকজ চিকিৎসায় বহুবিধ ব্যবহার হয়। মশলা হিসাবেও এটি প্রচুর ব্যবহার হয়।। এটি পাঁচ ফোড়নের একটি উপাদান। মেথি থেকে ষ্টেরয়েডের উপাদান তৈরি হয়।
শক্তি ৫০ ক্যালোরি
স্যাচুরেটেড ফ্যাট ১.৫ গ্রাম
সোডিয়াম ৬৭ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ৭৭০ মিলিগ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ৫৮ গ্রাম
প্রোটিন ২৩ গ্রাম
মেথির বৈজ্ঞানিক নাম
Trigonella foenum-graecumমেথির ইংরেজি নাম
Fenugreekমেথির জাত
মেথি এরা Fabaceae পরিবারের সদস্য।মেথির খাদ্য উপাদানঃ
মেথিদানার মতোই কার্যকর মেথি শাক। এই শাক শীতকালে বেশি পাওয়া যায়। খেতেও সুস্বাদু তেমনি রোগশোকও দূরে রাখে। মেথি শাক লিভার, ডায়াবেটিস, কিডনি এবং কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রে বেশ উপকার করে।১০০ গ্রাম মেথিতে আছেঃ-
উপাদান পরিমাণশক্তি ৫০ ক্যালোরি
স্যাচুরেটেড ফ্যাট ১.৫ গ্রাম
সোডিয়াম ৬৭ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ৭৭০ মিলিগ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ৫৮ গ্রাম
প্রোটিন ২৩ গ্রাম
মেথিদের ঔষধি গুনাগুনঃ-
ওজন হ্রাস:
শরীরের ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই মেথি রাখুন ডায়েটে। দুই গ্লাস পরিমাণ পানিতে রাতভর ভিজিয়ে রাখুন এক চা চামচ মেথিদানা। সকালে খালি পেটে ছেঁকে নিয়ে ওই পানি পান করুন। মেদ এবং ওজন কমাতে এর জুড়ি নেই।বদহজম ও অ্যাসিডিটি দূর:
অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ও ফাইবারে ভরা মেথি শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে। মেথি ভেজানো পানির পাশাপাশি রান্নাতেও মেথি দিন। পেটের সমস্যা দূর হবে।কোলেস্টেরল কমায়:
নিয়মিত মেথি খেলে শরীরে কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। মেথির প্রভাবে ক্ষুদ্রান্ত্র কোলেস্টেরল গ্রহণ করে না। ফলে দেহে এলডিএল কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা লাগামছাড়া হতে পারে না। গ্যালাক্টোম্যানান ছাড়াও মেথিতে আছে প্রচুর পটাসিয়াম। ফলে মেথি খেলে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে। যার ফলে কমে হৃদরোগের ঝুঁকিও।ডায়াবেটিসে কার্যকরী:
মেথিতে থাকা গ্যালাক্টোম্যানানের প্রভাবে দেহে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে না। মেথির অ্যামাইনো অ্যাসিডের জন্য অগ্ন্যাশয় থেকে উৎপাদিত ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ে। তাই ডায়াবেটিক রোগীর ডায়েটে মেথি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ঋতুস্রাবের কষ্ট হ্রাস করে:
ঋতুস্রাবের সময় মহিলাদের ভেজানো মেথিদানা চিবিয়ে খেতে বলা হয়। মেথিতে থাকা যৌগ এই সময়কার পেটের যন্ত্রণায় উপশম দিতে খুবই কার্যকর।কিডনি ভাল রাখে:
মেথিদানার প্রভাবে কিডনি ভাল ভাবে কাজ করে। কিডনির কোষও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় মেথি খাওয়ায়।ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়:
মেথির ভিটামিন সি ত্বকের জন্য খুব উপকারি। এক চামচ মেথিবাটা বা মেথিগুঁড়াকে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে সেটিকে ফেসিয়াল মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে।ত্বকের দাগ দূর করে:
মেথির ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে ত্বকের ছোপ ছোপ দাগ এবং বয়সের রেখা দূর করে। রাতে ভেজানো মেথি দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পরের দিন সকালে একটি মিশ্রণ বানান। কিছুক্ষণ রেখে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়বে।চুলপড়া কমায়:
রাতে ভেজানো মেথিদানার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ বানান। তারপর ব্যবহার করুন হেয়ারমাস্ক হিসেবে। এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে চুলপড়া কমে যাবে। নারিকেল তেলে ১০ দিন ধরে মেথিদানা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ওই তেল ছেঁকে নিয়ে মাথায় মালিশ করুন। এতেও দূর হবে খুশকি ও চুলপড়ার সমস্যা।অকালপক্বতা রোধ করে:
অকালে চুল পাকার হার কমাতেও মেথি খুব কার্যকর। ভেজানো মেথিদানায় মেশান আমলার রস। গোসলের এক ঘণ্টা আগে স্ক্যাল্প ও চুলে ভাল করে লাগিয়ে নিন। তারপর হাল্কা শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এতে কমবে অকালপক্বতার হার।
Info by Akash
No comments
Pleas Do not write bad link