রসুন পরিচিতি
PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.
রসুন
রসুন হল পিঁয়াজ জাতীয় একটি ঝাঁঝালো সবজি যা রান্নার মশলা ও ভেষজ ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।গাছ একটি সপুষ্পক একবীজপত্রী লিলি শ্রেণীর বহুবর্ষজীবী গুল্ম।
রসুন বৈজ্ঞানিক নাম
Allium Sativum
ইংরেজি নাম
Garlic
জাত
রসুন এরা Alliaceae পরিবারের সদস্য।
খাদ্য উপাদানঃ
সারমর্ম হলো রসুনের মধ্যে খুব কম ক্যালরি আছে কিন্তু ভিটামিন C‚ ভিটামিন B6 এবং ম্যাঙ্গানিজ আছে । এছাড়াও এতে বিভিন্ন ধরনের নিউট্রিয়েন্টস আছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুব দরকার ।
১০০ গ্রাম রসুনে আছে-
উপাদান
|
পরিমাণ
|
ক্যালসিয়াম
|
৩০.০০
মিলিগ্রাম
|
কার্বোহাইড্রেড
|
২০.৮০
গ্রাম
|
প্রোটিন
|
৬.৩০
গ্রাম
|
আর্দ্রতা
|
৬২.০০
গ্রাম
|
আয়রণ
|
১.২০
মিলিগ্রাম
|
কপার
|
০.৬৩
মিলিগ্রাম
|
ম্যাঙ্গানিজ
|
০.৮৬
মিলিগ্রাম
|
ফসফরাস
|
৩১০.০০
মিলিগ্রাম
|
জিংক
|
১.৯৩
মিলিগ্রাম
|
ম্যাগনেসিয়াম
|
৭১.০০
মিলিগ্রাম
|
থায়ামিন
|
০.০৬
মিলিগ্রাম
|
রিবোফ্লোবিন
|
০.২৩
মিলিগ্রাম
|
ভিটামিন
সি
|
১৩.০০
মিলিগ্রাম।
|
রসুন ঔষধি গুনাগুন-
রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে:
কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ যেমন হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক এর কারণে সারা পৃথিবীতে সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয় | উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন হৃদ রোগের মুখ্য কারণ | কিন্তু দেখা গেছে রোজ চার কোয়া করে রসুন খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে |
বেশিদিন জীবিত থাকতে সাহায্য করে :
যেহেতু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে তাই ক্রনিক ডিসিজ কম হয় | ফলে আপনার দীর্ঘজীবি হওয়ার সম্ভবনা অনেকেটা বেড়ে যায় |
শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে :
রসুনে উপস্থিত সালফার অরগ্যান ড্যামেজ থেকে এবং শরীরকে lead থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে |
হাড়ের জোর বাড়ায় :
এমনিতেই একটা বয়েসের পর মহিলাদের হাড়ের জোর কমে যায় | দেখা গেছে রোজ ২ গ্রাম করে রসুন খেলে মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় | ফলে হাড় সংক্রান্ত সমস্যা অনেকটা কমে যায় | এমন কী যে মহিলাদের মেনোপোজ হয়ে গেছে তারাও নিয়মিত রসুন খেলে অনেক উপকার পাবেন |
দ্রুত স্কিন ইনফেকশন সারিয়ে তোলে :
যেহেতু রসুনে অ্যান্টি ভাইরাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি আছে তাই স্কিন ইনফেকশন এর চিকিৎসায় কাজে লাগে |
ডায়বেটিস‚ উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্ত সংক্রান্ত ডিজিজ কন্ট্রোলে রাখুন :
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে কিডনির সমস্যা তখনই হয় যখন ডায়বেটিস‚ উচ্চ রক্তচাপ বা হার্ট সংক্রান্ত রোগ থাকে | দেখা গেছে ৫০% ব্যাক্তি যাদের ডায়বেটিস আছে তারা কিডনির রোগে আক্রান্ত হয়েছেন | অন্যদিকে যাদের রক্তচাপ ১৪০/৯০ এর ওপরে তাদের ক্রনিক কিডনি ডিজিজ হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি | তাই রক্তে চিনির পরিমাণ এবং রক্তচাপ ঠিক রাখা খুব জরুরী | ৪০ বছরের ওপরে বছরে একবার অবশ্যই হেল্থ চেক আপ করান |
নুনের পরিমাণ কম করুন :
নুন রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি করে | এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ ছাড়াও কিডনি স্টোন হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায় | তাই বয়েস বাড়ার সঙ্গে নুন খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে | এছাড়াও জাঙ্ক ফুডে প্রচুর পরিণে সোডিয়াম থকে | তাই এইসব খাবার খাওয়া কমাতে হবে | এবং ঘরের রান্না করা খাবার খেতে হবে |
প্রস্রাব চেপে রাখবেন না :
কিডনির প্রধান কাজ হলো রক্ত কে পরিষ্কার করা | ফিলট্রেশন হওয়ার পর বাড়তি জল ইউরিনারী ব্লাডারে জমা হয় | ব্লাডার অনেক পরিমাণ জল ধরে রাখতে পারে | কিন্তু সময়মতো এই জল শরীর থেকে না বের করলে কিডনির ওপর বাড়তি চাপ পড়ে | তাই বেশি সময়ের জন্য প্রস্রাব চেপে রাখবেন না |
মদ্যপান এবং স্মোকিং বন্ধ করে দিন :
বেশি পরিমাণে মদ্যপান করলে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালেন্স এবং হরমোনাল কন্ট্রোল নষ্ট হয়ে যায় | এর ফলে কিডনির ওপর মারাত্মক প্রভাব পরে | স্মোকিং যদিও সরাসরি কিডনির ওপর প্রভাব ফেলে না কিন্তু এর ফলে হার্ট ডিজিজ হতে পারে‚ যার থেকে কিডনির সমস্যা হতে পারে |
নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করুন :
রিসার্চ করে জানা গেছে ওবেসিটির সঙ্গে কিডনির সংক্রান্ত সমস্যার ভালো যোগাযোগ আছে | যত বেশি ওভার ওয়েট হবেন তত বেশি সমস্যা বাড়বে | তাই নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবই জরুরী |
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না :
বেশ কিছু অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ যেমন আইব্রুফেন এবং ন্যাপরক্সিন যদি নিয়মিত খাওয়া হয়‚ এর থেকে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে | আপনার যদি ক্রনিক ব্যথা‚ আরথ্রাইটিস বা পিঠে ব্যথা থাকে তাহলে নিজে ওষুধ না খেয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন |
ফসল প্রাপ্তি সময়
মধ্য অক্টোবর থেকে শেষ অক্টোবরের মধ্যে রোপণ করা উত্তম।
Info by Akash
No comments
Pleas Do not write bad link