লেটুস পরিচিতি
শাকসবজি রান্না করতে গিয়ে আমরা এর পুষ্টি উপাদান নষ্ট করে ফেলি। তবে কোনো কোনো শাকসবজি রয়েছে সেগুলো কাঁচা খাওয়া সম্ভব। লেটুস এমনি একটি শাক, যা সালাদ হিসেবে টমেটো, পেঁয়াজ, মরিচ এসবের সঙ্গে ব্যবহার হয়। ফলে এর পুষ্টি থাকে অটুট। লেটুস বেশ পুষ্টিকর। মুখে রুচিও বাড়ায়।
২. লেটুস পাতায় প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ভিটামিন আছে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত লেটুস পাতা খেলে ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার হয় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তাই যাদের ত্বকে বিভিন্ন রকম সমস্যা আছে তাদের জন্য লেটুস পাতা খুবই উপকারী।
৩. লেটুসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। ফলে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর ক্ষেত্রে লেটুস পাতা একটি উপকারী সবজি। তাই যারা অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন তাদের জন্য লেটুস পাতা হতে পারে একটি আদর্শ খাবার। গর্ভবতী নারীরা কাঁচা লেটুসপাতা খেলে মা ও শিশু উভয়ের শরীরেই রক্তের মাত্রা বাড়ে। চোখের ইনফেকশনজনিত সমস্যা কমায় লেটুসপাতা।
৪. নিউরনদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে লেটুস পাতার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আর একবার নিউরনদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে একদিকে যেমন স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে, তেমনি অ্যালজাইমার্স মতো ব্রেন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে। তাই যাদের পরিবারে এই ধরনের মস্তিষ্কঘটিত রোগের ইতিহাস রয়েছে তারা ডায়েটে লেটুস পাতাকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
৫. লেটুস পাতা ভিটামিন কে এর একটি ভালো উত্স। ভিটামিন কে হাড়ের মেটাবলিজম বাড়ায়। এছাড়াও ভিটামিন কে হাড়ের কোষ গুলোকে সচল রাখে এবং দ্রুত হাড় ক্ষয় হওয়ার থেকে শরীর কে রক্ষা করে।
৬. লেটুসপাতার পুষ্টি উপাদান হাত-পা ফুলে যাওয়া, কিডনির পাথর, কিডনির কার্যহীনতা, মূত্রথলির ইনফেকশন ও কিডনির ব্যথায় লেটুসপাতা উপকারী।
৭. লেটুসপাতা খুশকি কমাতে সাহায্য করে। শ্যাম্পুতে লেটুসপাতা গুঁড়া ব্যবহার করা হয়। রোদে পোড়াভাব দূর করতে লেটুপসাতা থেঁতলে ত্বকে দিলে ত্বকের উপকার হয়।
৮. শরীরকে সুস্থ এবং রোগমুক্ত রাখতে লেটুসপাতার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শরীরে যাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি কোনও সময় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন চিকিত্সকেরা। শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেওয়ার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে লেটুস পাতা।
৯. কাঁচা বা ভাজা লেটুসপাতার সালাদ রক্ত পরিষ্কার করে, হৃত্পিণ্ডের শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। লেটুসপাতায় ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে লেটুসপাতার গুরুত্ব অনেক বেশি। এছাড়া ওজন কমাতে এ পাতা দারুন কাজ করে।
লেটুস এর বৈজ্ঞানিক নাম
Lactuca Sativaলেটুস এরইংরেজি নাম
Lettuceলেটুস এর জাত
লেটুস এরা Daisy পরিবারের সদস্য।লেটুস এর খাদ্য উপাদানঃ
ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৬, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম।১০০ গ্রাম লেটুসতে আছেঃ-
উপাদান
|
পরিমাণ
|
শক্তি
|
১৫
ক্যালোরি
|
সোডিয়াম
|
২৮
মিলিগ্রাম
|
পটাসিয়াম
|
