OUT SOURCING

হলুদ পরিচিতি



PICTURE:-AKASH
LOCATION:-BOGRA SADOR,BOGRA.

হলুদ
মসলা জাতীয় ফসলের তালিকায় শীর্ষ ব্যবহারযোগ্য ফসলের মধ্যে হলুদ অন্যতম। কাঁচা হলুদ থেকে শুরু করে গুঁড়া হলুদের ব্যবহার ব্যাপক। নিত্য খাবার ব্যঞ্জনের রঙ করার উদ্দেশ্যেই প্রধানত: এর ব্যবহার হয়ে থাকে তা নয়। শারীরিক প্রয়োজনে হলুদের ব্যবহার হয়ে থাকে তা নয়; শারী রিক প্রয়োজনে হলুদে ব্যবহা র হয়ে  থাকে। শুধু মাত্র হলুদ দিয়েই রোগ নিরাময়ে বহু  মাত্রিক ব্যবহার সম্ভব।
হলুদ বৈজ্ঞানিক নাম
Curcuma Longa
ইংরেজি নাম
Turmeric
জাত
হলুদ এরা Zingiberaceae পরিবারের সদস্য।

খাদ্য উপাদানঃ
প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাঁচা হলুদের জুড়ি মেলা ভার। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান, যা আপনাকে সুস্থ রাখতে ভীষণ কার্যকর।
১০০ গ্রাম হলুদে আছে
উপাদান
পরিমাণ
ক্যালরি
৩৩৪ গ্রা ম
ফ্যাট
৯.৮৮ গ্রা ম
প্রোটিন
৭.৮৩ গ্রা ম
ফাইবার
২১ গ্রা ম
ফোলেট
৩৯ আই ইউ
শর্করা
৬৪.৯ গ্রা ম
নায়াসিন
৫.১৪ মি গ্রা
ভিটামিন সি
২৫.৯ মি গ্রা
ভিটামিন ই
৩.১০মি গ্রা
ভিটামিন কে
১৩.৪ আই ইউ
ক্যালশিয়াম
১৮৩ মি গ্রা
আয়রন
৪১.৪২ মি গ্রা
জিংক
৪.৩৫ মি গ্রা
ফসফরাস
২৬৮ মি গ্রা
কপার
৬০৩ আই ইউ


হলুদ ঔষধি গুনাগুনঃ-
১. মুখের রং উজ্জ্বল্যেঃ
হলুদের এক নাম ‘হরিদ্রা’; আর এক নাম ‘বর্ণ বিধারণী’। মুখের লালিত্য বজায় রাখার জন্য মাসুর ডাল ও কাঁচা হলুদবেটে দুধের সর মিশিয়ে মুখে ও হাতে মাখতে হবে। ২ ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন। ১ মাস প্রযোজ্য।

২. ব্রন নিরাময়েঃ
সকালে খালি পেটে ২ টুকরো কাঁচা হলুদ ও ২টা নিমপাতা একসঙ্গে (আঁখের গুড় সহ) মিশিয়ে খেলে ব্রন সেরে যায় আবার দেহের রঙও উজ্জ্বল হয়।

৩. পেটের ক্রিমিঃ
হলুদের এক নাম ক্রিমিনাশকারী। বয়সের তারতম্য অনুযায়ী ১৫-২০ ফোঁটা কাঁচা হলুদের রস ছেঁকে নিয়ে তাতে অল্প লবণ মিশিয়ে সকালে খালিপেটে ৭দিন খেতে হবে।

৪. প্রমেহ রোগেঃ
 প্রস্রাবের জ্বালার সঙ্গে পূঁজের মতো লালা নির্গত হলে, কাঁচা হলুদের  রস ১ চা- চামচ একটু মধু বা  চিনি মিশিয়ে ২/৩ সপ্তাহ খে তে হবে। এমনকি এর দ্বারা অন্যান্য প্রকার প্রমেহ রোগেরও উপশম হয়ে থাকে।

