লটকন পরিচিতি
লটকন এক প্রকার দেশীয় ও অপ্রচলিত ফল, যা অত্যন্ত পুষ্টি ও ঔষধিগুণে ভরপুর। ফল গোলাকার ক্যাপসুল, পাকলে এর ফল হলুদ বর্ণ ধারণ করে। ফলের খোসা ছাড়ালে ৩/৪টি রসালো অম্লমধুর স্বাদের বীজ পাওয়া যায়।লটকনের বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে; যেমন- হাড়ফাটা, ডুবি, বুবি, কানাইজু, লটকা, লটকাউ, কিছুয়ান ইত্যাদি।
PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.
ভিটামিন বি-১ এবং ভিটামিন বি-২ সমৃদ্ধ ফল লটকন। লটকনে ভিটামিন বি-১ এর পরিমাণ হল ১০.০৪ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন বি-২ আছে ০.২০ মিলিগ্রাম। বেরিবেরি রোগ সারাতে লটকনের ভূমিকা বেশ কার্যকর। শারীরিক দূর্বলতা, বুক ধড়ফড় করা, হাত-পায়ে ব্যথা, ঠোঁট এবং পায়ের তালু ফাটা, ঠোঁট ও মুখের ঘা এবং বারবার গলা শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যায় যারা ভুগছেন লটকন তাদের জন্য আদর্শ পথ্য।
ভিটামিন বি’র পাশাপাশি লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। দৈনিক মাত্র ২-৩ টি লটকন খেলে প্রতিদিনের ভিটামিন সি’র অভাব পূরণ হয়ে যাবে বলে মনে করেন ভিটিামিন বিশেষজ্ঞরা। দাঁত-মাড়ি ও ত্বকের যেকোনো সমস্যার পেছনে ভিটামিন সি’র অভাবকে দায়ী করা হয়। তাই নিয়মিত লটকন খেলে এ ধরণের সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি’র জুড়ি নেই। একইভাবে মন-মেজাজ প্রফুল্ল রাখতেও ভিটামিন সি’র ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভিটামিন সি’য়ে ভরপুর লটকন খেলে রোগ-বালাই যেমন দৌড়ে পালাবে, তেমনি শরীরে নতুন রোগও বাসা বাঁধতে দেবে না। তাই সুস্থ্য থাকতে, নিজেকে ফিট রাখতে নিয়মিত খেতে হবে স্বাস্থ্যকর এই ফলটি।
১০০ গ্রাম লটকনে ক্যালরির পরিমাণ ৯২। যেখানে ১০০ গ্রাম কাঁঠালে ক্যালরি পাওয়া যায় ৪৬। অর্থাৎ কাঁঠালের দ্বিগুন ক্যালরি আছে ছোট্ট এই লটকন ফলে। যারা প্রচুর পরিশ্রমের কাজ করেন কিংবা দুর্বলতায় ভোগেন তারা নিয়মিত লটকন খেলে শরীরে শক্তি পাবেন।
ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়ামসহ লটকনের নানান সব উপাদান মানবদেহে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় বলে নিশ্চিত করেছেন গবেষকরা। তাই চিকিৎকরা বলেন, বর্ষার এই ফলটি খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে।
লটকনে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এইসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
লটকন খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় সহজেই। তৃষ্ণাও নিবারণ করে। মানসিক চাপ কমায় এ ফল। এর গাছের ছাল ও পাতা খেলে চর্মরোগ দূর হয়।
PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.
লটকন এর বৈজ্ঞানিক নাম
Baccaurea Motleyanaলটকন এর ইংরেজি নাম
Rambaiলটকন এর জাত
লটকন এরা Phyllanthaceae পরিবারের সদস্য।লটকন এর খাদ্য উপাদানঃ
লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের ভিটামিন বি। এতে ভিটামিন বি-১ এবং ভিটামিন বি-২ আছে যথাক্রমে ১০ দশমিক ০৪ মিলিগ্রাম এবং ০.২০ মিলিগ্রাম। পাকা লটকন খাদ্যমানের দিক দিয়ে খুবই সমৃদ্ধ।১০০ গ্রাম লটকনতে আছেঃ-
উপাদান পরিমাণ
আমিষ ১.৪২ গ্রাম
চর্বি ০.৪৫ গ্রাম
খনিজ পদার্থ ০.৯ গ্রাম
লৌহ ০.৩ গ্রাম
ক্যালরি খাদ্যশক্তি ৯১ কিলো
লটকন এর ঔষধি গুনাগুনঃ-
ভিটামিন বি সমৃদ্ধ ফল
ভিটামিন বি-১ এবং ভিটামিন বি-২ সমৃদ্ধ ফল লটকন। লটকনে ভিটামিন বি-১ এর পরিমাণ হল ১০.০৪ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন বি-২ আছে ০.২০ মিলিগ্রাম। বেরিবেরি রোগ সারাতে লটকনের ভূমিকা বেশ কার্যকর। শারীরিক দূর্বলতা, বুক ধড়ফড় করা, হাত-পায়ে ব্যথা, ঠোঁট এবং পায়ের তালু ফাটা, ঠোঁট ও মুখের ঘা এবং বারবার গলা শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যায় যারা ভুগছেন লটকন তাদের জন্য আদর্শ পথ্য।
ভিটামিন সি
ভিটামিন বি’র পাশাপাশি লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। দৈনিক মাত্র ২-৩ টি লটকন খেলে প্রতিদিনের ভিটামিন সি’র অভাব পূরণ হয়ে যাবে বলে মনে করেন ভিটিামিন বিশেষজ্ঞরা। দাঁত-মাড়ি ও ত্বকের যেকোনো সমস্যার পেছনে ভিটামিন সি’র অভাবকে দায়ী করা হয়। তাই নিয়মিত লটকন খেলে এ ধরণের সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় বাড়ায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি’র জুড়ি নেই। একইভাবে মন-মেজাজ প্রফুল্ল রাখতেও ভিটামিন সি’র ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভিটামিন সি’য়ে ভরপুর লটকন খেলে রোগ-বালাই যেমন দৌড়ে পালাবে, তেমনি শরীরে নতুন রোগও বাসা বাঁধতে দেবে না। তাই সুস্থ্য থাকতে, নিজেকে ফিট রাখতে নিয়মিত খেতে হবে স্বাস্থ্যকর এই ফলটি।
আছে প্রচুর ক্যালরি
১০০ গ্রাম লটকনে ক্যালরির পরিমাণ ৯২। যেখানে ১০০ গ্রাম কাঁঠালে ক্যালরি পাওয়া যায় ৪৬। অর্থাৎ কাঁঠালের দ্বিগুন ক্যালরি আছে ছোট্ট এই লটকন ফলে। যারা প্রচুর পরিশ্রমের কাজ করেন কিংবা দুর্বলতায় ভোগেন তারা নিয়মিত লটকন খেলে শরীরে শক্তি পাবেন।
কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়ামসহ লটকনের নানান সব উপাদান মানবদেহে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় বলে নিশ্চিত করেছেন গবেষকরা। তাই চিকিৎকরা বলেন, বর্ষার এই ফলটি খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে।
লটকনে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এইসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
লটকন খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় সহজেই। তৃষ্ণাও নিবারণ করে। মানসিক চাপ কমায় এ ফল। এর গাছের ছাল ও পাতা খেলে চর্মরোগ দূর হয়।
ফসল প্রাপ্তি সময়
বর্ষার প্রারম্ভে চারা রোপণ করা হয়।
Info by Akash
No comments
Pleas Do not write bad link