১৯৪
মিলিগ্রাম
|
কার্বোহাইড্রেট
|
২.৯
গ্রাম
|
প্রোটিন
|
১.৪
গ্রাম
|
লেটুস ঔষধি গুনাগুনঃ-
১. লেটুসপাতা সোডিয়াম ভিটামিন-বি ওয়ান, বি টু থ্রি শরীরের যে কোনো অঙ্গে জল যাওয়া রোধ করে। এ পাতায় নিয়মিত খেলে বার্ধক্য আসে দেরিতে ত্বকের বলিরেখাও পড় না। ঠাণ্ডাজনিত অসুখ হাঁচি, কাশি, কফ, হাঁপানি ও ফুসফুসের ইনফেকশন দূর করতে সালাদে প্রতিদিন লেটুসপাতা খেতে পারেন।২. লেটুস পাতায় প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ভিটামিন আছে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত লেটুস পাতা খেলে ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার হয় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তাই যাদের ত্বকে বিভিন্ন রকম সমস্যা আছে তাদের জন্য লেটুস পাতা খুবই উপকারী।
৩. লেটুসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। ফলে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর ক্ষেত্রে লেটুস পাতা একটি উপকারী সবজি। তাই যারা অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন তাদের জন্য লেটুস পাতা হতে পারে একটি আদর্শ খাবার। গর্ভবতী নারীরা কাঁচা লেটুসপাতা খেলে মা ও শিশু উভয়ের শরীরেই রক্তের মাত্রা বাড়ে। চোখের ইনফেকশনজনিত সমস্যা কমায় লেটুসপাতা।
৪. নিউরনদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে লেটুস পাতার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আর একবার নিউরনদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে একদিকে যেমন স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে, তেমনি অ্যালজাইমার্স মতো ব্রেন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে। তাই যাদের পরিবারে এই ধরনের মস্তিষ্কঘটিত রোগের ইতিহাস রয়েছে তারা ডায়েটে লেটুস পাতাকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
৫. লেটুস পাতা ভিটামিন কে এর একটি ভালো উত্স। ভিটামিন কে হাড়ের মেটাবলিজম বাড়ায়। এছাড়াও ভিটামিন কে হাড়ের কোষ গুলোকে সচল রাখে এবং দ্রুত হাড় ক্ষয় হওয়ার থেকে শরীর কে রক্ষা করে।
৬. লেটুসপাতার পুষ্টি উপাদান হাত-পা ফুলে যাওয়া, কিডনির পাথর, কিডনির কার্যহীনতা, মূত্রথলির ইনফেকশন ও কিডনির ব্যথায় লেটুসপাতা উপকারী।
৭. লেটুসপাতা খুশকি কমাতে সাহায্য করে। শ্যাম্পুতে লেটুসপাতা গুঁড়া ব্যবহার করা হয়। রোদে পোড়াভাব দূর করতে লেটুপসাতা থেঁতলে ত্বকে দিলে ত্বকের উপকার হয়।
৮. শরীরকে সুস্থ এবং রোগমুক্ত রাখতে লেটুসপাতার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শরীরে যাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি কোনও সময় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন চিকিত্সকেরা। শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেওয়ার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে লেটুস পাতা।
৯. কাঁচা বা ভাজা লেটুসপাতার সালাদ রক্ত পরিষ্কার করে, হৃত্পিণ্ডের শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। লেটুসপাতায় ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে লেটুসপাতার গুরুত্ব অনেক বেশি। এছাড়া ওজন কমাতে এ পাতা দারুন কাজ করে।
লেটুস চাষের সময়
শীতপ্রধান দেশে সারা বছর এর চাষ হলেও এ দেশে কেবল রবি মৌসুমে অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত দফায় দফায় বীজ বোনা যেতে পারে।লেটুস প্রাপ্তি সময়
লেটুস শুধুমাত্র শীতকালে পাওয়া যায়।
Info by Akash
No comments
Pleas Do not write bad link