৫. গায়ের রঙ উজ্জ্বল করতেঃ
 কাঁচা হলুদ, কমলালেবুর খোসা ও নিমপাতা একসঙ্গে পানি দিয়ে বেটে গয়ে মেখে এক ঘনটা পর ধুয়ে ফেললে গায়ের রঙ উজ্জ্বল হয় এং চর্ম রোগ প্রতিরোধ হবে। এটা সপ্তাহে অন্ততঃ ৩-৪ দিন লাগাতে হবে।

৬. শরীরের দাগ উঠাতে :
গায়ে হাম বসন্ত বা চুলকানির দাগ থাকলে কাঁচা হলুদ ও নিমপাতা একত্রে বেটে কয়েকদিন লাগালে দাগ উঠে যাবে ও চামড়া ফর্সা হবে।

৭. স্বর ভঙ্গেঃ
কোন সাধারণ কারণে গলা বসে স্বর রুদ্ধ হয়ে গেলে ২ গ্রাম পরিমাণ হলুদ গুড়াঁর সরবত চিনি মিশিয়ে একটু গরম করে ১ ঘন্টা পরপর ৪-৫ বার খেলে চমৎকার উপকার হয়।

৮. ফোড়া পাকাতে ও শুকাতেঃ
 হলুদ আগুনে পুড়িয়ে পোড়া ছাই সামান্য পানিতে গুলে ফোড়ায় লেপে দিতে হবে। এতে ফোড়া পেকে গিয়ে ফেটে যাবে। এরপর গুঁড়ো হলুদ সামান্য পানিতে গুলে প্রলেপ দিলে ফোড়া শুকিয়ে যাবে। অথবা সামান্য হলুদের সাথে সামান্য চুন মিশিয়ে গরম করে চিমটি পরিমাণ ফোড়ার মাথায় লাগালে ফোড়া ফেটে রক্ত ও পূজ বের হয়ে ব্যাথা কমে যায়।

৯. মচকে গেলেঃ
 দেহের কোন অংশ মচকে গেলে ১ ভাগ লবণ, ২ ভাগ চুন ও ৪ ভাগ হলুদ বাটা একত্রে ভালো করে মিশিয়ে গরম করে চোটের জায়গায় ২-৩ দিন লাগাতে হবে।

১০. লিভার বা যকৃতের দোষেঃ
 ১ চামচ কাঁচা হলুদের রস (বা”চাদের জন্য ৫-৬ ফোঁটা) সামান্য চিনি অথবা মধুসহ খেতে হবে অন্ততঃ ১ মাস।

১১. গলা ধরে গেলেঃ
চিৎকার, বক্তব্য বা গান যে কোন কারনে গলা বসে গেলে ১ গ্লাস গরম পানিতে মাত্র ২ গ্রাম হলুদের গুঁড়া ও ২ চা-চামচ চিনি মিশিয়ে সরবত করে কয়েক বার খেতে হবে।

১২. তোত্লামিতেঃ
ছোটবেলায় যাদের কথা আটকে যায়, অথবা তাড়াতাড়ি কথা বলার জন্যে তোত্লামি দেখা দিলে কাঁচা হলুদ ভালভাবে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে ১ চামচ পরিমাণ নিয়ে ১ চামচ ঘিয়ে ভেজে সারাদিনে ২/৩ বার খেতে হবে।
হলুদ চাষের সময়

চৈত্র মাস কন্দ লাগানোর উপযুক্ত সময়। সাধারণতঃ ১৫-২০ গ্রাম ওজনের ১-২টি ঝুঁড়ি বিশিষ্ট কন্দ  লাগাতে হয়। ৫০ সে.মি. দূরে দূরে সারি করে ২৫ সে.মি. দূরে দূরে ৫-৭ সে.মি. গভীরে কন্দ লাগাতে হয়।

 হলুদ ফসল প্রাপ্তি সময়
প্রায়  বছরের সব সময় পাওয়া যায়।

Info by Akash

No comments

Pleas Do not write bad link

Featured Post

Pui shak

Ggghdvdbfhdbfvvffvvvghdgdbdhdhdhdh Gghhghb

Powered by Blogger.